বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৫টি কারণ - বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৫টি কারণ অনেকেরই অজানা। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব আমাদের প্রত্যেকের জীবনকে সমস্যার সম্মুখীন করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে আমরা কি কি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা কোন কোন কারনে বৃদ্ধি পাচ্ছে সে মূল কারণগুলো আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত তুলে ধরেছি। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন করছে। প্রত্যেকের জীবনযাত্রা ঠেলে দিচ্ছে হুমকির মুখে। দ্রুত সচেতনতা অনুসরণ করতে না পারলে আমরা কঠিন বিপদের সম্মুখীন হব।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৫টি কারণ - বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব
বাংলাদেশের বিভিন্ন সমস্যা গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম সমস্যা হল জনসংখ্যা বৃদ্ধি। যা প্রত্যেকটি ব্যক্তির জীবনকে বিপর্যয়গ্রস্ত করে তুলেছে। সচেতনতার অভাবে দিন দিন জনসংখ্যা প্রচুর সংখ্যক বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৫টি কারণ সম্পর্কে আজকে আপনাদের জানিয়ে দেব। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব আমাদের ব্যক্তিগত জীবনকে কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন তা অনেকেই জানেন না। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ, বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ ও প্রতিকার, জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ কয়টি, বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত, এছাড়া বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি সম্পর্কে প্রত্যেকটি বিষয় জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৫টি কারণ - বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব

.

বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা ও সমাধান

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করছে। একে দেশের মূল সম্পদের চাইতে যদি জনসংখ্যা বেশি হয় সে ক্ষেত্রে ওই দেশের অর্থনীতি কাঠামোর উপর বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশের বিশাল জনসংখ্যার কারণে বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা প্রতিনিয়ত দেখা দিচ্ছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা যে সমস্যাগুলো তৈরি করেছে তা হলঃ
বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৫টি কারণ - বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব
  • আবাদি জমির অভাব
  • বেকারত্ব
  • স্বাস্থ্য সেবা
  • শিক্ষার মান
  • পরিবেশ দূষণ
  • দারিদ্রতা
আবাদি জমির অভাবঃ বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব আবাদি জমির উপর পড়েছে। অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ার কারণে আবাদি জমির সংকট দেখা দিয়েছে। আমাদের দেশের যে আবাদি জমিগুলো ছিল অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে সেই জমিগুলোতে বসত বাড়ি তৈরি করছে। এভাবে দিন দিন বসত বাড়ি তৈরি করতে করতে, 
আবাদি জমির পরিমাণ কমিয়ে ফেলেছে। এভাবে দেখা দিয়েছে খাদ্য ঘাটতি। এরকম সমস্যা চলতে থাকলে একদিন আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যের অভাব দেখা দিবে।

বেকারত্বঃ বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব বেকারত্ব বৃদ্ধি করছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে দেখা দিয়েছে বেকারত্ব। প্রচুর সংখ্যক জনসংখ্যা তারা কোথায় কিভাবে কোন কর্ম করবে। কর্মের অভাবে বেকার বসে থাকছে। যখন কর্ম থাকছে না তারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে লিপ্ত হয়ে অপরাধ করে বসছে। 

একটি কর্ম ক্ষেত্রে ১০০ জন শ্রমিকের প্রয়োজন, কিন্তু সেখানে দেখা যাচ্ছে হাজার এরও বেশি শ্রমিক ভিড় জমাচ্ছে কর্মের জন্য। কিন্তু তাদের কর্মের ব্যবস্থা হচ্ছে না। কর্মহীনতার ফলে দিন দিন বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।

স্বাস্থ্য সেবাঃ বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব বিভিন্ন ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য সেবার সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে একাধিক ব্যক্তিরা। প্রচুরসংখ্যক ব্যক্তি, জনসংখ্যার তুলনায় সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন চিকিৎসকেরা। যা স্বাস্থ্য সেবাকে হুমকির সম্মুখীন করে তুলেছে।

শিক্ষার মানঃ অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে শিক্ষার মান নিম্ন হয়ে গেছে। কোন ভালো কর্ম ক্ষেত্রে সুযোগ পাচ্ছেন না দক্ষ ব্যক্তিরা। আবার অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে শিক্ষার মান কমে গেছে। হলে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি হতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

