ফেসবুক থেকে লাখ টাকা ইনকাম ভিডিও মার্কেটিং করে
টাইটেল দেখে বুঝতেই পারছেন আজকে আপনাদের কোন বিষয়ে সঠিক ধারণা দিতে যাচ্ছি। ফেসবুক থেকে লাখ টাকা ইনকাম ভিডিও মার্কেটিং করে। ভিডিও মার্কেটিং এর পাশাপাশি আরো বেশ কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করে আপনি দ্রুত অনলাইন থেকে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন সহজ কিছু উপায়ে।
বর্তমানে অধিকাংশ ব্যক্তিরা ভিডিও মার্কেটিং করছেন। কিন্তু আমরা সাধারণ লোকেরা জানিনা ভিডিও মার্কেটিং এর মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায়। আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, ফেসবুক, ইউটিউব, অথবা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে গিয়ে প্রচুরসংখ্যক ভিডিও দেখতে পাবেন। কেন এত ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে এ প্রশ্ন প্রত্যেকের মাথায় আসতে পারে। তারা তাদের নিজস্ব ভিডিও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে আপলোড করে সেখান থেকে নিজের চ্যানেল অথবা পেইজ মনিটাইজেশন করে ইনকাম করেন। তাই আপনিও চাইলে ভিডিও মার্কেটিং শুরু করতে পারেন আর প্রতিমাসে আয় করতে পারেন লাখ টাকা।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ফেসবুক থেকে লাখ টাকা ইনকাম ভিডিও মার্কেটিং করে
.
কিভাবে ভিডিও মার্কেটিং শুরু করবেন
ফেসবুক থেকে লাখ টাকা ইনকাম ভিডিও মার্কেটিং করে। সহজে ভিডিও মার্কেটিং করা যায়। ভিডিও মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারে না। ভিডিও মার্কেটিং শুরু করতে চান কিন্তু কিভাবে শুরু করবেন সে সম্পর্কে জানেন না। আপনি যেখানে যে অবস্থায় থাকুন না কেন সেই ভিডিও গুলো করে আপলোড করুন সোশ্যাল মিডিয়া অথবা ইউটিউবে।
আপনি যদি ভিডিও মার্কেটিং করতে চান তাহলে প্রথমে প্ল্যাটফর্ম বেছে নিন? প্ল্যাটফর্ম হলো ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, এছাড়া আরো অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম। এরপর এই প্লাটফর্মগুলোতে ভিডিও আপলোডের জন্য ভিডিও তৈরি করুন। প্রথমে আপনি কোন জিনিস নিয়ে ভিডিও তৈরি করবেন সেই বিষয়টি নির্ধারণ করুন। যেমন শিক্ষা, প্রযুক্তি, বিনোদন, রিভিউ, ব্লগ, ভ্রমণ এছাড়া আরো অন্যান্য কিছু।
এরপর আপনার পছন্দ অনুযায়ী ভিডিও তৈরি করে উপরে দাও প্ল্যাটফর্ম গুলোতে আপলোড করুন। প্ল্যাটফর্মের দেওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম পূরণ হলে আপনার মনিটাইজেশন অন করুন। এরপর সেই প্ল্যাটফর্ম গুলো থেকে সহজেই আপনি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারবেন।
যেভাবে কাজ করলে দ্রুত সফলতা পাবেন
অনেকে ভিডিও মার্কেটিং করছেন অথবা এ সম্পর্কিত বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং কাজ করছেন কিন্তু দ্রুত সফলতা পাচ্ছেন না। দ্রুত সফলতা পেতে হলে বেশ কিছু উপায় অনুসরণ করতে হয়। আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যে কাজই করুন না কেন আপনার দক্ষতা প্রয়োজন। আপনার দক্ষতা যদি না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি দ্রুত প্রতিষ্ঠিত অথবা সফলতা অর্জন করতে পারবেন না।
দ্রুত সফলতা অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও পরিকল্পনা তৈরি করুন। এরপর ভিডিও মার্কেটিং এর জন্য আপনার পছন্দ অনুযায়ী একটি নিশ সিলেক্ট করুন। এরপর সেই নিশ অনুযায়ী আপনার ভিডিও তৈরি করুন। অবশ্যই ভিডিও আপলোড করার পূর্বে খেয়াল রাখুন আপনার ভিডিওগুলো মানসম্পূর্ণ কিনা। ভিডিওর ভালো রেজুলেশন, ক্লিয়ার সাউন্ড, সুন্দর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, আকর্ষণীয় প্লেসে ভিডিও করুন।
