কম্পিউটারের কয়টি অংশ ও কি কি - কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ ও কাজ

কম্পিউটারের কয়টি অংশ ও কি কি তা অনেকেই জানেন না। প্রতিনিয়ত এ প্রসঙ্গে অনেকেই খোঁজাখুঁজি করেন। কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ ও কাজ সম্পর্কে আপনি জানলে কম্পিউটার সম্পর্কে সঠিক ধারণা অর্জন করতে পারবেন। আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহারে বিভিন্ন কাজ কর্ম করতে কম্পিউটার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ডিভাইস। আজকের আর্টিকেলটিতে কম্পিউটারের প্রত্যেকটি অংশ সম্পর্কে থাকছে বিস্তারিত।
কম্পিউটারের কয়টি অংশ ও কি কি - কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ ও কাজ
আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহারের অত্যন্ত প্রয়োজনে সামগ্রী কম্পিউটার। আমরা কম্পিউটার কে বাইরে থেকে দেখি বাইরে থেকে চিনি কিন্তু কম্পিউটারের ভেতরের অংশগুলো সম্পর্কে খুব একটা অনেকেরই ধারণা নেই। কম্পিউটারের কয়টি অংশ ও কি কি এ প্রসঙ্গে অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন। কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ ও কাজ ও কম্পিউটার প্রত্যেকটি অংশ সম্পর্কে জানতে হলে পুর আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্টের সূচিপত্রঃ কম্পিউটারের কয়টি অংশ ও কি কি - কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ ও কাজ

.

কম্পিউটারের ইতিহাস

প্রায় কয়েকশো বছর পূর্বে থেকে বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে কম্পিউটার আবিষ্কার করেছেন। তবে আজকের এই কম্পিউটারটি সেদিন এত বেশি শক্তি সম্পন্ন ও নিখুত ছিল না। তখন শুধু নামে মাত্রই কম্পিউটার ছিল। প্রাচীনকালে কম্পিউটার কে গণনা যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো। পরবর্তীতে এটি ধীরে ধীরে আধুনিক যুগে জটিল ও শক্তিশালী কম্পিউটার হিসেবে রূপ নিয়েছে। 
কম্পিউটারের কয়টি অংশ ও কি কি - কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ ও কাজ
প্রাচীন চীনে তৈরি অ্যাবাকাসকে কম্পিউটারের প্রাচীনতম রূপ হিসেবে গণ্য করা হয়। অ্যাবাকাস তৈরি করা হয়েছিল কাঠের ফ্রেমের মাধ্যমে যা গোলাকার পুথির মাধ্যমে গননা কার্য সম্পন্ন করত। পরবর্তীতে এটি ক্রম বিবর্তনের পরে ধীরে ধীরে এর উন্নতি লাভ করে। চার্লস ব্যাবেজ অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন এর মাধ্যমে এটিকে পরিপূর্ণরূপ দেন। বর্তমানে চার্লস ব্যাবেজ কে কম্পিউটারের জনক বলা হয়। 
কেননা তিনি ১৮৩৭ সালে কম্পিউটার যন্ত্রের ডিজাইন করেন। তার ওই এনালিটিক্যাল ইঞ্জিন আধুনিক কম্পিউটারের ভিত্তি তৈরি করেছে। তৃতীয় প্রজন্মে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট এর উদ্ভাবন ঘটে এবং এটি কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করে কম্পিউটারকে আরো বেশি শক্তিশালী করা হয়। এতে বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমগুলো ব্যবহার করা শুরু হয়েছিল যা কম্পিউটার কে আরো শক্তিশালী ও বিভিন্ন প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করার সুবিধা ছিল। 

এরপর ১৯৭১ সালে মাইক্রোপ্রসেসর এর আবিষ্কার সূচনা হয় চতুর্থ প্রজন্মে। এই মাইক্রোপ্রসেসর এর কারণেই ব্যক্তিগত কম্পিউটার তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে এটি এখন পরিপূর্ণ জ্ঞান লাভ করেছে এবং এর সাথে বিভিন্ন ডিভাইস গুলো লাগিয়ে কম্পিউটারকে বিভিন্ন কাজের দক্ষ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। 