পরিবেশ দূষণঃ অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে পরিবেশের দূষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সচেতনতার অভাবে তারা যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা, মলত্যাগ, ব্যবহার্য জিনিসপত্র ফেলে পরিবেশকে নোংরা করছে, নোংরা পরিবেশ থেকে পরিবেশ দূষণ তৈরি হচ্ছে।

দারিদ্রতাঃ অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে দিন দিন দারিদ্রতা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। অতিরিক্ত জনসংখ্যা আর্থিক অসামাজস্য তৈরি করেছে। কর্মের অভাবে মানুষ বেকার থাকছে, বেকার থেকে তারা দারিদ্রতা স্বীকার হচ্ছে।

বাংলাদেশের জনসংখ্যার সমস্যা ও সমাধান
প্রথমত আমার আমাদেরকে জনসংখ্যার সমস্যা থেকে সমাধানের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। নিজেকে শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুললে অবশ্যই প্রত্যেকটি বিষয়ে সঠিক ধারণা রাখা সম্ভব হবে। শিক্ষিত জাতি দেশের জন্য সম্পদ। শিক্ষার মান উন্নত ও বৃদ্ধি করতে পারলে সচেতনতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। কিভাবে জনসংখ্যার সমস্যার সমাধান করা যায় তা নিচে পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলঃ
  • পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম
  • মান উন্নয়ন
  • স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়ন
  • কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি
  • আইন প্রয়োগ
পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমঃ পরিবার পরিকল্পনা অনুসরণ করতে হবে। অতিরিক্ত সন্তান জন্মদান থেকে বিরত থাকার জন্য পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করলে জনসংখ্যার বৃদ্ধি পাবে না। সচেতন হয়ে পরিবার পরিকল্পনায় পদ্ধতি গ্রহণ করলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ব্যাহত হবে।

শিক্ষার মান উন্নয়নঃ শিক্ষার মান উন্নয়ন করলে জনগণ সচেতন হতে পারবে। শিক্ষিত জাতি রাষ্ট্রীয় সম্পদ, শিক্ষার মান উন্নত হলে প্রত্যেকে সচেতন হবে। ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে কন্ট্রোলে রাখা যাবে।
স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নঃ স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়ন করতে হবে বিশেষ করে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম স্বাস্থ্য সেবা সহজলভ্য করতে হবে। সরকারি পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রয়োজনে এই স্বাস্থ্য সেবা জনগণদের কোন অর্থ ছাড়ায় গ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। তাহলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ হবে।

কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিঃ দেশের জনসংখ্যা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে। বিশেষ করে মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করলে মহিলারা সন্তান নিতে ততটা আগ্রহ প্রকাশ করবে না। কর্মে ব্যস্ত থাকা ব্যক্তিরা সন্তান লালন পালনে সুযোগ কম পায়। ফলে তারা অতিরিক্ত সন্তান নিতে আগ্রহী নয়।

আইন প্রয়োগঃ সরকারিভাবে আইন প্রণয়ন করতে হবে। সরকারিভাবে কিছু নির্দেশ দিলে অবশ্যই সেটি জনগণ মেনে চলবে। তাই সরকারিভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিশেষ সচেতন হয়ে আইন প্রয়োগ করা উচিত।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৫টি কারণ

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির অনেক কারণ রয়েছে। অনেক শিক্ষার্থীরা ও অনেক ব্যক্তিরা বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৫টি কারণ জিজ্ঞাসা করেন। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির একাধিক কারণ রয়েছে তবে এর মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ৫টি কারণ নিচে পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলঃ
  • পরিবার পরিকল্পনার অভাব
  • শিশু মৃত্যুর হার কমে যাওয়া
  • প্রথাগত বাল্যবিবাহ
  • সচেতনতার অভাব
  • স্বাস্থ্য সেবাও চিকিৎসার উন্নতি
পরিবার পরিকল্পনার অভাবঃ বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৫টি কারণ গুলোর মধ্যে একটি হলো পরিবার পরিকল্পনার অভাব। বাংলাদেশে এখনো প্রচুর সংখ্যক ব্যক্তি পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি অনুসরণ করেন না। তাদের পরিবারের দিকে তাকালেই আপনি বুঝতে পারবেন। এক একটি পরিবারে ৬-৮ সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে। 