বেশি বেশি ট্রেন্ডিং বিষয়বস্তু নিয়ে ভিডিও তৈরি করুন। অবশ্যই ভিডিও আপলোড করতে গিয়ে SEO করবেন। এতে সহজে কোন ভিউয়ার আপনার ভিডিও খুঁজে পাবে। প্রত্যেকটি ভিডিওতে দর্শকের সঙ্গে ইন্টারঅ্যাক্ট করুন যেমন কমেন্ট, লাইক, শেয়ার, করার জন্য বলার পাশাপাশি কমেন্টের উত্তর দিন, এবং লাইভ করুন। এভাবে কাজ করলে আপনি দ্রুত ভিডিও মার্কেটিং সেক্টরে সফলতা পাবেন।
কোন ভিডিও নিয়ে কাজ শুরু করবেন
অনেকে ভিডিও মার্কেটিং শুরু করতে চাচ্ছেন কিন্তু কোন ভিডিও নিয়ে কাজ শুরু করবেন সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে পারছেন না। কোন বিষয় নিয়ে শুরু করবেন এটি বড় বিষয় নয়। আপনি যে বিষয়ের উপর দক্ষ সেই বিষয়ে ভিডিও তৈরি করুন। আপনি যে বিষয়ে ভিডিও আপলোড করবেন ওই বিষয় সম্পর্কে ভিডিও দেখতে হাজারো লোক বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করে।
তবে আপনি যে বিষয়ে ভিডিও তৈরি করবেন প্রত্যেকটি বিষয়ে ভিডিও তৈরির সময় ভিডিওর কোয়ালিটি উন্নত রাখুন। আপনি টিউটোরিয়াল ও গাইড, প্রোডাক্ট রিভিউ, ব্লগ, লাইফ স্টাইল, ভাইরাল ট্রপিকের ওপর কনটেন্ট, নিউজ ও ট্রেন্ডিং বিষয় সম্পর্কে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। তাছাড়া আপনার পছন্দ অনুযায়ী আপনি যেকোন বিষয় ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
ধরুন আপনি একজন ম্যাজিশিয়ান, টেকনিশিয়ান, তাহলে আপনি আপনার কাজের দক্ষতা গুলো ভিডিও করুন এবং সেই ভিডিওগুলো সোশ্যাল মিডিয়া আপলোড করেন। এই ভিডিওগুলো থেকে আপনার ভিউয়ার্সরা শিক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি বিনোদনও পাবে।
ভিডিও মার্কেটিং কাজ শুরু করতে কি কি প্রয়োজন
আপনি হয়তো ভিডিও মার্কেটিং করতে যাচ্ছেন কিন্তু কাজ শুরু করতে কি কি প্রয়োজন সে সম্পর্কে জানেন না। ভিডিও মার্কেটিং করার জন্য বেশ কয়েকটি ডিভাইসের প্রয়োজন। ভিডিও মার্কেটিং করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি ভালো মানের স্মার্টফোন অথবা ক্যামেরা কিনতে হবে। আপনি ভিডিও মার্কেটিং করবেন হাইরেজুলেশনের ক্যামেরা প্রয়োজন।
এই ক্যামেরা অথবা স্মার্ট ফোন দিয়ে ভিডিও তৈরি করুন। এরপর এই ভিডিও এডিটিং করার জন্য প্রয়োজন কিছু সফটওয়্যার এর। আপনি কম্পিউটার অথবা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। ভিডিও এডিটিং করার জন্য ক্যাপকাট, প্রিমিয়ার প্রো, ক্যানভা, এছাড়া আরো অন্যান্য সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।
ভিডিওর সাউন্ড রেকর্ডিং এর জন্য একটি মাইক্রোফোনের প্রয়োজন। প্রথম অবস্থায় মিডিয়াম কোয়ালিটির মাইক্রোফোন দিয়ে শুরু করতে পারেন। অথবা মোবাইল ফোনের মাইক্রোফোনের মাধ্যমে সাউন্ড রেকর্ডিং করতে পারেন। পরবর্তীতে আর্নিং শুরু হলে তখন ভালো মানের মাইক্রোফোন কিনুন। এরপর ভিডিও তৈরির জন্য আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগান।
যেভাবে ভিডিও ভাইরাল করবেন
আমরা অনেকেই ভিডিও তৈরি করেছি, সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছি কিন্তু ভিডিও ভাইরাল হয় না। ভিডিওর ভিউস অনেক কম। কেন ভিডিও ভাইরাল হয় না ভিডিও ভিউজ অনেক কম হয় সবাই প্রথম অবস্থায় এই সমস্যা গুলোর সম্মুখীন হন। ভিডিও ভাইরাল করার জন্য প্রথমত আপনাকে ট্রেন্ড অনুসরণ করতে হবে। বিশেষ করে ভাইরাল টপিকের ওপর ভিডিও তৈরি করতে হবে।
যে টপিকটি ভাইরাল হয়েছে ওই টপিক নিয়ে ভিডিও তৈরি করুন। আপনার ভিডিওতে আকর্ষণীয় থাম্বনেইল, আই টাচিং টাইটেল, ব্যবহার করুন। আপনার কনটেন্ট টি প্রথম অবস্থায় সংক্ষিপ্ত করুন, এই কনটেন্ট এর মধ্যে ইনফরমেটিভ ও বিনোদনমূলক ব্যবস্থা রাখুন। আপনার ভিডিওর লিংক সোশ্যাল মিডিয়া অথবা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করুন।
বেশি ভিউজ পাওয়ার কিছু টিপস