পরবর্তীতে ইন্টারনেটের উদ্যোগের ফলে কম্পিউটার যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিশাল বিপ্লব তৈরি করেছে যা পুরো পৃথিবীকে একত্রে সংযুক্ত করেছে। বর্তমান যুগে পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার গুলো কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে মেশিন লার্নিং ব্যবহারের দিকে অগ্রসর হয়েছে। সুপার কম্পিউটার, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, জটিল সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে পারে। এর পরবর্তীতে হয়তো আরও উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন দিগন্ত উন্মেচন হবে।

কম্পিউটারের ব্যবহার

কম্পিউটারের কয়টি অংশ ও কি কি ও কম্পিউটারের ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন। বর্তমানে বলতে গেলে এমন কোন কাজ নেই যেখানে কম্পিউটারের ব্যবহার হয় না। আমাদের দৈনন্দিন কাজগুলো কম্পিউটারের মাধ্যমে আমরা করে থাকি। বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজ বিভিন্ন সেবা কম্পিউটারের মাধ্যমে পাওয়া যায়। যে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে কম্পিউটার এর ব্যবহার করা হয় তার পয়েন্ট আকারে আলোচনা করা হলোঃ
  • শিক্ষা ক্ষেত্রে
  • ব্যবসা ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে
  • স্বাস্থ্য সেবায়
  • বিনোদন
  • যোগাযোগ মাধ্যমে
  • ব্যাংকিং ও আর্থিক লেনদেনে
  • গবেষণা ও উন্নয়নে
  • চিকিৎসা ক্ষেত্রে
  • সরকারি ও প্রশাসনিক কাজে
  • প্রকৌশল ওআর্কিটেকচারে
  • প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়
এছাড়াও অগণিত ক্ষেত্রগুলোতে কম্পিউটারের ব্যবহার করা হয় যা বলে শেষ করার মত নয়। তবে এখানে শুধু প্রধান ক্ষেত্র গুলোর নাম দেওয়া হয়েছে। আপনি আপনার চারপাশের প্রত্যেকটি কার্যক্রমের দিকে তাকালে বুঝতে পারবেন যে কম্পিউটারের ব্যবহার কতগুলো কাজকর্মে হয়।

কম্পিউটারের কয়টি অংশ ও কি কি

কম্পিউটারের কয়টি অংশ ও কি কি এ প্রসঙ্গে অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন। কম্পিউটারের অংশ অনেকগুলো তবে প্রধান অংশ ৪টি। কম্পিউটারের প্রধান অংশ গুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
  • ইনপুট
  • আউটপুট
  • মেমোরি
  • প্রসেসর
ইনপুটঃ ব্যবহারকারীর সাথে কম্পিউটারের অন্যতম যোগাযোগের মাধ্যম হলো ইনপুট। আপনি কম্পিউটারকে যে কাজের নির্দেশনা দেবেন যে মাধ্যমে দেবেন সেটাই হচ্ছে ইনপুট। ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে কম্পিউটার বহিরাগত ডাটা গ্রহণ করে। ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমেই একজন ব্যক্তি কম্পিউটার কে বিভিন্ন কাজের নির্দেশনা দেয়। ইনপুট ডিভাইস গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কিবোর্ড, 
মাউস, স্ক্যানার, মাইক্রোফোন, জয়স্টিক, ওয়েবক্যাম, টাচস্ক্রিন। কিবোর্ড ব্যবহার করে আপনি যেকোনো কাজ করতে পারেন। মাউসের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন কাজের নির্দেশনা দিতে পারেন। অন্যান্য ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন কাজ করা যায়। তবে আধুনিক কম্পিউটার গুলোতে ইনপুটেড জন্য বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যা কম্পিউটারের কাজ করার ক্ষমতা কে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করেছে।

আউটপুটঃ আউটপুট হলো ঐগুলো তথ্য যা কম্পিউটার আপনাকে প্রেরণ করে। আপনার সামনে যেগুলো কম্পিউটার প্রেরণ করেছে যা আপনি নিতে পারছেন ওই অংশগুলোই আউটপুট। আউটপুট অংশ গুলোর মধ্যে প্রথমত মনিটর, প্রিন্টার, স্পিকার, প্রজেক্টর, হেডফোন রয়েছে। মনিটরের মাধ্যমে কম্পিউটার আপনার সামনে সবকিছু দেখিয়ে থাকে। 

অন্যদিকে প্রিন্টারের মাধ্যমে আপনি যেকোনো কিছু প্রিন্ট করতে পারেন। স্পিকার এর মাধ্যমে যেকোন সাউন্ড শুনতে পারেন। তাছাড়া প্রিন্টার বা অন্যান্য ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে আপনি কম্পিউটারের যেকোনো তথ্য প্রিন্ট করে ফর্ম আকারে রূপান্তর করতে পারেন।

মেমোরিঃ কম্পিউটারের মেমোরি হল ওই অংশ যা কম্পিউটার বিভিন্ন ধরনের ডাটা তথ্যগুলোকে মেমোরিতে সংরক্ষণ করেন। এতে যেকোনো তথ্য হতে পারে। আপনি যে কাজগুলো করেন অথবা যেকোন ভিডিও তথ্য, অডিও অথবা যেকোনো কিছু কম্পিউটারের সংরক্ষণ করতে গেলে কম্পিউটারের মেমোরিতে সংরক্ষিত হয়। কম্পিউটারের মেমোরি মধ্যে একটি স্থায়ী ও অস্থায়ী মেমোরি রয়েছে। স্থায়ী ও অস্থায়ী মেমোরিগুলোর মধ্যে রয়েছে র‍্যাম ও রোম। 

র‍্যাম ও রোম কম্পিউটারের অস্থায়ী মেমোরি। র‍্যাম ও রোম কম্পিউটারের কার্যক্রম দ্রুত করার জন্য সাহায্য করে। কিন্তু বিদ্যুৎ চলে গেলে অথবা কম্পিউটার বন্ধ করা হলে রেম অথবা রোম কোন তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে না। অন্যদিকে কম্পিউটারের স্থায়ী মেমোরি হল হার্ড ড্রাইভ বা এসএসডি কার্ড। আপনার সকল তথ্য এস এসডি কার্ড অথবা হারড ড্রাইভে সংরক্ষিত হয়। 

এতে বিদ্যুৎ থাকুক অথবা না থাকুক আপনার কম্পিউটার অন থাকুক অথবা অফ থাকুক। কম্পিউটারের সকল তথ্য কম্পিউটারের এসএসডি অথবা হার্ড ড্রাইভে সংরক্ষিত থাকে।

প্রসেসরঃ প্রসেসর কম্পিউটারের প্রধান অংশ প্রসেসর যেটাকে সিপিইউ বলা হয়। সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট এর মাধ্যমে কম্পিউটারের মস্তিষ্কের সমস্ত ডেটা প্রসেসিং হয়। আপনি যে কাজের নির্দেশনা গুলো দেন কম্পিউটার তার প্রসেসরের মাধ্যমেই সে কার্যক্রম গুলোকে পরিচালনা করে। প্রসেসরের মাধ্যমে কম্পিউটারের সকল কার্যক্রম গুলো পরিচালিত হয়। 

প্রসেসরের মধ্যে কিছু ধরন রয়েছে যা কম্পিউটারের কার্যকারী তাকে কমবেশি করে। সাধারণত আপডেট ও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রসেসর গুলো কম্পিউটারের জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রসেসর গুলো উচ্চ গতি ও মাল্টি টাস্কিং এর জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়।
প্রিয় পাঠক উপরে কম্পিউটারের প্রধান অংশগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কম্পিউটারের প্রধান অংশ ছাড়াও আরো অনেক অংশ রয়েছে যা বর্ণনা করে শেষ করার মত নয়। প্রিয় পাঠক আশা করি কম্পিউটারের কয়টি অংশ ও কি কি সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ ও কাজ

কম্পিউটারের কয়টি অংশ ও কি কি ও কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ ও কাজ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। কম্পিউটারের প্রধান অংশগুলোর কাজ হলো কম্পিউটারের যাবতীয় কাজগুলোকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা। কম্পিউটারের ভিন্ন ভিন্ন অংশের কাজ ভিন্ন রকম। কম্পিউটারের বেশ কিছু অংশের কাজ নিচে পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলঃ
  • প্রসেসর
  • মেমোরি
  • স্টোরেজ
  • ইনপুট
  • আউটপু
  • মাদারবোর্ড
  • পাওয়ার সাপ্লাই
  • মনিটর
  • প্রিন্টার
  • স্পিকার
  • কিবোর্ড
  • মাউস
  • স্ক্যানার
প্রসেসরঃ কম্পিউটারের কয়টি অংশ ও কি কি এর মধ্যে একটি হলো প্রসেসর। কম্পিউটারের প্রধান অংশ হচ্ছে প্রসেসর। প্রসেসর কম্পিউটারের মস্তিষ্ক বলা হয়। একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারী কম্পিউটারকে যা নির্দেশ দেন তা কম্পিউটার প্রসেসর কম্পিউটারের সকল ডিভাইস গুলোকে দিয়ে কার্য সম্পন্ন করে।

মেমোরিঃ মেমোরি হল কম্পিউটারের স্থায়ী ও অস্থায়ী ডেটা সংরক্ষণ করার ডিভাইস। কম্পিউটার বিভিন্ন কাজ করার সময়ও বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করার জন্য কম্পিউটারের মেমোরি ব্যবহার করা হয়।

ইনপুটঃ কম্পিউটার ব্যবহারকারী যে নির্দেশনা গুলো দেন কম্পিউটার ইনপুট এর মাধ্যমে সেই নির্দেশনা গুলো প্রসেসরে পাঠিয়ে থাকেন। কম্পিউটার ব্যবহারকারী ও কম্পিউটারের সম্পর্ক স্থাপন করে ইনপুট এর মাধ্যমে।

এসএসডিঃ এসএসডি হলো কম্পিউটারের মেমোরি। কম্পিউটারের যাবতীয় ডেটা সংরক্ষণ করার জন্য এসএসডি কার্ডের ব্যবহার করা হয়। এসএসডি কার্ডে সকল ধরনের ডেটা কম্পিউটার অন এবং অফ থাকা অবস্থায় সংরক্ষিত থাকে।

আউটপুঃ কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সামনে কম্পিউটার যে তথ্যগুলো শেয়ার করে সেগুলোকে কম্পিউটার আউটপুট বলা হয়। আউটপুটের মধ্যে মনিটর, স্পিকার, হেডফোন, প্রজেক্টর অন্যতম।

মাদারবোর্ডঃ কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ ও কাজ গুলোর মধ্যে একটি হলো মাদারবোর্ড। কম্পিউটারের মূল অংশ হলো মাদারবোর্ড। মাদারবোর্ড কম্পিউটারের সার্কিট বোর্ড হিসেবে থাকে। এ মাদারবোর্ডের উপরে কম্পিউটারের সকল ধরনের যন্ত্রাংশ যুক্ত থাকে। যা একে অপরের সাথে যেটা আদান প্রদানের পথ তৈরি করে।

পাওয়ার সাপ্লাইঃ পাওয়ার সাপ্লাই কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। যাতে কম্পিউটারের প্রত্যেকটি অংশ ঠিকভাবে কাজ করতে পারে সেজন্য পাওয়ার সাপ্লাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

মনিটরঃ কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ ও কাজ গুলোর মধ্যে একটি হলো মনিটর। কম্পিউটারের আউটপুট অংশের মধ্যে একটি হল মনিটর। আপনি যে কাজগুলো করছেন তা কম্পিউটার আপনার সামনে শো করায় মনিটর অথবা ডিসপ্লের মাধ্যমে।

প্রিন্টারঃ আপনি যে কোন তথ্য প্রিন্ট করে কাগজের ফরমে রূপান্তর করতে প্রিন্টার ব্যবহৃত হয়।

স্পিকারঃ স্পিকার ও কম্পিউটারের একটি অংশ। কম্পিউটার থেকে যেকোন সাউন্ড শোনার জন্য স্পিকার এর ব্যবহার হয়।

কিবোর্ডঃ কম্পিউটার কে যেকোনো নির্দেশ প্রদানের জন্য, অথবা কম্পিউটারের যেকোনো কাজ পরিচালনার জন্য কিবোর্ডের ব্যবহার হয়। বিশেষ করে লেখালেখি ও কম্পিউটার কে নির্দেশ দেওয়ার জন্য কিবোর্ডের ব্যবহার হয়।

মাউসঃ যে কাজগুলো কিবোর্ড এর মাধ্যমে সহজে করা যায় না ও কার্সর নিয়ন্ত্রণ করা ও ক্লিক করার জন্য মাউসের ব্যবহার করা হয়।

স্ক্যানারঃ কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ ও কাজ গুলোর মধ্যে একটি হল স্ক্যানার। স্ক্যানারের মাধ্যমে ছবি ডকুমেন্ট, অডিও ইনপুট হিসেবে যুক্ত করা হয়।

এছাড়াও আরো কম্পিউটারের অন্যান্য অংশ রয়েছে তবে এগুলো অংশ আমাদের কম্পিউটারের কাজ করার জন্য প্রত্যেকটি সময় প্রয়োজন হয়। প্রিয় পাঠক আশা করি কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ ও কাজ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

কম্পিউটারের প্রধান কাজ কি

কম্পিউটারের কয়টি অংশ ও কি কি কম্পিউটারের প্রধান কাজ কি এ প্রসঙ্গে অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন। কম্পিউটারের প্রধান কাজ হল ইনপুট গ্রহণ, ডেটা প্রক্রিয়াকরণ ও আউটপুট প্রদান করা। কম্পিউটার প্রথমে ইনপুট ডিভাইস এর মাধ্যমে ডেটা গ্রহণ করে এবং আউটপুটের মাধ্যমে কম্পিউটার ব্যবহারের সামনে ডেটা প্রদর্শন করায়।

কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এর কয়টি অংশ

কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ ও কাজ ও কম্পিউটারের হার্ডওয়ারের অংশ কয়টি তা অনেকেই জানেন না। কম্পিউটারে হার্ডওয়ার বিভিন্ন অংশ নিয়ে গঠিত যা একটি সম্পূর্ণ সিস্টেম পরিচালনা করে। কম্পিউটার বিভিন্ন অংশ নিয়ে হার্ডওয়ারের প্রোগ্রাম পরিচালনা করে এরমধ্যে: প্রসেসর, মাদারবোর, মেমোরি, গ্রাফিক্স কার্ড, পাওয়ার সাপ্লাই, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস। প্রত্যেকটি অংশগুলোই মিলে কম্পিউটারের হার্ডওয়ার গঠিত হয়েছে।

কম্পিউটার কয়টি ধাপে কাজ করে ও কি কি

কম্পিউটার প্রধান ৩টি ধাপে কাজ করে। এরমধ্যে ইনপুট, আউটপুট, প্রসেসিং। ইনপুটের মাধ্যমে কম্পিউটার সকল তথ্য সংগ্রহ করে এরপর সেগুলো তথ্যের বিশ্লেষণ করে আউটপুট এর মাধ্যমে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সামনে প্রদর্শিত করে। প্রসেসরের মাধ্যমে কম্পিউটারের সকল ডেটা কম্পিউটার সঠিকভাবে কার্য সম্পন্ন করে। প্রসেসর কম্পিউটারের সকল তথ্যগুলো সঠিকভাবে প্রসেসিং করার জন্য কম্পিউটার কে প্রস্তুত রাখে।

কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ কোনটি

কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো প্রসেসর। কম্পিউটারের প্রসেসর কে কম্পিউটারের মস্তিষ্ক বলা হয়। কেননা কম্পিউটার প্রসেসরের মাধ্যমে সকল কাজগুলো ও নির্দেশগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করে সম্পূর্ণ করে। একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের নির্দেশ গুলো দেয় কম্পিউটার প্রসেসর সে নির্দেশগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করে। পরবর্তীতে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সামনে সেই তথ্যগুলো প্রদর্শিত করে।

লেখক এর মন্তব্য

আজকের আর্টিকেলটিতে কম্পিউটারের কয়টি অংশ ও কি কি ও কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ ও কাজ সম্পর্কে সঠিক তথ্য শেয়ার করেছি। এছাড়া কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি বিষয়গুলো জেনে উপকৃত হবেন। কোথাও কোনো তথ্যগত ভুল হলে অবশ্যই আমাদের জানাবেন, আমরা শুধরে নেব। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। 

নিয়মিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। অন্যান্য ইনফরমেশন সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরি গুলো ঘুরে আসুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন