ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন - সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন

যারা আর্থিকভাবে অসচ্ছল লেখাপড়ার খরচ মিটাতে পারেন না তাদের জন্য ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন দিয়ে সহযোগিতা করেন। পাশাপাশি সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন ব্যবস্থা চালু আছে। শিক্ষিত জাতি গঠনে বিভিন্ন ব্যাংক সহযোগিতা করছেন। বেসরকারি ও সরকারি কমবেশি প্রত্যেকটি ব্যাংকই স্টুডেন্ট লোন দেয়। লেখাপড়ার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ব্যাংক দীর্ঘদিন মেয়াদের লোন দেয় এই লোন সাধারণত স্টুডেন্ট লোন নামে পরিচিত। অন্যান্য লোনের চাইতে সুদের হার স্টুডেন্ট লোনে কম।
ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন - সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন
বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলো লোন দিয়ে থাকে। লেখাপড়ায় উচ্চবিত্তরায এগিয়ে যেতে পারলেও মধ্যবিত্তরা আর্থিক অভাব অনটনের কারণে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন না। তাই উচ্চ বিত্তদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তাও যাতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারে এজন্য সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলো ক্যারিয়ার লোন বা স্টুডেন্ট লোন প্রদান করেন। আজকের আর্টিকেলটিতে সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন, ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন, স্টুডেন্ট লোন কিভাবে নিতে হয়, স্টুডেন্ট লোন নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে থাকছে বিস্তারিত। তাই স্টুডেন্ট লোন সম্পর্কে প্রত্যেকটি বিষয়ে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন - সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন

.

স্টুডেন্ট লোন নেওয়ার পদ্ধতি
ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন - সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন

স্টুডেন্ট লোন নেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে সরকারি অথবা বেসরকারি কোন ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন প্রদান করে থাকেন। স্টুডেন্ট লোন নেওয়ার জন্য প্রথমত আপনার অভিভাবক সহ ব্যাংকের যেকোনো শাখার ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করুন। স্টুডেন্ট লোন নেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার পরিবারের কোন কর্মক্ষম ব্যক্তি থাকতে হবে যার মাসিক ইনকাম কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। যদি ব্যবসা করে সে ক্ষেত্রে ৫০০০০ টাকার উর্ধ্বে।
  • আপনি যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী হিসেবে আছেন সেখানকার ডকুমেন্ট
  • আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
  • আপনি যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবেন তার এডমিশন লেটার
  • আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র
  • আপনার অভিভাবকের জাতীয় পরিচয় পত্র
  • ঋণ প্রস্তাব কারীর পাসপোর্ট সাইজের ৪ কপি ছবি
উল্লেখিত ডকুমেন্টগুলো নিয়ে আপনি যে ব্যাংকের ঋণ প্রস্তাব করতে চাচ্ছেন সেই ব্যাংকের একাউন্টিং ম্যানেজারের সাথে কথা বলুন। এরপর আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দিন। তারা আপনার আবেদন ফরম পর্যালোচনা করে স্টুডেন্ট লোন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে। স্টুডেন্ট লোন নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনি দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্প সুদের লোনের জন্য আবেদন করুন। 

কেননা আপনি লোন পরিশোধ করার যত বেশি সময় পাবেন আপনার পক্ষে ততই ভালো। স্টুডেন্ট লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য দেশে উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা লোন নিতে পারবেন। লোন পরিশোধ করার ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সময় পাবেন।

ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন

উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন দিয়ে থাকেন। অন্যান্য ব্যাংকের পাশাপাশি ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন প্রদান করেন। আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে স্টুডেন্ট লোন নিতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার অভিভাবকসহ ডাচ বাংলা ব্যাংকে যোগাযোগ করুন। ডাচ বাংলা ব্যাংকে স্টুডেন্ট লোন নেওয়ার মাধ্যমগুলো জেনে নিন। স্টুডেন্ট লোন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ অভিভাবকের সকল ডকুমেন্ট সহ ডাচ বাংলা ব্যাংকে স্টুডেন্ট লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন।

ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন

অন্যান্য বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মতোই ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন দিয়ে থাকে। পাশাপাশি সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন দিয়ে থাকে। আপনি যদি ইসলামী ব্যাংক থেকে স্টুডেন্ট লোন নিতে চান সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সহ ইসলামী ব্যাংকে স্টুডেন্ট লোনের জন্য আবেদন করুন। স্টুডেন্ট লোন শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা আর্থিক খরচ মেটাতে দেওয়া হয়। 
পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য বিদেশে যেতে চাইলে স্টুডেন্ট লোন নিতে পারেন। ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন নেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার অভিভাবকের প্রয়োজন হবে। ইসলামী ব্যাংকে স্টুডেন্ট লোনের জন্য আবেদন করতে যে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকতে হবে নিচে দেওয়া হলঃ
  • শিক্ষার্থী ও আবেদনকারীর ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • অভিভাবক ও আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
  • ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট
  • অভিভাবক চাকরিজীবী হলে সর্বনিম্ন মাসিক আয় ১৫ হাজার টাকার ডকুমেন্ট
  • অভিভাবক যদি ব্যবসায়ী হন তাহলে সর্বনিম্ন মাসিক আয় ৫০ হাজার টাকার ডকুমেন্ট
  • আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট ও অধ্যায়নরত প্রতিষ্ঠানের ডকুমেন্ট
  • অভিভাবক ও আবেদনকারীর বায়োডাটা
  • বিদেশে শিক্ষার জনের জন্য যেতে চাইলে অবশ্যই পাসপোর্ট এর ফটোকপি
  • যে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে চাচ্ছেন তার এডমিশন লেটারের ফটোকপি
আপনি উল্লেখিত ডকুমেন্ট নিয়ে ইসলামী ব্যাংকে যোগাযোগ করে তাদের স্টুডেন্ট লোন আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দিন। তারা আপনার সকল ডকুমেন্ট দেখে পর্যালোচনা করে স্টুডেন্ট লোন দিবেন। আশা করি ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন

আপনি সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন নিতে পারবেন। অন্যান্য ব্যাংকের মতো সোনালী ব্যাংক ও স্টুডেন্ট লোন দিয়ে থাকেন। অন্যান্য ঋণের তুলনায় স্টুডেন্ট লোনের সুদের পরিমাণ কম। দীর্ঘ মেয়াদী স্টুডেন্ট লোন নিতে চাইলে আপনি সোনালী ব্যাংকে যোগাযোগ করুন। আপনার আপনার অভিভাবক ও ঋণ প্রস্তাব কারীর সকল ডকুমেন্ট নিয়ে সোনালী ব্যাংকে যোগাযোগ করুন। 

অভিভাবক যদি সন্তানের জন্য ঋণ নিতে চান তাহলে সোনালী ব্যাংকের শাখায় গিয়ে মার্কেটিং ক্রেডিট বিভাগের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করুন। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সহ আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দিলে, তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার ডকুমেন্ট যাচাই করে আপনাকে ঋণ দেবেন।

ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন

ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন দেওয়ার পাশাপাশি বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন দিয়ে থাকেন। বাংলাদেশের একাধিক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন প্রদান করে তার মধ্যে একটি ব্র্যাক ব্যাংক। আপনি উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশে অথবা বিদেশে যেতে চাইলে ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন দিতে পারবেন। ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোনের আবেদন করতে যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন তা নিচে দেওয়া হলঃ
  • শিক্ষার্থীর পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি
  • অভিভাবকের পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি
  • এডমিশন লেটারের ফটোকপি
  • অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর জন্ম সনদ অথবা জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
  • অভিভাবকের আয়ের প্রমাণ পত্র
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
আপনি উল্লেখিত ডকুমেন্ট নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকে গিয়ে স্টুডেন্ট লোন আবেদন ফরম পূরণ করুন। এরপর তারা আপনার ডকুমেন্টগুলো পর্যবেক্ষণ করে আপনাকে লোন দিবেন। আপনি ব্র্যাক ব্যাংক থেকে স্টুডেন্ট লোনের জন্য সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।

অগ্রণী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন

অন্যান্য ব্যাংকের মতোই অগ্রণী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন দিয়ে থাকে। কমবেশি প্রত্যেকটি ব্যাংকেই লোন নেওয়ার প্রসেস গুলো একই। আপনি অগ্রণী ব্যাংক থেকে স্টুডেন্ট লোন নিতে চাইলে অগ্রণী ব্যাংকের কোন শাখাই যোগাযোগ করুন। আপনি অগ্রণী ব্যাংকে ঋণ নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে যে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যায়ন করছেন সে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী হতে হবে। 

কমপক্ষে আপনাকে দ্বিতীয় বছরের শিক্ষার্থী হতে হবে। অবশ্যই আপনার ও আপনার অভিভাবকের সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন। আপনি অগ্রণী ব্যাংকে ২-৪ বছরের জন্য স্টুডেন্ট লোন নিতে পারবেন। অগ্রণী ব্যাংক সর্বনিম্ন ১০-৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত স্টুডেন্ট লোন দেয়। অগ্রণী ব্যাংকে স্টুডেন্ট লোনের সুদের হার ৭%।

স্টুডেন্ট লোন বাংলাদেশ

আপনি যদি বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলো স্টুডেন্ট লোন প্রদান করেন। ইসলামী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক অন্যতম। আপনি উল্লেখিত যেকোনো ব্যাংক থেকে স্টুডেন্ট লোন নিতে পারবেন। তবে অবশ্যই উল্লেখিত ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য আপনার স্টুডেন্ট লোন নেওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে।

স্টুডেন্ট লোন কিভাবে নিতে হয়

স্টুডেন্ট লোন নেওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনি যে ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান সে ব্যাংকে কর্মরত কোন চাকুরীজীবীর সাথে যোগাযোগ করুন। তাদের দেওয়া নির্দিষ্ট ফর্ম অনুযায়ী সকল তথ্য্য পূরণ করে আবেদন করুন। স্টুডেন্ট লোন নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীর ও অভিভাবকের উভয়ের ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়। আপনি সকল সঠিক ডকুমেন্ট দিয়ে স্টুডেন্ট লোনের জন্য আবেদন করুন।

স্টুডেন্ট লোন দেয় কোন ব্যাংক

বিভিন্ন ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন দেয় সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যাংক কি স্টুডেন্ট লোন দিয়ে থাকে। ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন পাওয়া যায় খুব সহজেই। এক এক ব্যাংকে সুদের পরিমাণ এক এক রকম। যে ব্যাংকগুলো স্টুডেন্ট লোন দেয় নিচে তার একটা তালিকা দেওয়া হলোঃ
  • ইসলামী ব্যাংক
  • সোনালী ব্যাংক
  • অগ্রণী ব্যাংক
  • ব্র্যাক ব্যাংক
  • ডাচ বাংলা ব্যাংক
  • এইচএসবিসি ব্যাংক
  • গ্রামীণ ব্যাংক
  • উত্তরা ব্যাংক
  • প্রাইম ব্যাংক

লেখক এর মন্তব্য

ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন নেওয়ার উপায় ও সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে অনেকে জিজ্ঞাসা করেন। আজকের আর্টিকেলটি তাদের উদ্দেশ্যে লিখা। উল্লেখিত ব্যাংক থেকে স্টুডেন্ট লোন নেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার স্টুডেন্ট লোন নেওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে। নয়তো আপনি কখনোই স্টুডেন্ট লোন নিতে পারবেন না। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যানরত শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন্ট লোনের সুবিধা বেশি। 

পাশাপাশি দেশের আর্থিক অসচ্ছল ব্যক্তিদের সন্তানেরা যাতে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে সে উদ্দেশ্য স্টুডেন্ট লোন দেওয়া হয়। আশা করি স্টুডেন্ট লোন পাওয়ার প্রসেস সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। নিয়মিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

প্রিয় টপিকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url