বেশি ভিউজ মানে বেশি টাকা। আপনার ভিডিওতে যত বেশি ভিউজ হবে আপনি তত বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু কিভাবে বেশি ভিউজ পাওয়া যায়। বেশি ভিউজ পেতে হলে কনটেন্ট এর মান উন্নত করা প্রয়োজন। এমন কনটেন্ট তৈরি করুন যে কনটেন্ট প্রত্যেকটি বয়সের ব্যক্তিরা দেখতে পছন্দ করবে। যেমন বিনোদনের সাথে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত টিপস।
আরো পড়ুনঃ টিকটকে ফলোয়ার বাড়ানোর ২০টি উপায়
কেননা সবাই বিনোদন পছন্দ করে পাশাপাশি সবাই চায় স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে। সপ্তাহে কমপক্ষে ২-৩ টি ভিডিও আপলোড করুন। ভিডিও আপলোড এর পূর্বে এসইও অনুযায়ী ভিডিও টাইটেল, ডিসক্রিপশন, ট্যাগ অপ্টিমাইজ করুন। এই উপায় গুলো অনুসরণ করলে আশা করি আপনি আপনার ভিডিও গুলোতে বেশি বেশি ভিউ পাবেন।
কোন ভিডিও নিয়ে কাজ করলে বেশি আয় হবে
বেশি আয় করার জন্য যেকোনো কোয়ালিটির ভিডিও হলেই হবে তবে টেক সম্পর্কিত ভিডিও গুলোতে বেশি আয় হয়। বেশি আয় করার জন্য টেক রিভিউ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মেয়ে ভিডিও তৈরি করুন। এছাড়া ফিন্যান্স এবং ইনভেস্টমেন্ট সম্পর্কিত ভিডিও তৈরি করতে পারেন। আপনি বাইরের দেশকে টার্গেট করে ভিডিও তৈরি করুন।
বাইরের দেশের ভিউয়ার্সরা আপনার ভিডিও দেখলে আপনার সবচেয়ে বেশি আরনিং হবে। তাই আপনি যে ভিডিও তৈরি করুন না কেন বাইরের দেশের ভিউয়ার্সদের টার্গেট করে ভিডিও তৈরি করুন।
দ্রুত সফলতা পাওয়ার উপায়
ভিডিও মার্কেটিং করে লাখ টাকা আয় করার জন্য অনেকে চেষ্টা করছেন। কিন্তু দ্রুত সফলতা পাচ্ছেন না, দ্রুত সফলতার জন্য কয়েকটি উপায় অনুসরণ করতে হয়। দ্রুত সফলতার জন্য অবশ্যই আপনি যেই সেক্টরে কাজ শুরু করতে চাচ্ছেন ওই সেক্টর সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা নেওয়া প্রয়োজন। একাকী ভিডিও মার্কেটিং শুরু না করে পূর্বে যারা ভিডিও মার্কেটিং করে সফল হয়েছে তাদের সহযোগিতা নিন। যদি ভিডিও মার্কেটিং কোর্স করতে হয় তাহলে ভিডিও মার্কেটিং কোর্স করুন। এতে আপনি সহজে দ্রুত সফলতা লাভ করতে পারবেন।
ভিডিও মার্কেটিং এর পাশাপাশি আয় করার আরো কিছু উপায়
আপনি ভিডিও মার্কেটিং সেক্টরে সফল হলে শুধুমাত্র ভিডিও মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন এমনটা কিন্তু নয়। ভিডিও মার্কেটিং সেক্টরে সফল হতে পারলে আপনি আরো একাধিক উপায়ে আয় করতে পারবেন। শুধুমাত্র ভিডিও মার্কেটিং করে লাখ টাকা আয়ের পাশাপাশি এখান থেকে আরো একাধিক উপায়ে আয় করা যায়।
ভিডিও মার্কেটিং এর পাশাপাশি ব্লগ এবং ওয়েবসাইট থেকে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। ভিডিও মার্কেটিং এ সফলতা অর্জন করতে পারলে আপনি কিভাবে সফল হয়েছেন সেই সম্পর্কে কোর্ট তৈরি করুন। এরপর সেই কোর্স বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। এরপর আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
এছাড়া আপনার চ্যানেল অথবা পেইজে স্পন্সারশিপ বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। এভাবে আপনি ভিডিও মার্কেটিং এর পাশাপাশি আরও বিভিন্ন উপায়ে আয় করতে পারবেন।
লেখকের মন্তব্য
ভিডিও মার্কেটিং করে অনেকে প্রচুর টাকা আয় করছেন। তাহলে আপনি কেন বেকার বসে থাকবেন। আপনার পছন্দের প্লাটফর্মে শুরু করুন ভিডিও মার্কেটিং। আর আপনিও আয় করুন প্রতি মাসে লাখ টাকা। আজকের আর্টিকেলটিতে ফেসবুক থেকে লাখ টাকা ইনকাম ভিডিও মার্কেটিং করে সে সম্পর্কে জানিয়েছি। আশা করি বিষয়গুলো জেনে উপকৃত হবেন।
এ সম্পর্কে আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। অবশ্যই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। এ সম্পর্কিত অন্যান্য আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরি গুলো ঘুরে আসতে পারেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।