অধিক সংখ্যক জনসংখ্যা দিনদিন এভাবেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটি পরিবার থেকে অন্য পরিবার। অতিরিক্ত সন্তান জন্মগ্রহণ করলে পরিবারের দারিদ্রতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অতিরিক্ত জনসংখ্যার দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামোকে হুমকির সম্মুখীন করছে।

শিশু মৃত্যুর হার কমে যাওয়াঃ বর্তমানে পূর্বের তুলনায় শিশু মৃত্যুর হার কমে গিয়েছে। পূর্বে স্বাস্থ্য সেবার তেমন উন্নয়ন ছিল না। প্রচুর সংখ্যক শিশু জন্মগ্রহণ করলেও শিশু মৃত্যুর হার ছিল বেশি এজন্য জনসংখ্যার উপর তেমন প্রভাব পড়তো না। কিন্তু এখন উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে শিশু মৃত্যুর হার কমে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রথাগত বাল্যবিবাহঃ বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৫টি কারণ গুলোর মধ্যে একটি হলো প্রথাগত বাল্যবিবাহ। বিভিন্ন ধর্মীয় ব্যক্তিরা তাদের প্রথাগত বাল্যবিবাহ কে প্রাধান্য দিচ্ছে। কম বয়সী মেয়ে ও ছেলের বিয়ে দিচ্ছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় বিয়ে দেওয়ার পরে তারা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সাথে সাথেই সন্তান জন্ম দিচ্ছে। দ্রুত অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ার কারণে তারা দ্রুত সন্তান জন্ম দিতে পারছে এভাবে জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সচেতনতার অভাবঃ সচেতনতার অভাব বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৫টি কারণ গুলোর মধ্যে একটি। বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশের ব্যক্তিদের মধ্যে সচেতনতার অভাব। অধিক সংখ্যক ব্যক্তি শিক্ষিত নয়। তাদের মধ্যে সচেতনতা বলে কোন জ্ঞান নেই। তারা কোন পদ্ধতি অনুসরণ না করে একের পর সন্তান জন্ম দিয়েই চলেছে। 

সচেতনতা থাকলে অবশ্যই তারা সন্তান জন্ম দেওয়ার পূর্বে দেশের ও তার নিজের পরিবারের কথা চিন্তা ভাবনা করতো। তাই সচেতনতার অভাব দূর করে প্রত্যেকটি ব্যক্তিদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
স্বাস্থ্য সেবা ও চিকিৎসার উন্নতিঃ পূর্বের তুলনায় এখন স্বাস্থ্য সেবা ও চিকিৎসার উন্নতি হয়েছে। পূর্বে চিকিৎসা ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় প্রচুরসংখ্যক ব্যক্তি বিভিন্ন অসুখে, মারা গিয়েছেন। কিন্তু এখন চিকিৎসার উন্নতির পর অসুস্থ ব্যক্তিরাও চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হচ্ছেন। এভাবে তারা দীর্ঘায়ু পাচ্ছেন। এভাবে স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসার উন্নতির ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রিয় পাঠক উপরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৫টি কারণ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। এই কারণগুলোর চাইতে আরো একাধিক কারণ বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। বিশেষ করে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হলে, জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে, জনগণ বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব। আশা করি বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৫টি কারণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব প্রত্যেকের ব্যক্তিগত জীবনকে সমস্যার সম্মুখীন করছে। অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে আপনি যেখানে যাবেন সেখানে সমস্যার সম্মুখীন হবেন। বিশেষ করে কর্মক্ষেত্র গুলোতে কোন কর্মের সন্ধানে গিয়ে সকলে ব্যর্থ হচ্ছেন। কর্মী প্রয়োজন ১জন কিন্তু সেখানে ভিড় জমাচ্ছে ১০০ জন। 

