১৫টি সেরা স্টক ব্যবসার আইডিয়া - স্টক মালের ব্যবসা

অনেকে ব্যবসা করতে চান কিন্তু পারিবারিক কাজে অথবা চাকরিজীবী পেশায় নিযুক্ত আছেন বিধায় ব্যবসা করতে পারছেন না। তাদের জন্য সবচাইতে সুবিধার একটি ব্যবসা হল স্টক মালের ব্যবসা। ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই আপনার স্টক ব্যবসার আইডিয়া প্রয়োজন। তাছাড়া কখনোই আপনি স্টক মালের ব্যবসায় লাভবান হতে পারবেন না। অল্প সময়ে অল্প অর্থ ব্যয় করে শুধুমাত্র বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে স্টক মালের ব্যবসার মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। ১৫টি সেরা লাভজনক স্টক ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত থাকছে আজকের আর্টিকেলটিতে।
১৫টি সেরা স্টক ব্যবসার আইডিয়া - স্টক মালের ব্যবসা
আপনি একজন চাকুরীজীবী দীর্ঘদিন যাবত চাকরি করে বেশ অর্থ ইনকাম করেছেন। আপনি চাচ্ছেন পাশাপাশি ব্যবসা করতে কিন্তু, চাকরি করছেন বিধায় ব্যবসা করার মতো আপনার হাতে সময় নেই। তাহলে আপনার ব্যবসা করার ইচ্ছা কি পূরণ হবে না। অবশ্যই পূরণ হবে আপনার জন্য সবচাইতে সেরা লাভজনক ব্যবসা রয়েছে তা হল স্টক মালের ব্যবসা। সবচাইতে সেরা লাভজনক ১৫টি স্টক ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে চলুন বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ১৫টি সেরা স্টক ব্যবসার আইডিয়া - স্টক মালের ব্যবসা

.

স্টক মালের ব্যবসা

স্টক মালের ব্যবসায় লাভবান হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর সুবিধা রয়েছে। ধরুন আপনি একজন চাকুরিজীবী তাহলে আপনি ব্যবসা করবেন কিভাবে। কেননা আপনাকে চাকরিতে সময় দিতে হয়। কিন্তু আপনি চাইলে স্টক মালের একাধিক ব্যবসা করতে পারেন। চাইলে আপনি নিজস্ব গোডাউন তৈরি করে নিজের ইচ্ছামত খাদ্যদ্রব্য অথবা যেকোনো পণ্য কিনে মজুদ করতে পারেন। 
১৫টি সেরা স্টক ব্যবসার আইডিয়া - স্টক মালের ব্যবসা
ইচ্ছা অনুযায়ী পরবর্তীতে সেগুলো বিক্রয় করে অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। ইস্টক মালের ব্যবসায় একাধিক সুবিধা রয়েছে সেই সুবিধাগুলো নিচে দেওয়া হলোঃ
  • চাকরি অথবা পারিবারিক যে কোন কাজের পাশাপাশি স্টক ব্যবসা করা যায়
  • একসাথে ১০০ টির বেশি ব্যবসা করা যায়
  • ব্যবসায় কোন সময় দিতে হয় না
  • অল্প সময় প্রচুর মুনাফা অর্জন করা যায়
  • স্টক ব্যবসা বড় ধরনের পাইকারি ব্যবসার বাজার
  • স্টক ব্যবসায় কম্পিটিশন কম
  • সিজন অনুযায়ী ব্যবসায়ী দ্রব্য কম দামে কিনতে পাওয়া যায়
স্টক ব্যবসায়ী আপনি সময় বুঝে সিজন অনুযায়ী দ্রব্য কিনে গুদামজাত করলেন। দ্রব্যের দাম যখন বৃদ্ধি পাবে অথবা আনসিজিনে সেগুলো বিক্রি করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। তবে স্টক ব্যবসায়ী লাভবান হওয়ার জন্য অবশ্যই সঠিক স্টক ব্যবসার আইডিয়া থাকা প্রয়োজন। নয়তো আপনি লাভবান হওয়ার চাইতে ক্ষতির ও সম্মুখীন হতে পারেন।

