২০টি জান্নাতের ফুলের নাম, বাগানের, নদীর, ঝর্ণার, পাখির নাম
জান্নাতের ফুলের নাম শুনলে আত্মা প্রশান্তিতে ভরে উঠবে। জান্নাতের ফুল এতটা সুন্দর হবে যা আমাদের কল্পনার বাইরে। এমন কোন ব্যক্তি নেই যারা ফুল পছন্দ করেন না। যারা ফুল পছন্দ করেন তাদের হৃদয় ফুলের মত পবিত্র। পবিত্র হৃদয়ের ব্যক্তিরা নিয়মিত জান্নাতের কিছু ফুলের নাম, জান্নাতের বাগানের নাম, নদীর নাম, ঝর্ণার নাম, দরজার নাম, সুগন্ধের নাম সম্পর্কে খোঁজ করেন। আজকের আর্টিকেলটিতে উপরে দাও প্রত্যেকটি বিষয় থাকছে বিস্তারিত।
জান্নাতের ফুলের নাম এমন যা মানুষের হৃদয় কল্পনা করতেও ব্যর্থ, এর সঠিক নাম সৌন্দর্য শুধুমাত্র আল্লাহ কল্পনা করতে পারেন। অনেকে নিয়মিত জান্নাতের ফুল সম্পর্কে জানতে চান। আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে সে সকল বন্ধুদের উদ্দেশ্যে জান্নাতের ফুল, বাগান, নদী, ঝর্ণা, পাখি, দরজা, সুগন্ধীর নাম জানিয়ে দেব। তাই বিস্তারিত জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ জান্নাতের ফুলের নাম - জান্নাতের বাগানের নাম
.
জান্নাতের নদীর নাম
জান্নাত সম্পর্কে যারা জানতে চান তাদের মনে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন আসে জান্নাতের নদীর নাম সম্পর্কে। জান্নাতের নদী কেমন হবে, জান্নাতের নদীর নাম কি, জান্নাতের নদীগুলো জান্নাতের ব্যক্তিদের কি উপকারে আসবে। কুরআন ও হাদিসে জান্নাতের ৪টি নদীর কথা উল্লেখ রয়েছে। এই ৪টি নদী জান্নাতি ব্যক্তিদের জন্য নহর বয়ে আনবে।
জান্নাতের একটি নদী হবে কাউসার এই নদী থেকে জান্নাতি ব্যক্তিরা পরিষ্কার বিশুদ্ধ সবচেয়ে সুস্বাদু পানি পান করবেন। এই জান্নাতের নদীর পানির স্বাদ হবে পুরো পৃথিবীর সকল উৎসের পানির চাইতে সুস্বাদু। জান্নাতের দ্বিতীয় নদীটি হবে মধুর। জান্নাতি ব্যক্তিরা এ নদী থেকে পরিষ্কার বিশুদ্ধ মধু খেতে পারবেন। এ মধুর স্বাদ দুনিয়ার কোন মধুর সাথে মিল নেই।
আরো পড়ুনঃ জান্নাতের হুরদের নাম ৬টি - হুরদের সর্দারনী
এ মধু হবে অত্যন্ত সুস্বাদু এর স্বাধ এখন পর্যন্ত কোন হৃদয় অনুভব করতে পারেনি। জান্নাতের তৃতীয় নদীটি হবে দুধের, এবং চতুর্থ নদীটি হবে শরাবের। প্রত্যেকটি জান্নাতি ব্যক্তিরা এ নদী থেকে ইচ্ছে মতো সবকিছু কিছু পান করতে পারবেন। তবে এই নদী গুলোর প্রত্যেকটি পানীয়র স্বাধ হবে পৃথিবীর প্রত্যেকটি খাবারের চাইতে বেশি সুস্বাদু।
এছাড়া আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা) বলেছেনঃ দুনিয়াতে জান্নাতের চারটি নদী রয়েছে সেগুলো হলোঃ ফোরাত নদী, মিশরের নীলনদ, তুরস্কের জয়হান নদী, তুরস্কের সিহান নদী। তবে জান্নাতের প্রধান নদী ৪টি হবে এর শাখা নদী হিসেবে অসংখ্য নদী প্রবাহিত থাকবে। প্রত্যেকটি নদী জান্নাতি ব্যক্তিদের সৌন্দর্য দিতে, এবং কল্যাণে প্রবাহিত হবে।
জান্নাতের ফুলের নাম
বেহেস্তের ফুলের নাম ও দেখার সৌন্দর্য শুধুমাত্র জান্নাতিরা সুযোগ পাবেন। জান্নাতের ফুলের নাম অনেকে খোঁজ করেন। কোরআন অথবা হাদিসে কোথাও নির্দিষ্টভাবে কোন জান্নাতি ফুলের নাম উল্লেখ করা নেই। তবে কুরআনের বিভিন্ন সূরাতে কিছু জান্নাতি ফুল, নদী, ঝরনার নাম উল্লেখ করা রয়েছে। অনেকে জান্নাতের সেই সুন্দর ফুলের নাম গুলো জানতে চান।
কেননা পৃথিবীতে প্রত্যেকটি ব্যক্তিরই সবচেয়ে বেশি পছন্দ ফুল ও ফুলের সুবাস। জান্নাতে ফুল এতটা সুন্দর হবে যা কোন হৃদয় কখনো কল্পনাও করতে পারেনি, কোন চোখ কখনো দেখেনি, কোন নাক কি সুগন্ধ পায়নি। শুধুমাত্র যারা জান্নাতে যাবে একমাত্র তারাই এর সুবাস, ছোঁয়া, সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে।
জান্নাতে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতি ব্যক্তিদের জন্য প্রত্যেকটি সৌন্দর্য বস্তুুর ব্যবস্থা রেখেছেন। আল্লাহর প্রিয় পাত্র ব্যক্তিরা জান্নাতে গিয়ে সে গুলোর মাধ্যমে আরাম-আয়েশ, সৌন্দর্য অনুভব করতে পারবেন। জান্নাতের ফুল হবে সবচেয়ে বেশি সুগন্ধযুক্ত, যা এই পর্যন্ত পৃথিবীর কোন ফুলে সেরকম সুগন্ধ নেই। জান্নাতের ফুল এতটা সুন্দর যে ঐরকম কোন ফুল পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত কোথাও নেই।
আল্লাহ যাদেরকে জান্নাত দান করবেন তারা কতই না ভাগ্যবান। যে তারা এত সুন্দর সুন্দর প্রত্যেকটি জান্নাতি নেয়ামত উপভোগ করবেন। অনেকে নিয়মিত জান্নাতের ফুলের নাম, জান্নাতি কিছু ফুলের নাম, বেহেস্তের ফুলের নাম খোঁজ করেন। সে সকল বন্ধুদের উদ্দেশ্যে নিচে জান্নাতের ফুলের নাম দেওয়া হলোঃ
- ইশাল
- জুনাইরা
- রেহান
- আরিজ
- মেনাল
- মিনাহিল
- জারা
- মিফা
- এজাজ
- আইহান
- মেলিয়া
- রামজিলাতুবা
- রদব
- কাফুর
- ইয়াসমিন
- কাওয়াব
- আহাম
প্রিয় পাঠক নিচে প্রত্যেকটি ফুলের নামের অর্থ দেওয়া হলোঃ
- আফনান অর্থ ফুলের শাখা
- ইশাল অর্থ সুন্দর
- জুনাইরা অর্থ সুন্দরী মেয়ে
- রেহান অর্থ ফুলের তোড়া
- আরিজ অর্থ সুগন্ধি ফুল
- মেনাল অর্থ জান্নাতের বিশেষ ফুল
- মিনাহিল অর্থ বেহেস্তের সবচেয়ে সুন্দর ফুল
- জারা অর্থ জান্নাতের রানী
- এজাজ অর্থ অলৌকিকতা
- আইহান অর্থ চাঁদের আলোয় ভরা
- মেলিয়া অর্থ মধুর মত মিষ্টি
- রামজিলাতুবা
- রদব অর্থ তাজা সবুজ
- কাফুর অর্থ সাদা রঙের সুগন্ধি ফুল
- ইয়াসমিন অর্থ জুঁই ফুল
প্রিয় পাঠক উপরে জান্নাতের ফুলের নাম আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। এই নাম গুলো কোরআন, হাদিস, বিভিন্ন ইসলামিক স্কলার দের তথ্য থেকে পাওয়া। তবে একমাত্র মহান আল্লাহ জানেন জান্নাতে ফুলের নাম কি হবে, দেখতে কেমন হবে, কেমন সুগন্ধ হবে। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন জান্নাতে নিয়ামত গুলো এমন হবে যা আজ পর্যন্ত কোন হৃদয় কল্পনা করেনি, কোন দুচোখ দেখেও নি। আশা করি জান্নাতের ফুলের নাম অর্থ সহকারে জানতে পেরেছেন।
জান্নাতের বাগানের নাম
আমাদের মধ্যে প্রত্যেকেই জান্নাতের প্রত্যেকটি বিষয়ের নাম জানতে চাই। বিশেষ করে জান্নাতের কিছু ফুলের নাম। জান্নাতের ফুলের নাম মনে আসলেই হৃদয় ভরে ওঠে সেই অলৌকিক আনন্দে। জান্নাতের বাগানের নাম ভাবতে গিয়ে কল্পনার সাগরে হারিয়ে যায়। অনেক প্রিয় বন্ধুরা জান্নাতের বাগানের নাম খোঁজ করেন। জান্নাতের বাগানের নাম নির্দিষ্ট ভাবে কোন কুরআন অথবা হাদিসে নেই।
তবে জান্নাত অর্থ বাগান, উদ্যান, জান্নাত মানে বাগান। আল্লাহ যে জান্নাত গুলো প্রিয় বান্দাদের জন্য তৈরি করে রেখেছেন সেগুলো প্রত্যেকটি বাগান। এ বাগানগুলোতে থাকবে আল্লাহর অশেষ নেয়ামত, যা কখনো শেষ হবার নয়, আপনি যা চাইবেন জান্নাতের বাগানে তা পেয়ে যাবেন। জান্নাতের বাগান হবে একজন জান্নাতি ব্যক্তির চিরস্থায়ী ঠিকানা।
তাইতো জান্নাতের কথা চিন্তা করতে গিয়ে প্রত্যেকটি হৃদয় জান্নাতের বাগানের নাম খোঁজ করে। জান্নাতের বাগানের নাম মূলত জান্নাতের ভিন্ন ভিন্ন স্তর। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ৮টি জান্নাতের কথা উল্লেখ করেছেন। এ জান্নাতে গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সর্বোচ্চ, শ্রেষ্ঠ জান্নাত হল জান্নাতুল ফিরদাউস (বেহেস্তের সবচেয়ে সেরা বাগান) এছাড়া আরো ৭টি জান্নাত রয়েছে যেগুলো প্রত্যেকটি বাগান। নিচে জান্নাতের বাগানের নাম, জান্নাতের নাম দেওয়া হলোঃ
- জান্নাতুল ফিরদাউস
- জান্নাতুন নাঈম
- জান্নাতুল মাওয়া
- জান্নাতুল আদন
- দারুস সালাম
- দারুল খুলুদ
- দারুল মাকাম
- দারুল করার
প্রিয় পাঠক উপরে জান্নাতের নাম, জান্নাতের বাগানের নাম আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। মূলত এগুলো জান্নাতের বাগান। মহান আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদের জান্নাতের এই বাগান গুলো দান করবেন।
জান্নাতের ঝর্ণার নাম সমূহ
কুরআন ও হাদিসে জান্নাতের তিনটি ঝর্ণার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই তিনটি ঝর্ণা হবে জান্নাতের ঝর্ণার প্রধান উৎস। এই ঝর্ণা গুলোর থেকে পানির প্রবাহ বয়ে যাবে। জান্নাতের তিনটি ঝর্ণার পানির স্বাদ ভাবে ভিন্ন ভিন্ন রকম। জান্নাতের ৩টি ঝর্ণার নাম হলোঃ কাফুর, সালসাবিল, তাসনিম, ভিন্ন ভিন্ন ঝর্ণায় ভিন্ন ভিন্ন পানি প্রবাহিত হবে। কাফুর ঝর্ণার পানি হবে অত্যন্ত স্বাদযুক্ত।
জান্নাতিরা এই ঝর্ণা থেকে সুস্বাদু পানি পান করবেন। জান্নাতের এই ঝর্ণার পানি দুনিয়ার কোন পানির মত সাধারণ পানি নয়। জান্নাতের কাফুর ঝরনার পানি অত্যন্ত সুস্বাদু, একবার এই পানি পান করলে হৃদয় তৃপ্তিতে ভরে যাবে। কোন ব্যক্তি এই পানি পান করলে সেই জান্নাতে ব্যক্তিকে সহজে আর পিপাসা লাগবেনা। জান্নাতের দ্বিতীয় ঝর্ণা সালসাবিল এ ঝর্ণা জান্নাতি ব্যক্তিদের চা, কফির তৃপ্তি দেবে।
আরো পড়ুনঃ ওয়েবসাইটে এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট
জান্নাতি ব্যক্তিরা চা কফি পান করতে চাইলে এই ঝর্ণা থেকে পান করতে পারবেন। সালসাবিল ঝর্ণা থেকে চা ও কফির নহর বয়ে যাবে। জান্নাতে ব্যক্তিরা তাদের ইচ্ছেমতো এ নহর থেকে চা কফি পান করতে পারবেন। জান্নাতের তৃতীয় ঝর্ণা হলো তাসনিম। তাসনিম ঝর্ণার পানির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এই পানি হবে নাতিশীতোষ্ণ, এটি ঠান্ডা অথবা গরম কোনোটিই নয়, ২ টির মাঝামাঝি।
জান্নাতি ব্যক্তিরা তাসনিম ঝর্ণা থেকে তাদের তৃপ্তি পূরণ করে পানি পান করতে পারবেন। দুনিয়াতে যারা সৎ কাজ করেছিল, প্রিয় নবীর দেখানো পথ অনুসরণ করেছিল, আল্লাহকে ভয় করেছিল শুধুমাত্র তারাই আল্লাহর এই নিয়ামত গুলো উপভোগ করতে পারবেন।
জান্নাতের পাখির নাম
কুরআন অথবা হাদিসে কোথাও নির্দিষ্টভাবে জান্নাতের পাখির নাম উল্লেখ করা নেই। তবে জান্নাতে অসংখ্য পাখি থাকবে। যে পাখিগুলো জান্নাতে ব্যক্তিদের মধুর কন্ঠের কলরব দ্বারা জান্নাতীদের মুগ্ধ করবে। সুন্দর পাখিগুলো জান্নাতি ব্যক্তিদের আনন্দিত করবে। তবে কোরআনে ২৭ নম্বর সূরা আন নমলের ২০ থেকে ৩১ নম্বর আয়াতে একটি পাখির কথা উল্লেখ আছে সেটি হচ্ছে হুদহুদ পাখি।
হুদহুদ পাখিটি জান্নাতের পাখি। এ পাখিটি সোলাইমান (আঃ) বার্তাবাহক ছিলেন। তবে জান্নাতে মহান আল্লাহ কোন পাখিগুলো রেখেছেন, দেখতে কেমন, তার নাম কি হবে শুধুমাত্র তিনি জানেন।
জান্নাতের দরজার নাম
পবিত্র কোরআনে জান্নাতের ৮টি দরজার কথা বলা হয়েছে। জান্নাতের ৮টি দরজার নাম ভিন্ন ভিন্ন রকম। যে ব্যক্তিরা যে কাজ করবেন মহান আল্লাহ খুশি হয়ে ওই ব্যক্তিদের ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করার অনুমতি দেবেন। জান্নাতের ৮টি দরজার বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলোঃ
বাবুস সালাতঃ যারা আল্লাহর এবাদতে মশগুল ছিল, নিয়মিত সালাত আদায় করতেন, আল্লাহর সকল বিধি নিষেধ মেনেছিলেন আল্লাহ সে সকল বান্দাদের বাবুল সালাদ নামের দরজা দিয়ে প্রবেশ করার অনুমতি দেবেন।
বাবুল জিহাদঃ যে ব্যক্তিরা আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয়েছিলেন তারা এই জিহাদ নামের দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবেন। দ্বীন কায়েমের জন্য, ইসলামের জন্য, জিহাদ করে যারা শহীদ হয়েছেন মহান আল্লাহ বাবুল জিহাদ নামের এই দরজা দিয়ে সে সকল শহীদ ব্যক্তিদের জান্নাতে প্রবেশ করার অনুমতি দেবেন৷
বাবুর রাইয়ানঃ বাবুর রাইয়ান দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন রোজা পালনকারী ব্যক্তিরা। যারা দুনিয়াতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য রোজা রেখেছিলেন। সে সকল বান্দাদের মহান আল্লাহ বাবুর রাইয়ান নামের দরজা দিয়ে প্রবেশ করার অনুমতি দেবেন।
বাবুস সাদকাঃ যে সকল ব্যক্তিরা আল্লাহর রাস্তায় দান করেছিলেন, অসহায় ব্যক্তিদের সাহায্যে সহযোগিতা করেছিলেন। ইসলামের পথে তাদের অর্জিত অর্থ ব্যয় করেছিলেন, সে সকল ব্যক্তিদের মহান আল্লাহ বাবুস সাদকা নামক দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করার অনুমতি দেবেন।
বাবুল ঈমানঃ যে সকল বান্দাদের ঈমান মজবুত ছিল, আল্লাহর বিধি নিষেধ পালন করেছিলেন। আল্লাহর উপর ঈমান এনেছিলেন মনে প্রানে আল্লাহকে বিশ্বাস করেছিলেন সে সকল ব্যক্তিরা বাবুল ঈমান নামের এই দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবেন।
বাবুল কাজিমিন-আল-গায়িজঃ যে সকল ব্যক্তিরা মানুষের ভুল ক্ষমা করেছেন, নিজের রাগ নিজে নিয়ন্ত্রণ করেছেন, অন্যের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত অত্যাচারিত হওয়ার পরেও সে সকল ব্যক্তিদের ক্ষমা করেছেন ওই ব্যক্তিদেরকে মহান আল্লাহ বাবুল কাজিমিন-আল-গায়িজ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
বাবুর রাজিয়িনঃ যে সকল ব্যক্তেরা আল্লাহর নেয়ামতে সন্তুষ্ট ছিলেন, দুঃখ কষ্ট আল্লাহকে স্মরণ করেছিলেন, আল্লাহর প্রত্যেকটি নিয়ামতে দুঃখের কষ্টে আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন মহান আল্লাহ সে সকল ব্যাক্তিদেরকে বাবুর রাজিয়িন নামক দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দেবেন।
বাবুত তওবাঃ যে সকল ব্যক্তিরা নিজেদের কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন, নিজের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতেন, সব সময় তওবা করতেন মহান আল্লাহ সেই ব্যক্তিদের ক্ষমা করে বাবুত তওবা নামক দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দেবেন।
জান্নাতের সুগন্ধির নাম
কোরআন অথবা হাদিসে জান্নাতের নির্দিষ্ট কোন সুগন্ধীর নাম উল্লেখ করা নেই। তবে জান্নাতে রয়েছে সুগন্ধি যুক্ত সুঘ্রাণ। যা প্রত্যেকটি জান্নাতি ব্যক্তিরা এ সুগন্ধ, সুঘ্রাণ পাবেন। রাসুল (সা) বলেছেন জান্নাতের সুগন্ধ ৫০০ বছরের দূরবর্তী স্থান থেকেও পাওয়া যাবে (ইবনে মাজহ ২৬১১) কিছু কিছু বর্ণনায় ৭০, ১০০, বছরের দূরবর্তী পথ থেকেও জান্নাতের সুগন্ধি সুঘ্রাণ পাওয়া যাবে বলা হয়েছে৷
লেখকের মন্তব্য
জান্নাতি ব্যক্তিদের জন্য জান্নাত হবে সবচেয়ে সুখের স্থান। জান্নাত হবে চিরস্থায়ী, আল্লাহ যে সকল ব্যক্তিদের জান্নাত দান করবেন তারা এ জান্নাতের চিরস্থায়ী ভাবে বসবাস করবেন৷ এখানে মৃত্যু, রোগবালাই, বার্ধক্য স্পর্শ করবে না। জান্নাত অত্যন্ত সুখের স্থান। আজকের পুরো আর্টিকেলটিতে জান্নাতের ফুলের নাম, জান্নাতের বাগানের নাম,
জান্নাতের নদীর নাম, জান্নাতের ঝর্ণা নাম, জান্নাতের দরজার নাম, জান্নাতের সুগন্ধীর নাম সম্পর্কে আপনাদের জানিয়েছি। জান্নাতের আরো কোন বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে প্রিয়জনদের সুবিধার্থে শেয়ার করুন।
নিয়মিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। অন্যান্য আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরি গুলো ঘুরে আসুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।