বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার দোয়া, ঘরোয়া উপায়, সিরাপ
আপনার বাচ্চার অহরহ বমি হয় তাহলে জেনে নিন বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার দোয়া। আপনি এই দোয়া জানলে সহজে নিজে দোয়া পাঠের মাধ্যমে বাচ্চাদের বমি বন্ধ করতে পারবেন। সব সময় চিকিৎসক পাওয়া যায় না হঠাৎ বাচ্চার বমি হলে বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় জানা থাকলে দ্রুত বাচ্চার বমি বন্ধ করা যায়। আজকের আর্টিকেলটিতে বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার প্রত্যেকটি উপায় সম্পর্কে থাকছে বিস্তারিত।
বেশ কিছু বাচ্চা রয়েছে হঠাৎ করেই বমি হয়। গাড়িতে উঠলে বমি হয়। কোন খাবার খেতে ইচ্ছে হয় না সকালে ঘুম থেকে উঠে বমি হয়। দিনে অথবা রাতে যেকোনো অংশে বমি হয়। খাবার খাওয়ার পূর্বে অরুচি ভাব আসে খাবারের গন্ধে বমি বমি ভাব হয়। এই সমস্যা গুলো দূর করতে বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার দোয়া জেনে পাঠ করলে বাচ্চাদের বমি বন্ধ হবে। বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় জানা থাকলে আপনি যে কোন মুহূর্তে উপায় গুলো অনুসরণ করে বাচ্চাদের বমি বন্ধ করতে পারবেন। বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার প্রত্যেকটি উপায় জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্টস সূচিপত্রঃ বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার দোয়া - বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
.
বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঔষধ
অনেকে বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার দোয়া ও বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঔষধ সম্পর্কে খোঁজ করেন। বাজারে বেশ কিছু ঔষধ পাওয়া যায় যেগুলো বাচ্চাকে সেবন করালে দ্রুত বাচ্চার বমি বন্ধ হবে। প্রথমে আপনাকে জানতে হবে বাচ্চার বমি কেন হচ্ছে। প্রথমত বাচ্চার ভূমি কেন হচ্ছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হন। বাচ্চাদের বমি বেশ কিছু কারণে হয় পেটের সংক্রমণ,
কৃমির আক্রমণ, খাদ্য বিষক্রিয়া, দুধ অথবা খাবারের প্রতি এলার্জি, পাচনতন্ত্রের সমস্যা, মাথা ঘোরার সমস্যা। অনেক বাচ্চা গাড়িতে চড়লে মাথা ঘুরে এমন সময় বাচ্চার বমি হয়। তাই প্রথমে নিশ্চিত হন কেন বাচ্চার বমি হচ্ছে। তারপর সেই বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বাচ্চাকে ঔষধে সেবন করান। সবচেয়ে সঠিক উপায় হল বাচ্চার বমির লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।
একজন চিকিৎসক আপনার বাচ্চার রোগের সঠিক বিষয় চিহ্নিত করে বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঔষধ দেবেন। যে ওষুধগুলো সেবন করে আপনার বাচ্চার দ্রুত বমি বন্ধ হবে। তবে আপনি যদি নিজে বাচ্চার বমির বিষয় নিশ্চিত হতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি ঘরোয়া উপায় অথবা শিশুকে ওষুধ খাওয়াতে পারেন। বাজারে বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার বেশ কিছু ঔষধ পাওয়া যায়। নিচে বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঔষধের নাম দেওয়া হলঃ
- Emistat syrup 50 ml
- Zofra syrup 50 ml
- Ofran syrup 50 ml
- Naunehal syrup 100 ml
- Anset syrup 50 ml
উপরে দেওয়া এই ঔষধ গুলো বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার জন্য চিকিৎসকরা সেবনের পরামর্শ দেন। তবে ভাইরাস অথবা ব্যাকটেরিয়া, পরজীবীর সংক্রমণের কারণে যদি বমি হয় সে ক্ষেত্রে ভিন্ন ঔষধ সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়। উপরে দেওয়া এই ওষুধগুলো আপনার বাচ্চাকে সেবন করাতে চাইলে ঔষধের নির্দেশিকা অনুযায়ী আপনার বাচ্চাকে সঠিক মাত্রায় ওষুধ সেবন করান। অথবা একজন চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করান।
বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার উপায়
বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার জন্য প্রথম কয়েকটি উপায় অনুসরণ করা প্রয়োজন। প্রথমত বাচ্চার বমি হলে স্যালাইন মিশ্রিত পানি পান করান। স্যালাইন মিশ্রিত পানি পান করার পরেও যদি বমি হয় সেক্ষেত্রে বাচ্চাকে শুয়ে বিশ্রাম দিন।
কোন গাড়িতে চড়ে যদি বাচ্চার বমি হয় সেক্ষেত্রে জানালা খুলে রাখুন। বাচ্চাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বাতাস ও অক্সিজেন নেয়ার সুযোগ দিন। বাচ্চার বমি হলে টক জাতীয় ফল, লেবুর রস খাওয়ান এতে দ্রুত বমি বন্ধ হবে। বাচ্চার বমি হলে কখনোই ঘন ঘন খাবার খাওয়াবেন না। অল্প অল্প করে খাবার সময় মত খাওয়ান।
অবশ্য মসলাযুক্ত ও অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার বাচ্চা কে খাওয়াবেন না। এই উপায় গুলো অনুসরণ করলে বাচ্চার বমি বন্ধ হবে। এই উপায় গুলো অনুসরণ করার পরেও যদি বাচ্চার বমি বন্ধ না হয় সে ক্ষেত্রে বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার দোয়া পাঠ করুন। পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করাতে পারেন।
বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার দোয়া
অনেক বাচ্চাদের ওই হঠাৎ করে বমি হয়। ইসলাম ধর্মের প্রত্যেকটি ব্যক্তি আল্লাহর উপর বিশ্বাস করেন। তাই তারা চান বাচ্চার বমি হলে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার দোয়া পাঠ করে বাচ্চার বমি বন্ধ করা যায়। ইসলামে প্রতিটি রোগের জন্য দোয়া ও আল্লাহর উপর নির্ভরশীলতার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
বাচ্চার কোন সমস্যা হলে প্রথমত আল্লাহর কাছে সাহায্য ও প্রার্থনা করতে হবে। পাশাপাশি মুহূর্তের মধ্যেই চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করাতে হবে। বাচ্চা অথবা যে কারণেই কোন সমস্যা হোক না কেন দোয়া করা প্রত্যেকটি মুসলিমের প্রয়োজন। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) বলেছেন দোয়া মুমিনের অস্ত্র।
তাই বাচ্চাদের বমি হলে বমি বন্ধ করার দোয়া পাঠ করে সহজে বাচ্চার বমি বন্ধ করা যায়। বমি বন্ধ করার জন্য বেশ কিছু পরীক্ষিত আমল রয়েছে। আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে যে আমল গুলো করে পূর্বে অনেকে শেফা পেয়েছেন। নিচে বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার দোয়া গুলো দেওয়া হলঃ
১ম দোয়াঃ সূরা ফাতিহা সকল রোগের ঔষধ। তাই প্রথমে এক গ্লাস পানি নিন, এরপর আউজুবিল্লা হিমিনাশ শাইতানির রাজীম বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে এক গ্লাস পানির মধ্যে ফুদিন। এরপর সূরা ফাতিহা একবার ও সূরা কদরের প্রথম দুই আয়াত একবার পাঠ করুন এরপর এক গ্লাস পানিতে ফু দিন। এবং সেই পানি বাচ্চাকে খাইয়ে দিন। আল্লাহর রহমতে বাচ্চার বমি হওয়া বন্ধ হবে।
দোয়াঃ
সূরা ফাতিহাঃ আলহামদুলিল্লা হি রব্বিল আলামীন। আর রহ মানির রহীম। মা লিকি ইয়াও মিদ্দীন। ইয়্যা কা না বুদু ওয়া ইয়্যা কানাছতা ঈন। ইহদিনাস সিরা তাল মুছতাকীম। সিরা তাল্লাযীনা আন আম তা’আলাইহিম। গাইরিল মাগদূ বি’আলাইহীম ওয়ালাদ্দাল্লীন।
সূরা কদর এর প্রথম ২ আয়াতঃ
ইন্না আনযালনাহু ফি লাইলাতিল-কদর।
ওয়ামা আদরাকা মা লাইলাতুল-কদর।
২য় দোয়াঃ আয়াতুল কুরসি, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস পাঠ করে বাচ্চার উপর ফুদিন। আল্লাহর রহমতে বাচ্চার বমি বন্ধ হবে। এছাড়া আপনি আপনার নিজের ভাষায় আল্লাহর কাছে বাচ্চার বমি বন্ধ হওয়ার জন্য দোয়া করুন।
প্রিয় পাঠক উপরে বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার দোয়া জানিয়েছি। আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে এই দোয়া গুলো পাঠ করে আমল করলে আল্লাহর রহমতে বাচ্চার বমি বন্ধ হবে।
বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
হঠাৎ যে কোন সময় বাচ্চাদের বমি হতে পারে। বাচ্চাদের বমি হলে বসে না থেকে দ্রুত ঘরোয়া উপায় অনুসরণ না করলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বাচ্চা নাজেহাল হয়ে পড়ে। সব সময় চিকিৎসককে পাওয়া যায় না। হঠাৎ করে রাতে বাচ্চার বমি হলে এমন সময় চিকিৎসক থাকে না। তাই আপনি যদি কিছু ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করেন সে ক্ষেত্রে দ্রুত বাচ্চার বমি বন্ধ করতে পারবেন।
বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। নিচে বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় গুলো পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলঃ
- অল্প পরিমাণে লবণ ও চিনি মিশিয়ে ওরাল স্যালাইন খাওয়ানো
- এক চামচ আদার রস মধুর সাথে খাওয়ানো
- এক কাপ হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ানো
- পুদিনা পাতার রস বাচ্চাকে খাওয়ান
- এক কাপ পরিমাণ দারুচিনি ফুটানো পানি বাচ্চাকে খাওয়ান
- ইসবগুলের ভুষি হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খাওয়ানো
- জিরা বেটে এক চামচ খাওয়ান
- বাচ্চাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম দিন
- অতিরিক্ত সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
প্রিয় পাঠক উপরে বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় গুলো পয়েন্ট আকারে দিয়েছি। এই উপায় গুলো অনুসরণ করলে দ্রুত বাচ্চার বমি বন্ধ হবে। তবে সব উপায়গুলো একসাথে অনুসরণ করবেন না। কোন একটি অনুসরণ করার পর যদি বমি বন্ধ না হয় সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয়টি অনুসরণ করুন। কোনভাবে যদি বাচ্চার বমি না হয় সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করান। আশা করি বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় গুলো জানতে পেরেছেন।
বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার সিরাপ
অনেকের বাচ্চার ওই হঠাৎ করে বমির সমস্যা দেখা দেয়। এই বমির সমস্যা দূর করতে অনেকে বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার দোয়া ও বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার সিরাপ সম্পর্কে খোঁজ করেন। বাজারে বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার বেশ কিছু সিরাপ পাওয়া যায়। এই সিরাপ গুলো বাচ্চাকে সেবন করালে দ্রুত বাচ্চার বমি বন্ধ হয়।
হঠাৎ করে যদি বাচ্চার বমি হয় চিকিৎসক আসতে দেরি হচ্ছে এমত অবস্থায় বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় গুলো অনুসরণ করুন। বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করার পরেও যদি বমি বন্ধ না হয় সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ অথবা সিরাপ সেবন করাতে পারেন। নিচে বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার সিরাপ এর নাম দেওয়া হলঃ
- Emistat syrup 50 ml
- Zofra syrup 50 ml
- Ofran syrup 50 ml
- Naunehal syrup 100 ml
- Anset syrup 50 ml
উপরে দেওয়া এই সিরাপ গুলো বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ফার্মেসিতে পাওয়া যায়। বাচ্চাদের বমি দূর করার জন্য এই সিরাপগুলো দ্রুত কাজ করে। সিরাপের নির্দেশিকাতে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী বাচ্চাকে সিরাপ সেবন করান আশা করি দ্রুত বাচ্চার বমি বন্ধ হবে।
৩ বছরের বাচ্চার বমি
তিন বছরের বাচ্চার বমি বেশ কিছু কারণে হতে পারে। যেকোনো বয়সের শিশুরই ভিন্ন ভিন্ন কারণে হঠাৎ করে বমি হয়। তবে বমি হলে বাচ্চাকে নিয়ে বসে থাকবেন না। দ্রুত বাচ্চাকে নিয়ে চিকিৎসা করুন। অতিরিক্ত বমি হলে বাচ্চা নাজেহাল হয়ে পড়বে। দ্রুত চিকিৎসা করলে বাচ্চা দ্রুত সুস্থ হবে। তিন বছরের বাচ্চা বেশ কিছু কারণে বমি করতে পারে। পেটের সংক্রমণ হলে বাচ্চারা বমি করে।
নষ্ট বা দূষিত খাবার খেলে বাচ্চাদের বমি হয়। কোন বাচ্চার যদি দুধ অথবা খাবারে অ্যালার্জি থাকে সে ক্ষেত্রে বাচ্চাদের বমি হয়। কোন যানবাহনে চড়লে বেশ কিছু বাঁচার মাথা ঘুরে বমি হয়। এছাড়া পাচনতন্ত্রের সমস্যা, জ্বর ও সর্দি কাশি, অতিরিক্ত তেল ও মসলাযুক্ত খাবার, মাইগ্রেন ও মাথা ব্যথায়, স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যায় বাচ্চাদের বমি হয়।
তাই বাচ্চাদের বমি হলে বসে না থেকে বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করুন। যদি বাচ্চার বমি না বন্ধ হয় সেক্ষেত্রে উপরে দেওয়া বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার সিরাপ খাওয়াতে পারেন এতে দ্রুত বাচ্চার বমি বন্ধ হবে। অথবা চিকিৎসকের পরামর্শে দ্রুত চিকিৎসা নিন।
বমি ভাব দূর করার উপায়
বাচ্চা থেকে যেকোনো বয়সের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেই হঠাৎ করে বমি বমি ভাব হয় কিছু কিছু সময় বমি হয়েও যায়। এমন অবস্থায় বমি বমি ভাব দূর করার জন্য বেশ কিছু উপায় অনুসরণ করা যায়। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় গুলো অনুসরণ করুন। এছাড়া বমি বমি ভাব দূর করার জন্য বেশ কিছু উপায় রয়েছে। সেগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
বমি বমি ভাব দূর করার জন্য এক চামচ আদার রস এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া এক চামচ লেবুর রস অথবা এক টুকরা কাচা লেবু খেয়ে নিন। এছাড়া জিরা পানি বমি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে। হালকা গরম পানিতে জিরা ফুটিয়ে সে পানি ছেকে পান করুন। বমি বমি ভাব হলে পরিষ্কার বাতাস, অক্সিজেন চোখে মুখে প্রবেশ করতে দিন এতে বমি বমি ভাব দূর হবে। বাসায় থাকলে শুয়ে চোখ মুখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন। এতে বমি বমি ভাব দূর হবে।
বাচ্চাদের বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত
হঠাৎ করে বাচ্চারা বমি করে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে বমি করলে বাচ্চা নাজেহাল হয়ে যায়। এমন অবস্থায় বাচ্চা কে কিছু খাবার খাওয়ালে বাচ্চার শরীরে সুস্থতা ফিরে আসে। হঠাৎ করে যদি বাচ্চার বমি হয় সে ক্ষেত্রে দ্রুত বাচ্চার শরীরে পানি শূন্যতা রোধ করার জন্য ওরাল স্যালাইন খাওয়ান। বাচ্চার বমি হলে বাচ্চাকে সাদা ভাত অথবা ভাতের মাড় খাওয়ান এতে বাচ্চার দ্রুত শক্তি আসবে।
এছাড়া বাচ্চার বমি হলে পাকা কলা, সেদ্ধ আলু, টক দই, শাক সবজির সুপ, শুকনো রুটি, টোস্ট, নারিকেল পানি, ফলের রস এই খাবার গুলো খাওয়ানো উচিত। এই খাবারগুলো খাওয়ালে বাচ্চার শরীরে দ্রুত সুস্থতা ফিরে আসে।
লেখকের মন্তব্য
আজকের পুরো আর্টিকেলটিতে বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার দোয়া ও বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানিয়েছি। আশা করি বিষয়গুলো জেনে উপকৃত হবেন। এছাড়া বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার প্রত্যেকটি উপায়, খাবার, ঔষধ, সিরাপ সম্পর্কে জানিয়েছি। বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার বিষয় যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকে সেক্ষেত্রে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
আমাদের টিম সর্বদা আপনাদের সেবায় নিয়োজিত। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। নিয়মিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। অন্যান্য ইনফরমেশন সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরি ঘুরে আসুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।