শুধু এ বিষয় নয় একটি বিষয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রত্যেকেই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব গুলো কি কি তার নিচে পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলঃ
  • খাবারের সংকট ও পুষ্টিহীনতা বৃদ্ধি পেয়েছে
  • পূর্বের তুলনায় বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেয়েছে
  • শিক্ষার মান উন্নতির চাইতে অবনতি হচ্ছে
  • স্বাস্থ্য সেবায় চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে
  • বাসস্থানের সংকট দেখা দিয়েছে
  • পরিবেশ দূষণ বৃদ্ধি পেয়েছে
  • আবাদি জমির পরিমাণ কমেছে
  • অতিরিক্ত যানজট ও যানবাহনের পরিমাণ কমেছে
  • দিন দিন দারিদ্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে
  • উন্নত অবকাঠামো ব্যাহত হচ্ছে
  • পানি ও জ্বালানির সংকট তৈরি হচ্ছে
  • সামাজিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে
  • দিন দিন অপরাধের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে
  • সরকারি সেভার উপর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে
  • বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য পাড়ি জমাচ্ছে
বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে উপরে দেওয়া এই প্রভাবগুলো পড়েছে। এর চাইতেও আরো অনেক প্রভাব জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য দেখা দিয়েছে যা বলে শেষ করার মত নয়। এ বিষয়গুলো থেকে আমাদের পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য অবশ্যই শিক্ষা, সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধি হলে এ বিষয়গুলো থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। আশা করি বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ

বাংলাদেশ জনসংখ্যা বৃদ্ধির অনেক কারণ রয়েছে। একাধিক কারণে আমাদের বাংলাদেশের জনসংখ্যা দিন দিন হুড়হুড় করে বেড়ে চলেছে। যা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনকে বিপর্যয়ের গ্রস্থ করছে। দিন দিন আমরা সম্মুখীন হচ্ছি বিভিন্ন ধরনের সমস্যার। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা গুলো আপনাদের জানা থাকলে অবশ্যই সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। 

আর সচেতনতা বৃদ্ধি পেলেই জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব। নিচে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ১০টি কারণ পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলঃ
  • পরিবার পরিকল্পনার অভাব
  • বাল্যবিবাহের প্রচলন
  • শিক্ষার অভাব
  • শিশু মৃত্যুর হার কমে যাওয়া
  • সচেতনতার অভাব
  • নারীর কর্মের অভাব
  • কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি
  • স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসার উন্নতি
  • অধিক সন্তান আয়ের উৎস ভাবা
  • শ্রমশক্তির চাহিদা
উপরে দেওয়া এই বিষয়গুলোর কারণে বাংলাদেশের জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এর চাইতেও বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে অনেক কারণ দায়ী। নিজ থেকে আমাদের প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে তাহলে এ জনসংখ্যা বৃদ্ধি প্রতিরোধ করা সম্ভব।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ ও প্রতিকার

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৫টি কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে অনেকে খোঁজাখুঁজি করেন। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। সচেতনতার অভাবে প্রতিনিয়ত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তুলনামূলক পূর্বের চাইতে জন্মের তুলনায় মৃত্যুহার কমে গেছে ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাল্যবিবাহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিয়ে তারা দ্রুত সন্তান জন্ম দিচ্ছে এভাবে দিন দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করতে হলে অবশ্যই আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করলে নিশ্চয় সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি সরকারি পদক্ষেপ নিলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব। বিশেষ করে মহিলাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে তারা কর্মের মধ্যে ব্যস্ত থাকলে অতিরিক্ত সন্তান নিতে আগ্রহ প্রকাশ করবেন না। এভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি প্রতিকার করা সম্ভব।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ কয়টি

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির একাধিক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে কিছু প্রধান কারণে জনসংখ্যার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই কারণগুলো এড়িয়ে চলে অবশ্যই জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব। আমাদের দেশের মানুষদের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মের সুযোগ করে দিতে হবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ শিক্ষার অভাব। বিশেষ করে মহিলারা শিক্ষিত নয় ফলে তারা সচেতন নয়।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত

বাংলাদেশে সর্বশেষ ২০২২ সালে আদমশুমারি হয়েছিল। ২০২২ সালের আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। ২০২২ সালে আদমশুমারির তথ্য মতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.২২%।

লেখক এর মন্তব্য

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৫ টি কারণ ও বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব কি কি সে সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটিতে সঠিক তথ্য শেয়ার করেছি। আশা করি বিষয়গুলো জেনে উপকৃত হবেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। নিয়মিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। 

অন্যান্য ইনফরমেশন সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরি গুলো ঘুরে আসুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

প্রিয় টপিকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url