OrdinaryITPostAd

ইয়া ওয়াদুদু পড়ার নিয়ম, আমল, অর্থ, দোয়া, এর ফজিলত

ইয়া ওয়াদুদু আল্লাহর ৯৯ টি গুণবাচক নামের মধ্যে একটি ফজিলত পূর্ণ নাম। ইয়া ওয়াদুদু পড়ার নিয়ম জেনে পাঠ করলে আল্লাহর নামের ফজিলত পাওয়া যায়। ইয়া ওয়াদুদু এর আমল অত্যন্ত সহজ। আল্লাহর নাম সমূহের ফজিলত জানতে, ইয়া ওয়াদুদু সম্পর্কে প্রত্যেকটি বিষয়ে থাকছে বিস্তারিত।
ইয়া ওয়াদুদু পড়ার নিয়ম - ইয়া ওয়াদুদু এর আমল
ইয়া ওয়াদুদু আল্লাহর ৯৯ টি গুণবাচক নামের মধ্যে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি নাম। ইয়া ওয়াদুদু নামের অর্থ ভালোবাসা ও মহব্বত দানকারী। মহান আল্লাহ এই নামটির মাধ্যমে ভালোবাসা ও মহব্বতের প্রকাশ করেছেন। আল্লাহর এই ভালোবাসা ও মহব্বতের নামটি আমল করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। আল্লাহর এই নামটি পাঠ করে আল্লাহর বরকত পেতে হলে ইয়া ওয়াদুদু পড়ার নিয়ম, ইয়া ওয়াদুদু এর আমল সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই ইয়া ওয়াদুদু সম্পর্কে প্রত্যেকটি বিষয় জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ইয়া ওয়াদুদু পড়ার নিয়ম - ইয়া ওয়াদুদু এর আমল

.

ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে কি হয়

অনেকেই নিয়মিত প্রশ্ন করেন ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে কি হয়। ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে আল্লাহর নেয়ামত বরকত, শান্তি পাওয়া যায়। ইয়া ওয়াদুদু পাঠকারী ব্যক্তির প্রতি আল্লাহর ভালোবাসার বন্ধন দৃঢ় হয়। ইয়া ওয়াদুদু এর অর্থ "হে ভালোবাসা দানকারী" আল্লাহর ৯৯ টি গুণবাচক নাম গুলোর মধ্যে ইয়া ওয়াদুদু একটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ নাম। 
ইয়া ওয়াদুদু পড়ার নিয়ম - ইয়া ওয়াদুদু এর আমল
ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে আল্লাহর সাথে বান্দার ভালোবাসার বন্ধন দৃঢ় হয়। ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করে বেশ কিছু বরকত পাওয়া যায়। ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করে খাবারে ফুক দিয়ে সেই খাবার স্বামী ও স্ত্রী খেলে একে অপরের মধ্যে ভালোবাসার বন্ধন দৃঢ় হয়। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে, বিভিন্ন ঝামেলা দূর করতে ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করে শরবতে ফুক দিয়ে, 
সেই শরবত উভয় খেলে একে অপরের সাথে বিবাদ ও ঝামেলা দূর হয় একে অপরের প্রতি মহব্বত বৃদ্ধি হয়। ইয়া ওয়াদুদ পাঠ করে খাবারে ফুক দিয়ে সন্তানকে খাওয়ালে সন্তান বাধ্য হয়। ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করে কোন খাবারে ফুক দিয়ে বাবা মা কে খাওয়ালে বাবা-মা সন্তানকে বেশি ভালবাসে। কোন বন্ধুর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হলে ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করে খাবারে ফুক দিয়ে, 

ওই খাবার বন্ধুকে খাওয়ালে বন্ধুত্বের মধ্যে দূরত্ব দূর হবে। বিশেষ করে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা দূর করার জন্য, একে অপরের প্রতি ভালবাসা ও মহব্বতের সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য ইয়া ওয়াদুদু অত্যন্ত উপকারী একটি আমল।

ইয়া ওয়াদুদু এর অর্থ

ইয়া ওয়াদুদু এর অর্থ অনেকে জানেন না। তাই নিয়মিত এ প্রসঙ্গে খোঁজ করেন। ইয়া ওয়াদুদু আল্লাহর গুণবাচক ৯৯ টি নাম গুলোর মধ্যে একটি। ইয়া ওয়াদুদু এই নামটির বেশ কিছু ফজিলত রয়েছে। ইয়া ওয়াদুদ একটি আরবি শব্দ। ইয়া ওয়াদুদু এর অর্থ হল "হে ভালোবাসা ময় আল্লাহ" "হে ভালোবাসা দানকারী" 