স্টক ব্যবসার আইডিয়া

স্টক ব্যবসায় লাভবান হওয়ার জন্য অবশ্যই স্টক ব্যবসার সঠিক আইডিয়া রাখতে হবে। আপনার আইডিয়া যত বেশি নিখুঁত হবে আপনার লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা তার চাইতে বেশি হবে। স্টক ব্যবসা মূলত অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা। পূর্বে স্টক ব্যবসার কোন প্রতিদ্বন্দ্বে ছিল না। কিন্তু বর্তমানে স্টক ব্যবসাকে হাতিয়ার হিসেবে অনেক অসাধু ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করছে। 

অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা স্টক ব্যবসাকে বেছে নিয়েছেন। তবে আপনি যদি হালাল পন্থায় স্টক ব্যবসা করতে চান সেক্ষেত্রে করতে পারেন। নিচে সবচাইতে সেরা লাভজনক ১৫টি স্টক ব্যবসার আইডিয়া তালিকা দেওয়া হলঃ
  • ইটের স্টক ব্যবসা
  • ধানের স্টক ব্যবসা
  • শুকনা মরিচের স্টক ব্যবসা
  • আলুর স্টক ব্যবসা
  • পেঁয়াজ এর স্টক ব্যবসা
  • পাটের স্টক ব্যবসা
  • ডিম এর স্টক ব্যবসা
  • মসলার স্টক ব্যবসা
  • মধুর স্টক ব্যবসা
  • গম ও ভুট্টার স্টক ব্যবসা
  • সরিষার স্টক ব্যবসা
  • চালের স্টক ব্যবসা
  • বাদামের স্টক ব্যবসা
  • খেজুরের স্টক ব্যবসা
  • ডাল স্টক ব্যবসা
ইটের স্টক ব্যবসাঃ সবচাইতে সেরা লাভজনক স্টক ব্যবসার মধ্যে একটি ব্যবসা হল ইটের স্টক ব্যবসা। আপনি সিজনাল সময়ে ইট কিনে স্টক রাখতে পারেন। এরপর কেনার তিন থেকে চার মাস পর বর্ষার সময় ইট বিক্রয় করুন সবচাইতে বেশি লাভবান হবেন। কেননা সারা বছরের মধ্যে ৬ মাস ইট ভাটাই সবচাইতে বেশি ইট তৈরি হয়। পরবর্তী ছয় মাস বর্ষাকালীন সময়ের জন্য ইট ভাটা বন্ধ থাকে। 

এই সময় ইটভাটা বন্ধ থাকায় ইটের দাম অধিক পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই আপনি শুষ্ক মৌসুমে ইট কিনে মজুদ করে বর্ষাকালীন সময়ে বিক্রয় করুন।

ধানের স্টক ব্যবসাঃ বর্তমানে সেরা লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে একটি হলো ধানের স্টক ব্যবসা। আমাদের দেশে দুইটি সিজনে ধান চাষাবাদ করা হয়। প্রতি ছয় মাস পরপর দুইটি ধান চাষাবাদ হয়। এক ধান কাটার পরে পুনরায় ধান রোপন করে কাটার সময় হতে ছয় মাস লাগে। যখন নতুন ধান বাজারে উঠে তখন ধানের দাম কম হয়। কেননা এই সময় প্রচুর সংখ্যক ধান কৃষকের বাড়িতে উঠে। ধান রাখার জায়গা হয় না বিধায় কৃষকেরা ধান বিক্রি করে দেয়। তাই আপনি ধান ওঠার মৌসুমে ধান কিনে নিজস্ব গোডাউনে স্টক করুন। এরপর তিন থেকে চার মাস পরে ধান বিক্রয় করুন।
শুকনা মরিচের স্টক ব্যবসাঃ শুকনো মরিচের স্টক ব্যবসা করে প্রচুর লাভবান হওয়া যায়। আপনি চাইলে শুকনো মরিচের স্টক ব্যবসা করুন। যখন মরিচের উঠতি সময় তখন মরিচের দাম অনেক কম থাকে। এই সময় মরিচ কিনে স্টক করুন। এরপর পরবর্তী ছয় মাসে সেই মরিচ বিক্রয় করুন।

আলুর স্টক ব্যবসাঃ স্টক ব্যবসার সবচাইতে সেরা লাভবান হওয়ার স্টক ব্যবসার আইডিয়া গুলোর মধ্যে একটি হলো আলুর স্টক ব্যবসা। বর্তমানে বিগত চার থেকে পাঁচ বছর আলুর প্রচুর সংখ্যক দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রচুরসংখ্যক ব্যবসায়ীরা আলু কিনে স্টক করছেন। ১২ মাসের মধ্যে একবার শীতকালীন সময়ে আলু উৎপাদন হয়। বাকি ৯ মাস এই আলু বিক্রয় হয়। 

তাই আলুর দাম অধিক, কৃষকের কাছ থেকে সিজন অনুযায়ী অল্প দামে আলু কিনে স্টক করুন। এরপর পরবর্তী ৯ মাস সর্বোচ্চ দামে বিক্রয় করতে পারবেন। ২০২৪ সালে কৃষক প্রতি কেজি আলু বিক্রয় করেছে ২৪টাকা দরে, দুই মাস পর এই আলু স্টোরের দাম উঠেছে প্রতি কেজি ৪৮ টাকা পর্যন্ত। তাই আলুর স্টক ব্যবসা করুন।

পেঁয়াজ এর স্টক ব্যবসাঃ সবচাইতে সেরা লাভবান স্টক ব্যবসার আইডিয়া গুলোর মধ্যে দ্বিতীয়টি হল পেঁয়াজ এর স্টক ব্যবসা। বর্তমানে পেঁয়াজের বাজারে প্রচুর মুনাফা অর্জন করছে পেঁয়াজ স্টক ব্যবসায়ীরা। সিজনে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় পেয়াজ কিনে স্টক করে তিন মাস পর ১২০ টাকা পর্যন্ত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। তাই আপনি চাইলে পেঁয়াজের স্টক ব্যবসা করতে পারেন।

পাটের স্টক ব্যবসাঃ পাটের স্টক ব্যবসা করেও প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যায়। পাট বাংলাদেশের সোনালী সম্পদ। সিজন অনুযায়ী পাটের আঁশ কিনে সংরক্ষণ করুন। পরবর্তীতে দাম বৃদ্ধি পেলে পাটের আঁশ বিক্রয় করে লাভবান হতে পারবেন।

ডিম এর স্টক ব্যবসাঃ সবচাইতে সেরা লাভবান ব্যবসা গুলোর মধ্যে একটি হলো ডিম এর স্টক ব্যবসা। আপনি বিভিন্ন খামার থেকে অথবা এগ্রো ডিম সংগ্রহ করুন এরপর খুরচা ব্যবসায়ীর কাছে অথবা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বিক্রয় করে লাভ করতে পারবেন।

মসলার স্টক ব্যবসাঃ অধিক অর্থ উপার্জন করার জন্য মসলার ষ্টক ব্যবসা করুন। বিভিন্ন মসলা চাষীর কাছ থেকে অথবা দেশের বাইরে থেকে মসলা সংগ্রহ করুন। এরপর ইস্টক করে সেগুলো আন সিজনে বিক্রয় করুন লাভবান হতে পারবেন।

মধুর স্টক ব্যবসাঃ মধুর স্টক ব্যবসা করে অল্প সময় লাভবান হতে পারবেন। সিজন অনুযায়ী মধু কিনে রাখুন। মধু উৎপাদন হয় ফুল থেকে এরমধ্যে সরিষা ফুল, কালো জিরা ফুল, লিচুর ফুল, অন্যান্য ফুল। সবচাইতে বেশি ফুল ফোটে বসন্তকালে। তাই বসন্ত কালে প্রচুর সংখ্যক মধু কিনতে পাওয়া যায়। বছরের অন্যান্য সময় তেমন ফুল ফোটে না তখন মধু কেমন উৎপাদন হয় না। তখন মধুর দাম বৃদ্ধি পায়। তাই আপনি বসন্ত কালে মধু কিনে স্টক করুন এরপর বসন্ত কাল পেরিয়ে গেলে মধু বিক্রয় করুন।

গম ও ভুট্টার স্টক ব্যবসাঃ মানুষের খাবারের পাশাপাশি গম ও ভুট্টা গবাদি পশুর খাবার হিসেবে প্রচুর ব্যবহারিত হচ্ছে। তাই গম ও ভুট্টার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বছরে গম ও ভুট্টা একবার চাষাবাদ করা হয়। পরবর্তী মাস গুলোতে এই গম ও ভুট্টা বিক্রয় হয়। তাই আপনি গম ও ভুট্টার উঠতি মৌসুমে গম ও ভুট্টা কিনে স্টক করুন। এরপর মৌসুম পেরিয়ে গেলে বাড়তি দামে সেগুলো বিক্রয় করুন।

সরিষার স্টক ব্যবসাঃ সরিষার তেল আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য। খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতে ও বাহ্যিক ব্যবহার করতে সরিষার তেল প্রচুর ব্যবহৃত হয়। তাই বাজারে প্রচুর পরিমাণে সরিষার চাহিদা রয়েছে। আপনি চাইলে সরিষার স্টক ব্যবসা করতে পারেন। সরিষা বছরে শীতকালীন সময়ে একবার উৎপাদন হয়। এ সময় সরিষা কিনে মজুদ করুন। এরপর পরবর্তী ৬মাস সরিষার দাম বৃদ্ধি পেলে বিক্রি করতে পারেন।

চালের স্টক ব্যবসাঃ বর্তমানে সারা বছর ব্যবসা করা যায় এরকম একটি ব্যবসা হচ্ছে চালের স্টক ব্যবসা। চালের বাজার সবচাইতে বেশি বৃদ্ধি পায় অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে। কেননা এই সময় চাষীদের ধান জমিতে থাকে। অল্প কিছুদিন পরেই সংগ্রহের উপযুক্ত হয়। এমন সময় কোন ধান চাষের কাছেই কেমন স্টক ধান মজুদ থাকে না। তাই এই সময় চালের দাম বৃদ্ধি পায়। আপনি চাইলে সিজন অনুযায়ী ধান কিনে অথবা চাল কম দামে কিনে স্টক করুন। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের দিকে চাল বিক্রয় করুন।

বাদামের স্টক ব্যবসাঃ বাদামের স্টক ব্যবসা করেও লাভবান হওয়া যায়। বাদাম বছরে একবার চাষাবাদ হয়। আপনি সিজন অনুযায়ী বাদাম কিনে সংরক্ষণ করুন। এরপর যখন বাদাম উৎপাদন হয় না তখন বাদাম বিক্রয় করুন।
খেজুরের স্টক ব্যবসাঃ সেরা লাভজনক স্টক মালের ব্যবসা গুলোর মধ্যে একটি হলো খেজুরের স্টক ব্যবসা। খেজুরের ব্যবসা সেরা স্টক ব্যবসার আইডিয়া গুলোর মধ্যে একটি। আমাদের দেশে অধিক সংখ্যক মুসলিম রয়েছে। এজন্য খেজুরের দাম বৃদ্ধি পায় রমজান মাসে। তাই আপনি বছরের অন্যান্য সময় খেজুর কিনে স্টক করতে পারেন। এরপর রমজান মাসে সেই খেজুর বিক্রয় করে লাভবান হতে পারবেন।

ডাল স্টক ব্যবসাঃ ডালের স্টক ব্যবসা করে আপনি লাভবান হতে পারবেন। অল্প পুজিতে স্টক ব্যবসা করা যায় এরকম একটি ব্যবসা হল ডালের স্টক ব্যবসা। সিজন অনুযায়ী ডাল কিনে গুদামজাত করুন। এরপর বছরের অন্যান্য সময় ডাল বিক্রয় করে লাভবান হতে পারবেন।

স্টক ব্যবসা কি হালাল

অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন স্টক ব্যবসা কি হালাল। মুসলিম ব্যক্তিদের মনে প্রশ্ন থেকে যায় স্টক ব্যবসা হালাল কিনা। কোন দ্রব্য কিনে মজুদ করে ব্যবসা করা যাবে কিনা। হাদিস অনুযায়ী স্টক ব্যবসা হালাল তবে আপনি যে ব্যবসাটি করতে যাচ্ছেন সেটি হালাল ব্যবসা হতে হবে। আপনি যদি শেয়ার মার্কেটে টাকা ইনভেস্ট করে স্টক ব্যবসা করেন সে ক্ষেত্রে সেটি হালাল নয়। 

কেননা শেয়ার মার্কেটে কোন দ্রব্য কিনে মজুদ করা হচ্ছে সেটি হালাল কিনা এ বিষয়ে নিশ্চয়তা নেই। এছাড়া আপনার ব্যবসার মাধ্যমে যদি সাধারণ ব্যক্তিরা ক্ষতিগ্রস্তর শিকার না হয় এক্ষেত্রে আপনার স্টক ব্যবসা হালাল হবে। ধরুন এমন কোন খাবার রয়েছে যেগুলো সারা বছর উৎপাদন হয় না এই খাবারগুলো অবশ্যই সারা বছর খাওয়ার জন্য স্টক করতে হয় এই ব্যবসা গুলো হালাল। 

যেমন আলুর স্টক ব্যবসা, আলু বছরে ১ বার উৎপাদন হয় কিন্তু সারা বছর খাবারের জন্য আলু গুদামজাত করতে হয়। গুদামজাত না করলে আলু নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই আলুর স্টক ব্যবসা হালাল। তবে অনৈতিক উপায়ে অধিক মুনাফা অর্জনের আশায় আলু স্টক করা হারাম। ধরুন বাইরের দেশ থেকে পেঁয়াজ আমাদের বাংলাদেশে আসছে। 

এমন অবস্থায় কোন সমস্যার কারণে পেঁয়াজ আসা বন্ধ হয়ে গেল। এখন আপনি একজন ব্যবসায়ী আপনার কাছে পাঁচ বস্তা পেঁয়াজ আছে, হঠাৎ করে আপনি যদি এই পেঁয়াজ গুদামজাত করে রেখে দিয়ে বলেন পেঁয়াজ নেই, তাহলে এই স্টক ব্যবসা হারাম হবে। আপনার স্টক ব্যবসার মাধ্যমে যদি কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয় সে ক্ষেত্রে আপনার স্টক ব্যবসা হালাল নয়। তবে লোকজনের সুবিধার্থে হালাল দ্রব্যের স্টক ব্যবসা হালাল।

লেখকের মন্তব্য

১৫টি সেরা স্টক ব্যবসার আইডিয়া ও স্টক মালের ব্যবসা সম্পর্কে পুরো আর্টিকেলটিতে সঠিক তথ্য দিয়েছি। আশা করি বিষয়গুলো জেনে উপকৃত হবেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। ব্যবসা সম্পর্কিত অন্যান্য আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের ব্যবসার আইডিয়া ক্যাটাগরি ঘুরে আসুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন