বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়, দিতে কত পয়েন্ট লাগে
বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায় তা অনেকেই জানেন না। বিসিএস পরীক্ষামূলত বাংলাদেশ সরকারের অধীনে বিভিন্ন প্রশাসনিক ও সরকারি পদে নিয়োগের জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা হল বিসিএস পরীক্ষা। বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তা পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়। বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে এ প্রসঙ্গে অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন। আজকের আর্টিকেলটিতে বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে প্রত্যেকটি প্রশ্নের থাকছে বিস্তারিত।
বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়, বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে প্রতিনিয়ত অনেকে এ বিষয়ে সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে খোঁজাখুঁজি করেন। সরকারি বিভিন্ন পদে চাকরির জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরী। বিসিএস পরীক্ষার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ রয়েছে। বিসিএস পরীক্ষা কেন দিতে হয়, বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয়, বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা, বিসিএস লিখিত পরীক্ষা কতদিনে হয়, বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে প্রত্যেকটি প্রশ্নের বিস্তারিত জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায় - বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে
.
বিসিএস পরীক্ষা
বিসিএস পরীক্ষ মূলত সরকারি কর্ম ক্ষেত্রে নিয়োগ পাওয়ার জন্য একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায়। বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যাডার সার্ভিসে বিভিন্ন সরকারি কর্মক্ষেত্র গুলোতে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। বিসিএস পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল যোগ্যপ্রার্থী নির্বাচন করে সরকারি সঠিক কর্মক্ষেত্র গুলোতে কাজ পরিচালনা করা।
বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে সুশিক্ষিত ব্যক্তিরা সরকারি কর্মক্ষেত্র গুলোতে চাকরি করার সুযোগ পান। বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে অনেকে প্রতিনিয়ত বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়, বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে অনেকের জানা নেই। বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে প্রত্যেকটি তথ্য নিচে আলোচনা করেছি।
বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয়
বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয় তা অনেকেই জানেন না। বিসিএস পরীক্ষা মূলত বছরে এক থেকে দুইবার অনুষ্ঠিত হয়। তবে বছরে একবার বিসিএস পরীক্ষা বেশি হয়। বিসিএস পরীক্ষা সাধারণত প্রার্থীর সংখ্যার উপর নির্ভর করে কতবার হবে সে বিষয়ে। বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমেই বিসিএস পরীক্ষার সকল তথ্য জানানো হয়।
সাধারণত আপনি যদি প্রথম বছর বিসিএস এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দেন তার পরবর্তী বছর আপনার লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া এটি নির্ধারিত হয় সরকারি সকল নিয়ম গুলো অনুসরণ করে। সাধারণত এই নিয়মগুলো সরকার যখন তখন পরিবর্তন করতে পারেন। আপনি যদি বিসিএস পরীক্ষার সকল সঠিক তথ্য এবং কবে অনুষ্ঠিত হবে, বছরে কতবার হবে বিষয়ে আপডেট খবর পেতে চান সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের ওয়েবসাইটে নজর রাখুন।
বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়
প্রতিনিয়ত অনেকেই সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায় সে সম্পর্কে খোঁজাখুজি করেন। আপনি যদি সরকারি যোগ্য প্রার্থী হিসেবে সিলেক্ট হতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে বিসিএস পরীক্ষা দিতে হবে। কিন্তু আপনি কি বারবার বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন। কখনোই নয় বিসিএস পরীক্ষারও একটি নির্ধারিত রুলস রয়েছে।
বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায় তা হল ৩ বার। আপনি একের পর এক তিনবার বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন। আপনার বয়স সীমা ২১-৩০ বছরের মধ্যে থাকলে আপনি সর্বোচ্চ তিন বার বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন। পূর্বে মুক্তিযোদ্ধার কোটা থাকা ব্যক্তিদের সন্তানের জন্য ৩২ বছর পর্যন্ত মেয়াদ ছিল।
তবে যে কেউ ২১-৩০ বছর বয়স পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩ বার বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন। প্রিয় পাঠক আশা করি বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায় নিশ্চয়ই সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে
বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়, বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে তা প্রতিনিয়ত অনেকে জিজ্ঞাসা করেন। বিসিএস পরীক্ষা দিতে বেশ কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। বিসিএস পরীক্ষা মূলত বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা। বিসিএস পরীক্ষায় আপনি যে ক্যাডারের জন্য আবেদন করতে চান সেই ক্যাডারের নির্দিষ্ট ডিগ্রী থাকতে হবে।
আপনি যে ক্যাডার পদে আবেদন করবেন ওই ক্যাডারের নির্দিষ্ট ডিগ্রি থাকলে আপনি পরীক্ষা দিতে পারবেন। বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে তা হল সর্বনিম্ন ২ পয়েন্ট থাকলেই আপনি বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন। আপনার যদি স্নাতক ডিগ্রি থাকে সেক্ষেত্রে আপনি বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ১০টি এইচএসসি পাশে কোম্পানির চাকরি ২০২৪
স্নাতক ডিগ্রিতেও সর্বনিম্ন ২ পয়েন্টে বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন। প্রিয় পাঠক আশা করি বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে নিশ্চয়ই সে সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।
বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা
বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে, বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে অনেকে জিজ্ঞাসা করেন। অনেকেই শিক্ষাজীবন শেষ করার পরে বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার কথা চিন্তা করেন। কিন্তু বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়, বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানেন না। বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রার্থীর বেশ কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আপনার যে যোগ্যতা গুলো থাকা প্রয়োজন নিচে পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলঃ
- প্রার্থীর যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে
- নির্দিষ্ট কোন ক্যাডার পদে সেই নির্দিষ্ট ডিগ্রী থাকতে হবে
- সাধারণ প্রার্থীর জন্য বয়স সীমা ২১-৩০ বছর
- মুক্তিযোদ্ধা কোটার সন্তানদের জন্য বয়স সীমা ৩২ বছর
- ক্ষুদ্র নৃগোষ্টির প্রার্থীদের জন্য বয়স সীমা ৩২ বছর
- পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে
- সামরিক ক্যাডারের জন্য অবশ্যই শারীরিক যোগ্যতার প্রয়োজন
- এছাড়া বিশেষ কিছু শর্তাবলী বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়
আপনার উপরে দেওয়া যদি যোগ্যতা গুলো থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন। বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু সামরিক ক্যাডারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। তাছাড়া আপনি সাধারণত সরকারি কর্মক্ষেত্র গুলোতে চাকরি করার জন্য সাধারণ যোগ্যতা থাকলেই বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন।
বিসিএস লিখিত পরীক্ষা কত দিনে হয়
বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে, বিসিএস লিখিত পরীক্ষা কতদিনে হয় এ প্রসঙ্গে অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে। বিসিএস পরীক্ষা কতদিনে হবে এটি নির্ধারণ করে নির্ধারিত ক্যাডারের ওপর। আপনি ভিন্ন ভিন্ন পর্যায় পরীক্ষা দিলে এর মেয়াদ ভিন্ন ভিন্ন রকম হবে। বিসিএস পরীক্ষা একাধিক বিষয়ের উপর অনুষ্ঠিত হয়।
বিসিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণ হতে ১-২০ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। তবে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে এ সময় কমবেশি হয়। লিখিত পরীক্ষাগুলো নির্ধারিত দিনে অনুষ্ঠিত হয়। তবে বেশ কিছু পরীক্ষা সময় ও একাধিক দিনে অনুষ্ঠিত হয়। বিসিএস পরীক্ষার পূর্বে সরকারি কর্ম কমিশন থেকে বিসিএস পরীক্ষার সকল তথ্য জানিয়ে দেওয়া হয়।
বিসিএস পরীক্ষার বিষয়সমূহ
বাংলাদেশের বিসিএস পরীক্ষা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা ভিন্ন ভিন্ন ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। ভিন্ন ভিন্ন ধাপ গুলোতে ভিন্ন ভিন্ন সাবজেক্ট রয়েছে। বিসিএস পরীক্ষার সাধারণত প্রধান দুইটি ধাপ প্রথমটি হল প্রিলিমিনারি ও দ্বিতীয় টি হল লিখিত পরীক্ষা। প্রতিটি ক্যাডারের জন্য বিসিএস পরীক্ষায় নির্দিষ্ট কিছু সাবজেক্ট থাকে সেগুলো নিচে দেওয়া হলোঃ
- বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
- ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য
- বাংলাদেশ বিষয়াবলি
- আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
- ভূগোল ও পরিবেশ
- সাধারণ বিজ্ঞান
- কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
- গাণিতিক যুক্তি
- মানসিক দক্ষতা
- নৈতিকতা মূল্যবোধ ও সুশাসন
এছাড়া আরো বেশ কিছু সাবজেক্ট থাকতে পারে সেটা ভিন্ন ভিন্ন সেক্টর হিসেবে সাবজেক্ট ভিন্ন হতে পারে। আপনি যে বিষয়ে ক্যাডার পদে পরীক্ষা দিতে চাচ্ছেন সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু সাবজেক্ট থাকতে পারে। আশা করি পরীক্ষার বিষয়সমূহ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
বিসিএস পরীক্ষার শারীরিক যোগ্যতা
বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে, বিসিএস পরীক্ষার শারীরিক যোগ্যতা সম্পর্কে অনেকেরই জানা নেই। সাধারণভাবে সরকারি কর্মক্ষেত্র গুলোতে চাকরি করার জন্য বিসিএস পরীক্ষা দিতে তেমন কোনো শারীরিক যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। তবে নির্দিষ্ট কিছু পদে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য শারীরিক যোগ্যতার প্রয়োজন হয়।
পুলিশ ক্যাডার, সশস্থ বাহিনী ক্যাডার, কাস্টমস ক্যাডার এই প্রার্থীগুলোর ক্ষেত্রে অবশ্যই শারীরিক যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। তবে আপনি যে বাহিনীতে ক্যাডার পদে পরীক্ষা দিতে চাচ্ছেন বাহিনীর শারীরিক যোগ্যতা গুলো আপনার মধ্যে থাকলেই আপনি বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন।
বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা বয়স
বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা ও বয়স হল বিসিএস পরীক্ষার ক্ষেত্রে কমপক্ষে এইচএসসি সর্বনিম্ন ২ পয়েন্ট, যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। তাছাড়া আপনি নির্দিষ্ট কোন ক্যাডার এ পরীক্ষা দিতে চাইলে সে বিষয়ের উপর নির্দিষ্ট ডিগ্রি থাকতে হবে। বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারী ও নিগোষ্ঠীদের জন্য বয়স সীমা ২১-৩২ বছর। তাছাড়া নির্দিষ্ট কোন বাহিনীর জন্য পরীক্ষা দিতে হলে ওই বাহিনীর শারীরিক যোগ্যতা গুলো থাকতে হবে। তাহলে আপনি অবশ্যই বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন।
লেখকের মন্তব্য
বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায় ও বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে এ সম্পর্কে পুরো আর্টিকেলটিতে সঠিক তথ্য শেয়ার করেছি। এছাড়া বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে প্রত্যেকটি বিষয়ে সঠিক তথ্য শেয়ার করেছি। আশা করি বিষয়গুলো জেনে উপকৃত হবেন। বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে যদি আপনাদের আরো কোন প্রশ্ন থাকে সে ক্ষেত্রে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
কোথাও কোন তথ্যগত ভুল হলে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দেবেন আমরা শুধরে নেব। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। নিয়মিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। অন্যান্য ইনফরমেশন সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটে ক্যাটাগরি গুলো ঘুরে আসুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।