এখানে ওয়াদুদু এর অর্থ হল আল্লাহর একটি সুন্দর নাম ওয়াদুদ এর অর্থ ভালোবাসা প্রদানকারী, প্রিয়। আল্লাহর এই নামটি অত্যন্ত রহমত ও বরকতময়, এবং দয়ার প্রতীক হিসেবে আমল করা হয়। আল্লাহর এই নামটি আল্লাহর সাথে বান্দার ভালোবাসার সম্পর্ক দৃঢ় করার আমল কে বোঝানো হয়।

ইয়া ওয়াদুদু এর ফজিলত

ইয়া ওয়াদুদু আল্লাহর গুণবাচক নাম গুলোর মধ্যে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি নাম। ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করে কিছু আমল করলে আল্লাহ ওই ব্যক্তির মনের আশা পূরণ করেন। ইয়া ওয়াদুদু এর বেশ কয়েকটি ফজিলত রয়েছে। ইয়া ওয়াদুদু অর্থ হে ভালোবাসা ময় আল্লাহ, হে ভালোবাসা দানকারী। আপনি আল্লাহর এই নাম পাঠ করে আল্লাহর ভালোবাসা পেতে পারেন। 

এই নাম পাঠ করে আল্লাহর রহমত, ভালোবাসা, সহানুভূতি পাওয়া যায়। ইয়া ওয়াদুদু এর বেশ কিছু ফজিলত রয়েছে, নিচে ইয়া ওয়াদুদু এর ফজিলত গুলো দেওয়া হলোঃ
  • অনেক স্বামী স্ত্রীর মধ্যে হার হামেশা ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকে। একে অপরের মধ্যে বনিবনা হয় না, একে অপরের প্রতি অত্যন্ত রাগান্বিত হন। এরকম সমস্যা দূর করার জন্য ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করে খাবারে ফুক দিয়ে স্বামী তার স্ত্রীকে খাওয়ালে, স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক দৃঢ় হয়।
  • ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করে কোন স্ত্রী খাবারে ফুক দিয়ে স্বামীকে খাওয়ালে, স্ত্রী তার স্বামীর ভালবাসা লাভ করবে।
  • কোন বাবা মা ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করে খাবারে ফুকে দিয়ে সন্তানকে খাওয়ালে সন্তান বাধ্য হয়।
  • কোন সন্তান ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করে খাবারে ফুক দিয়ে বাবা মাকে খাওয়ালে সে সন্তান ওই বাবা মার ভালোবাসা লাভ করবে।
  • কোন বন্ধুর সাথে দূরত্ব সৃষ্টি হলে কোন বন্ধু যদি আল্লাহর এই গুণবাচক নাম ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করে খাবারে ফুক দিয়ে অপর বন্ধুকে খাওয়ালে দুই বন্ধুর মধ্যে নিবিড় ভালোবাসা তৈরি হবে।
  • ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করে কোন খাবার কোন মানুষকে খাওয়ালে তার অন্তরে সে ব্যক্তির প্রতি ভালোবাসা তৈরি হবে।
  • ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করে শত্রুদের কোন খাবার খাওয়ালে তার সাথে বন্ধুত্ব সৃষ্টি হবে।
  • ইয়া ওয়াদুদু নিয়মিত পাঠ করলে অভাব ও দুঃখ দূর হবে।
  • ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে পাঠ কারী ব্যক্তির সাথে মহান আল্লাহর ভালোবাসার সম্পর্ক দৃঢ় হয়।
  • নিয়মিত ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে আল্লাহর কাছে থেকে প্রচুর পরিমাণে বরকত আসে।
  • প্রতিদিন ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে আপনার দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বৃদ্ধি পায়।
  • ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে আল্লাহর রহমত পাওয়া যায়।
  • ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে বিবাহিত জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।
  • ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে প্রেম ও ভালোবাসার সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়।
  • ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে বিপদ আপদ ও কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে জীবনে সফলতা আসে।
  • ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে প্রিয়জনের সহজে মন জয় করা যায়।
  • ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে আত্মীয় স্বজনদের সাথে সম্পর্কর বন্ধন মজবুত হয়।
  • ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে আত্মার পরিশুদ্ধি আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।
  • ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে সন্তানের প্রতি মায়া মমতা বৃদ্ধি পায়।
বিপদ দূর করার জন্য, আল্লাহকে স্মরণ করার জন্য, আল্লাহর সাথে আপনার সম্পর্ক গভীর করার জন্য নিয়মিত ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করতে পারেন। উপরে ইয়া ওয়াদুদু এর ফজিলত জানিয়েছি।

ইয়া ওয়াদুদু পড়ার নিয়ম

আমরা তো জানলাম ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করে কি কি উপকার পাওয়া যায়। তবে সেই উপকার গুলো পাওয়ার জন্য ইয়া ওয়াদুদু পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। ইয়া ওয়াদুদু পড়ার সঠিক নিয়ম না জানলে আপনি এই উপকার গুলো পাবেন না। ইয়া ওয়াদুদু আল্লাহর গুনবাচক নাম গুলোর মধ্যে একটি। 
এই নামটি বেজোড় সংখ্যায় পাঠ করে কোন খাবারের ওপর দম করে সেই খাবার উভয় খেতে হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আপনি এটি যত বেশি পারেন পাঠ করতে পারেন। তবে আপনি বিশেষ কিছু উদ্দেশ্যে ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করতে চাইলে সেই নিয়ম গুলো ব্যতিক্রমী হবে। তাই নিচে আপনি কিভাবে ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করবেন ইয়া ওয়াদুদু পড়ার নিয়ম দেওয়া হলোঃ
  • ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করার জন্য প্রথমে তওবা ও ইস্তেগফার করুন। ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করার জন্য প্রথমে তওবা ও ইস্তেগফার পাঠ করার পর দুরুদ শরীফ পাঠ করুন। এরপর অন্তরে বিশ্বাস রেখে কোন মিষ্টি জাতীয় খাবার অথবা পরিষ্কার কাচের গ্লাসে শরবত নিন এরপর ইয়া ওয়াদুদ পাঠ করে সেই খাবারে ফুক দিন।
  • স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসার বন্ধন বৃদ্ধির জন্য ৩,৫,৭, ১০০১, বার অথবা বেজোড় সংখ্যায় পাঠ করে কোন খাবার অথবা শরবতে ফুঁক দিয়ে স্বামী স্ত্রী উভয় খেলে একে অপরের প্রতি ভালবাসার বন্ধন বৃদ্ধি হবে।
  • ৭ বার ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করে কোন খাবারে ফুক দিয়ে সন্তানকে খাওয়ালে সে সন্তান বাধ্য হবে।
  • ৭ বার ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করে খাবারে ফুক দিয়ে বাবা মাকে খাওয়ালে সন্তানের প্রতি বাবা-মার ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে।
  • ৫ বার ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করে কোন মিষ্টি খাবারে ফুক দিয়ে শত্রুদের খাওয়ালে সেই শত্রুগুলো বন্ধুতে পরিণত হবে।
  • ১০১ বার ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করে কোন মিষ্টি খাবারের উপর ফুক দিয়ে পুরো পরিবারের সকলে খেলে পুরো পরিবারের সকলের ভালোবাসা বন্ধন সুদৃঢ় হবে।
  • ৫১ বার ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করে খাবারে ফুক দিয়ে দুই বন্ধু মিলে একই খাবার খেলে বন্ধুত্বের সম্পর্ক সুদৃঢ় হবে।
আল্লাহর ভালোবাসা ও মহব্বত পেতে নিয়মিত যত বেশি পারেন বেজোড় সংখ্যায় ৩৩, ৯৯, ১০১, অথবা এর চাইতেও বেশি পাঠ করতে পারেন। প্রিয় পাঠক উপরে ইয়া ওয়াদুদু পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানিয়েছি। আশা করি ইয়া ওয়াদুদু পড়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

ইয়া ওয়াদুদু এর আমল

অনেকেই ইয়া ওয়াদুদ পাঠ করতে চান কিন্তু ইয়া ওয়াদুদু এর আমল সম্পর্কে জানেন না। ইয়া ওয়াদুদ এর আমল অনেক সহজ। ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়া যায়। কেননা ইয়া ওয়াদুদু এর অর্থ হল "হে ভালোবাসা প্রদানকারী" তাই আপনি এই নামটি মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে পড়ে আপনি যে নিয়োত টি করবেন আল্লাহ আপনার ওই নিয়তের উপর ভালোবাসা বৃদ্ধি করবেন। 

ইয়া ওয়াদুদু মূলত বেজোড় সংখ্যায় পড়তে হয়। আপনি আল্লাহর প্রতি ভালবাসা প্রকাশে বেজোড় সংখ্যায় যত বেশি পড়তে পারেন। তবে সর্বনিম্ন ৩৩ বার পড়তে হয়। ৩৩, ৪১, ৭৭, ৯১, ১০১, ১০০১ বার পাঠ করতে পারেন। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসার বন্ধন সুদৃঢ় করতে ইয়া ওয়াদুদু এর আমল বিজোড় সংখ্যায় পড়ুন। ৩৩ বার পাঠ করে কোন খাবারে ফুক দিয়ে স্বামী স্ত্রী উভয় খেয়ে নিন। 
  • অথবা বেজোড় সংখ্যায় ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করে মিষ্টি কোন খাবারে ফু দিয়ে খেতে পারেন। নিচে ইয়া ওয়াদুদু এর আমল দেওয়া হলোঃ
  • স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসার বন্ধন সুদৃঢ় করতে ৩,৭, ১০০১, বার পাঠ করে খাবারে ফুক দিন এরপর দুজনে খেয়ে নিন।
  • পারিবারিক কলহ দূর করতে ৩৩ বার পাঠ করে কোন খাবারে ফুক দিয়ে এরপর দুজনে খেয়ে নিন এতে পারিবারিক কলহ দূর হবে।
  • বাবা মার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা বৃদ্ধিতে ইয়া ওয়াদুদু ৭ পাঠ করে কোন খাবারে ফুক দিয়ে সন্তান অথবা বাবা মাকে খাওয়ান।
  • পুরো পরিবারের ভালোবাসার বন্ধন সুদৃঢ় রাখতে ১০১ বার পাঠ করে কোন খাবারে ফুক দিয়ে এরপর পরিবারের সকলে খান।
  • শত্রুদের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করতে ৫১ বার ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করে কোন খাবারে ফুক দিয়ে শত্রুদের খাইয়ে দেন।
ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করার জন্য প্রথমে তওবা ও ইস্তেগফার করুন। ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করার জন্য প্রথমে তওবা ও ইস্তেগফার পাঠ করার পর দুরুদ শরীফ পাঠ করুন। এরপর অন্তরে বিশ্বাস রেখে কোন মিষ্টি জাতীয় খাবার অথবা পরিষ্কার কাচের গ্লাসে শরবত নিন এরপর ইয়া ওয়াদুদ পাঠ করে সেই খাবারে ফুক দিন।

প্রিয় পাঠক উপরে ইয়া ওয়াদুদু এর আমল আপনাদের জানিয়েছি। ইয়া ওয়াদুদু আপনি উপরে দেওয়া এই নিয়মে আমল করতে পারেন। তবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইয়া ওয়াদুদু পাঠের কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। আপনি যত খুশি আল্লাহর এই গুণবাচক নাম পাঠ করতে পারেন।

ইয়া ওয়াদুদু কিসের দোয়া

ইয়া ওয়াদুদু কিসের দোয়া তা অনেকে জানেন না। ইয়া ওয়াদুদু আল্লাহর সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক বৃদ্ধির একটি দোয়া। ইয়া ওয়াদুদু অর্থ হে ভালোবাসা প্রদানকারী। ইয়া ওয়াদুদু আল্লাহর গুণবাচক নাম। এই গুণবাচক নাম পাঠ করলে মূলত একে অপরের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি হয়। আল্লাহর গুণবাচক নাম পাঠ করে কোন খাবারে ফুক দিয়ে খাবার খেলে একে অপরের প্রতি ভালোবাসার সম্পর্ক বৃদ্ধি হয়। 
ইয়া ওয়াদুদু স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা বৃদ্ধির দোয়া। ইয়া ওয়াদুদু শত্রুদের সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপনের দোয়া। ইয়া ওয়াদুদু সুসম্পর্ক তৈরির দোয়া। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য, রাগারাগি, দূর করে ভালোবাসার সম্পর্ক বৃদ্ধির দোয়া। ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে আল্লাহর কাছ থেকে রহমত ও বরকত পাওয়া যায়। নিয়মিত ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

ইয়া ওয়াদুদু কখন পড়তে হয়

দাম্পত্য জীবনে সুখ শান্তি আনতে ইয়া ওয়াদুদু পড়ার নিয়ম মেনে পাঠ করুন। এতে আপনাদের দাম্পত্য জীবনে সুখশান্তি ফিরে আসবে। বিপদ মুসিবত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ইয়া ওয়াদুদু পড়ার নিয়ম অনুযায়ী ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। ইয়া ওয়াদুদু কখন পড়তে হয় তা অনেকে জানেন না। নিচে ইয়া ওয়াদুদু কখন পড়তে হয় সে সম্পর্কে দেওয়া হলোঃ
  • স্বামী স্ত্রীর একে অপরের প্রতি ভালোবাসার সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে ইয়া ওয়াদুদু ১০০১ বার পাঠ করুন, যেকোনো সময়।
  • ফজরের পর ১০০ বার পরলে স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা বৃদ্ধি হয়।
  • তাহাজ্জুতের সময় পড়লে আল্লাহর রহমত পাওয়া যায়।
  • মাগরিবের পর ১০০ বার পড়লে দোয়া দ্রুত কবুল হয়।
  • জুম্মার দিন ৩১৩ বার পড়লে আল্লাহর ভালোবাসা ও দয়া পাওয়া যায়।
  • নামাজের পর একশোবার বা ৪১ বার পড়লে আত্মার প্রশান্তি আসে।
  • শত্রুতা অবসানের জন্য বেজোড় সংখ্যায় পাঠ করতে হয়।
  • হারানো ভালোবাসা ফিরে পেতে প্রতিদিন ১০০০ বার পাঠ করতে হয়।

ইয়া ওয়াদুদু কতবার পাঠ করা উচিত

ইয়া ওয়াদুদু কতবার পাঠ করা উচিত ও ইয়া ওয়াদুদু পড়ার নিয়ম তা অনেকে জানেন না। ইয়া ওয়াদুদু কতবার পাঠ করবেন তার নির্ধারণ করে আপনি কি জন্য পাঠ করতে চাচ্ছেন। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পাঠ করতে চাইলে আপনি যত ইচ্ছা পাঠ করতে পারেন। তাছাড়া আপনি যে নির্দিষ্ট বিষয়ের জন্য পাঠ করতে চাচ্ছেন তার ওপর ভিত্তি করে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা নির্ধারিত রয়েছে। 

যেমন ভালোবাসা বৃদ্ধির জন্য ১০০ বার, দোয়া কবুলের জন্য ১০০ বার, রহমত লাভের জন্য ১০০ বার, আল্লাহর দয়া ও ভালোবাসা বৃদ্ধির জন্য ৩১৩ বার, হারানো ভালোবাসা ফিরে পেতে ১০০০ বার পাঠ করা উচিত।

ইয়া ওয়াদুদু নামের ফজিলত

ইয়া ওয়াদুদু আল্লাহর ৯৯ টি নামের মধ্যে একটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ নাম। ইয়া ওয়াদুদু অর্থ হে ভালোবাসা প্রদানকারী। মহান আল্লাহর এই নাম আমল করলে অনেক ফলাফল পাওয়া যায়। স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা বৃদ্ধির জন্য এই আমল করা যায়। বিশেষ করে যারা দাম্পত্য জীবনে সমস্যায় রয়েছেন, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহ বিবাদ লেগেই থাকে তারা এই নামটির আমল করতে পারেন এতে আপনাদের সম্পর্ক মজবুত হবে। 

এছাড়া শত্রুর মন নরম করতে, বন্ধুত্বের সম্পর্ক দৃঢ় করতে, মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও দয়া বৃদ্ধি করতে, হারানো ভালোবাসা ফিরে পেতে, পরিবারের সুখ শান্তি ফিরিয়ে আনতে, আত্মিক প্রশান্তি লাভের জন্য, বিপদ আপদ থেকে মুক্তির জন্য, আল্লাহর বিশেষ রহমত লাভের জন্য ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করতে পারেন।

লেখকের মন্তব্য

ইয়া ওয়াদুদু আল্লাহর ৯৯ টি নামের মধ্যে অন্যতম একটি ফজিলত পূর্ণ নাম। এই নামটির বেশ কিছু ফজিলত রয়েছে। আজকের আর্টিকেলটিতে ইয়া ওয়াদুদু পড়ার নিয়ম, ইয়া ওয়াদুদু এর আমল সম্পর্কে সঠিক তথ্য শেয়ার করেছি। এছাড়া আল্লাহর এই গুণবাচক নাম নিয়ে প্রত্যেকটি বিষয় জানিয়েছি। আশা করি বিষয়গুলো জেনে উপকৃত হবেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। 

নিয়মিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করুন। অন্যান্য ইনফরমেশন সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটে ক্যাটাগরি গুলো ঘুরে আসুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন