একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
বাংলাদেশের বাঙালি জাতির একুশে ফেব্রুয়ারি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ দিন নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষায় বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। বিশেষ করে বিসিএস পরীক্ষা সহ অন্যান্য পরীক্ষায় একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে সংক্ষিপ্ত সহ বেশ প্রশ্ন থাকে। একাধিক পরীক্ষায় একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য লিখতে বলা হয়। আপনি যদি এই বাক্য গুলো জেনে থাকেন তাহলে খুব সহজে লিখতে পারবেন, আপনার পরীক্ষা হবে অত্যন্ত সহজ। মাতৃভাষা সম্পর্কে ১০টি বাক্য, ও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে ১০টি করে বাক্য লিখেছি আজকের আর্টিকেলটিতে।
একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বাংলা ভাষাভাষী ব্যক্তিদের একটি বিশেষ দিবস। এই দিনে আমাদের মুখের এই ভাষার জন্য শহীদ হয়েছিল আমাদের প্রাণপ্রিয় ভাইয়েরা। তাদের স্মরণে আমরা একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটি পালন করি। এ মাতৃভাষার এই দিনটি নিয়েই বিভিন্ন পরীক্ষায় বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয় এর মধ্যে একটি হলো একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ও মাতৃভাষা সম্পর্কে ১০টি বাক্য। আজকের আর্টিকেলটিতে একুশে ফেব্রুয়ারি, মাতৃভাষা, ভাষা আন্দোলন, ভাষা শহীদদের সম্পর্কে ১০টি বাক্য লিখেছি। তাই প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে ১০টি করে বাক্য জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য - মাতৃভাষা সম্পর্কে ১০টি বাক্য
.
২১ শে ফেব্রুয়ারি কেন পালন করা হয়
২১ ফেব্রুয়ারি কেন পালন করা হয় সে সম্পর্কে অনেক শিক্ষার্থীর খোঁজ করেন। ২১শে বাঙালি জাতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। আমাদের বাংলাদেশ ছিল পূর্বে পূর্ব পাকিস্তান। আমাদের এই পূর্বের পাকিস্তানের ভাষা ছিল বাংলা। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তান আমাদের পূর্ব পাকিস্তানের এই বাংলা ভাষাকে জোর করে রাষ্ট্রভাষা উর্দু ভাষা উর্দু ভাষাতে চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করেছিল।
কিন্তু আমাদের পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেয়নি। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি(৮ ফাল্গুন ১৩৫৮) সালে আমাদের পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু ভাষায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষার্থীবৃন্দরা ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার দাবিতে আন্দোলন করে।
২১ ফেব্রুয়ারির এই দিনটিতে ঢাকায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। এই আন্দোলনের মিছিলে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। পুলিশের গুলিতে শহীদ হয় ছাত্র জনতা এরমধ্যে, রফিক, শফিউ, জব্বার, সালাম, বরকত, এছাড়া নাম না জানা আরো অনেকেই। এই দিনে ভাষার জন্য শহীদ হয়েছিল শিক্ষার্থীরা। তাই একুশে ফেব্রুয়ারির সেই শহীদদের উদ্দেশ্যে ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটি পালন করা হয়।
একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
এ পর্যন্ত বেশ কিছু পরীক্ষায় একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য লিখতে বলা হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু স্কুল ও কলেজের প্রশ্নপত্রেও মাতৃভাষা সম্পর্কে ১০টি বাক্য ও একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য লিখ প্রশ্ন আসে। তাই অনেক শিক্ষার্থী এ বিষয়ে খোঁজ করেন। আপনি যদি একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০টি বাক্য জেনে থাকেন তাহলে আপনি খুব সহজে পরীক্ষায় মুহূর্তের মধ্যে লিখতে পারবেন। তাই যে সকল বন্ধুরা একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বাক্য খোঁজ করেন তাদের উদ্দেশ্যে নিচে একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য দেওয়া হলোঃ
- একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে বাঙ্গালীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।
- ১৯৫২ সালের এই দিনে ভাষার স্বীকৃতির জন্য অনেক শিক্ষার্থীরা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
- একুশে ফেব্রুয়ারির দিনটিতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ছাত্র জনতা রাজপথে আন্দোলন করেছিল।
- একুশে ফেব্রুয়ারীর দিনটিতে ঢাকার রাজপথে পুলিশের গুলিতে রফিক, শফিউর, সালাম, বরকত, জব্বার শহীদ হয়েছিলেন।
- একুশে ফেব্রুয়ারীর দিনটিতে ভাষা শহীদদের রক্তের বিনিময়ে বাংলা ভাষা মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
- ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য আত্মত্যাগের প্রতীক।
- একুশে ফেব্রুয়ারীর দিনটিতে শহীদ মিনারে শহীদদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
- ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি, আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানটি সেই দিনের আবেগের প্রতীক।
- একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটি বাঙালি জাতির জাতীয়তাবাদের সূচনায় ঘটায়।
- ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি এই দিনটি নতুন প্রজন্মকে ভাষার প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ শেখায়।
প্রিয় পাঠক উপরে একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আশা করি এই বাক্যগুলো আপনাদের পছন্দ হবে। এই বাক্যগুলো আমাদের ১৯৫২ সালের সেই একুশে ফেব্রুয়ারির দিনটির কথা মনে করিয়ে দেয়। কতইনা বেদনাদায়ক ছিল সেই দিনটি।
মাতৃভাষা সম্পর্কে ১০টি বাক্য
মাতৃভাষা সম্পর্কে ১০টি বাক্য বেশ কিছু পরীক্ষায় লিখতে বলা হয়। বিশেষ করে বিভিন্ন স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রে মাতৃভাষা সম্পর্কে ১০টি বাক্য লিখ এরকম প্রশ্ন আসে। তাই আপনার যদি পূর্বে থেকে মাতৃভাষা সম্পর্কে ১০টি বাক্য জানা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি নির্দ্বিধায় খুব সহজে লিখতে পারবেন। অনেকে মাতৃভাষা সম্পর্কে দশটি বাক্য সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে খোঁজাখুঁজি করেন। সে সকল বন্ধুদের উদ্দেশ্যে নিচে মাতৃভাষা সম্পর্কে ১০টি বাক্য দেওয়া হলোঃ
- মাতৃভাষা হলো আমার মায়ের মুখের ভাষা যা আমরা জন্মের পর থেকে শিখেছি।
- মাতৃভাষা বাঙালি জাতির পরিচয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ।
- মাতৃভাষা প্রত্যেকটি মানুষের ভাবনা, আবেগ, চেতনা, মনের ভাব প্রকাশের সহজ মাধ্যম।
- মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রত্যেকটি মানুষ সহজেই তার মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে।
- মাতৃভাষা যেন আমার মায়ের ভাষা, এটি আমার কলিজার টান, আমার হৃদয়ের ঘ্রাণ।
- প্রতিটি জাতি তার মাতৃভাষার মাধ্যমে নিজেদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির সংরক্ষণ করে।
- মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো প্রত্যেকটি জাতির ঐ কর্তব্য।
- একুশে ফেব্রুয়ারীর দিনটি মাতৃভাষার জন্য সংগ্রামের একটি দিন।
- মাতৃভাষার অবহেলা একটি জাতির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধ্বংস করতে পারে।
- মাতৃভাষা রক্ষা করা মানে জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্য, সংস্কৃতি রক্ষা করা।
- একটি শিশুর মানসিক বিকাশ, মনের আবেগ প্রকাশের সহজ মাধ্যম মাতৃভাষা।
শহীদ দিবস সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
শহীদ দিবস বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। অনেকেই শহীদ দিবস সম্পর্কে জানতে একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ও শহীদ দিবস সম্পর্কে ১০ টি বাক্য খোঁজ করেন। কেননা এই বাক্য গুলো বেশ কিছু পরীক্ষায় পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি পূর্বে থেকে এ বাক্য সম্পর্কে ধারণা রাখেন তাহলে সহজেই পরীক্ষায় লিখতে পারবেন। নিচে শহীদ দিবস সম্পর্কে ১০ টি বাক্য দেওয়া হলোঃ
- প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস পালিত হয়।
- শহীদ দিবস বাংলাদেশের ভাষা শহীদদের আন্দোলনের স্মরণে বিশেষ একটি দিন।
- ১৯৫২ সালের শহীদ দিবসের এই দিনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বেশ কিছু ছাত্র জনতা শহীদ হয়েছিলেন।
- শহীদ দিবসের এই দিনে শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
- ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারির এই দিনটিকে শহীদ দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন।
- একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস আমাদের মাতৃভাষার ও জাতীয় ঐক্যের প্রতি ভালোবাসার প্রতীক।
- শহীদ দিবস বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার একটি স্মরণীয় দিন।
- প্রতিবছর শহীদ দিবস পালন করে দেশের নতুন প্রজন্ম কে ভাষার মর্যাদা সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হয়।
- একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস টি ভাষার প্রতি বাঙালির আত্মত্যাগের পরিচয় বহন করে।
- শহীদ দিবসের এই দিনটি আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে জাতির উন্নতির পথ দেখায়।
২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য
একুশে ফেব্রুয়ারির দিনে ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন অনেক শিক্ষার্থীরা। আবার অনেক শিক্ষার্থী ২১ শে ফেব্রুয়ারির দিনে বক্তব্য দেবেন বলে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য খোঁজ করেন। সে সকল বন্ধুদের উদ্দেশ্যে নিচে ২১ শে সম্পর্কে বক্তব্য দেওয়া হলোঃ
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি। একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় স্মরণীয় দিন। একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। ১৯৫২ সালের এই দিনটিতে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করার জন্য শহীদ হয়েছিল বেশ কিছু শিক্ষার্থীরা।
মাতৃভাষা বাংলা কে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে ঢাকার রাজপথে ছাত্র জনতারা আন্দোলন করেছিল। এমন সময় সেই মিছিলে পুলিশ গুলিবর্ষণ করেন। পুলিশের গুলিতে সালাম, বরকত, রফিক, শফিক, জব্বার, সহ নাম না জানা আরও অনেকে শহীদ হন। তাদের আত্মত্যাগ শুধু বাংলা ভাষার মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠিত করেনি, এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেরণায় পরিণত করেছিল।
একুশে ফেব্রুয়ারির এই দিনটিতে শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনারে ফুল অর্পনের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, যা আজ সারা বিশ্বে ভাষার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই দিনটি বাঙালি জাতির জন্য গৌরব ও আত্মপরিচয়ের চিরন্তন উদাহরণ।
আমরা কখনো সেই শহীদদের কথা বলবো না যারা ভাষার জন্য শহীদ হয়েছিলেন। বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন সেই রাজপথে। চিরজীবন তাদের জন্য যেন আমাদের এই সম্মান অটুট থাকে। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারীর দিনটিতে শহীদদের সেই আত্মত্যাগ আমাদের মাতৃভাষা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে রক্ষার প্রেরণা যোগায়। এই বলে আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করছি।
একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে অনুচ্ছেদ
একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি এই দিনে রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা শহীদ হয়েছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারীর দিনটিতে রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার দাবিতে ছাত্র জনতা ঢাকার রাজপথে আন্দোলন করেন। এমন সময় পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী সে সফল শিক্ষার্থীর ওপর গুলি করে।
পুলিশের সেই গুলিতে শহীদ হন রফিক, সালাম, শফিউর, বরকত এছাড়া নাম না জানা আরো অনেকেই। এই ভাষার জন্য আজ আমরা কতই না খুশি কিন্তু এই ভাষা রক্ষা করতে গিয়ে, ভাষার মর্যাদা পাওয়ার জন্য জীবন দিতে হয়েছিল নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের। এই দিনটি জাতির জন্য একটি ইতিহাস হয়ে থাকবে। যা পরবর্তীতে নতুন প্রজন্মকে প্রতিবছর স্মরণীয় করে দেবে।
একুশে ফেব্রুয়ারির এই দিনটি ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। যা পুরো বিশ্বে এই দিনটি মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়। একুশে ফেব্রুয়ারীর এই দিনটি শুধু বাংলাদেশ নয় পুরো পৃথিবীর মাতৃভাষা রক্ষার জন্য একটি চিরন্তন উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারীর দিনটি আমাদের শিখিয়ে দেয় ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা সম্পর্কে।
ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে বাক্য আমাদের ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে ধারণা দেয়। শুধুই কি আমরা এই ভাষা এমনিতেই পেয়েছি না ভাষার জন্য আমাদের জাতির ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছিল। ভাষা আন্দোলন বাক্য গুলো আমাদের ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা জানাতে সাহায্য করে। অনেক শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে ১০ টি বাক্য খোঁজ করেন। সে সকল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নিচে ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে ১০ টি বাক্য দেওয়া হলোঃ
- ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মহান সংগ্রাম।
- ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করলে এই ভাষা আন্দোলন শুরু হয়।
- ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করেছিলেন।
- ভাষা আন্দোলনের জন্য পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছিলেন বেশ কিছু শিক্ষার্থী।
- সালাম, রফিক, শফিউর, বরকত, জব্বার সহ নাম না জানা আরো অনেকে ভাষা আন্দোলনে শহীদ হয়েছিলেন।
- ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতির সংস্কৃতি ঐতিহ্য এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- আজব ভাষা আন্দোলনের শহীদদের আত্মত্যাগ আমাদের ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করতে সাহায্য করে।
- যে সকল শহীদেরা ভাষা আন্দোলনে শহীদ হয়েছিলেন তাদের প্রতি আমরা সম্মান দেখাতে কখনো পিছপা হবো না।
- ১৯৪৮ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় সর্বপ্রথম ছাত্র জনতা বিক্ষোভ করে ভাষার জন্য, সেখান থেকেই ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত হয়।
- ভাষা আন্দোলনের শহীদের স্মরণে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারির দিনটি মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়।
ভাষা শহীদদের সম্পর্কে ১০টি বাক্য
একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য, ভাষা শহীদদের সম্পর্কে ১০ টি বাক্য আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারি ও ভাষা শহীদদের প্রতি সঠিক ধারণা অর্জন করতে সাহায্য করে। ভাষা শহীদ রা বাংলা কে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাদের সেই আত্মত্যাগ আমাদের বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গর্বের। অনেক শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের সম্পর্কে ১০ টি বাক্য খোঁজ করেন। তাদের উদ্দেশ্যে নিচে শহীদদের সম্পর্কে দশটি বাক্য দেওয়া হলোঃ
- ভাষা শহীদেরা বাংলা কে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকার রাজপথে শহীদ হয়েছিলেন।
- ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
- ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদেরা ভাষার জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে শহিদ হয়েছিলেন।
- ভাষা শহীদেরা শুধু বাঙালির ভাষার জন্য নয়, বাঙালি জাতির অধিকার ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন।
- ভাষা শহীদদের রক্তের বিনিময়ে বাংলা ভাষার মর্যাদা পেয়েছে।
- ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়।
- প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
- আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, গানটি ভাষা শহীদদের স্মৃতির শ্রদ্ধার প্রতীক।
- ভাষা শহীদের আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন ভাষার প্রতি কিভাবে শ্রদ্ধা জানাতে হয়।
- ভাষা শহীদের আত্মত্যাগ আমাদের বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
লেখকের মন্তব্য
একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্মরণীয় দিন। এই দিনটি প্রত্যেকেরই চির স্মরণীয় হয়ে থাকা উচিত। কেননা যারা ভাষার জন্য শহীদ হয়েছেন তাদের জন্যই আজকে আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি। তাই তাদের ঋণ আমরা কখনো শোধ করতে পারবোনা। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মদের বোঝানো উচিত যে ভাষা শহীদেরা আমাদের জন্য কতটা ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
আজকের আর্টিকেলটি সে সকল বন্ধুদের উদ্দেশ্যে যারা একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য, মাতৃভাষা সম্পর্কে ১০টি বাক্য খোঁজ করেন। আশা করি সে সকল শিক্ষার্থীরা সঠিক বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হবে। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। শিক্ষা সম্পর্কিত অন্যান্য আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরি গুলো ঘুরে আসুন। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।