১০টি ইসলামিক শিক্ষনীয় ছোট গল্প - ইসলামিক শিক্ষনীয় ঘটনা

ইসলামিক শিক্ষনীয় ছোট গল্প গুলো আমাদের পূর্বের ইসলামিক জীবনধারা সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেয়। ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম আর ইসলামিক শিক্ষনীয় গল্পগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রত্যেকে নিষ্ঠাবান হতে পারেন। ইসলামিক শিক্ষনীয় ঘটনা পূর্বের দিনের রীতিনীতি, নিষ্ঠা, আইন কানুন, ধার্মিকতা সম্পর্কে আমাদের ধারণা দেয়। আজকের আর্টিকেলটিতে ইসলামিক শিক্ষনীয় গল্প কাহিনী ও ছোট গল্প তুলে ধরেছি।
ইসলামিক শিক্ষনীয় ছোট গল্প - ইসলামিক শিক্ষনীয় ঘটনা
ইসলামিক শিক্ষনীয় ছোট গল্প আমাদের জীবনধারাকে পরিবর্তন করতে সাহায্য করে। ইসলামিক জ্ঞান, ধারণা বৃদ্ধি করে। ইসলামিক গল্পগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে বাস্তব জীবনে ইসলামিক ভাবে জীবন যাপন করা যায়। তাই ইসলামিক শিক্ষনীয় গল্পগুলো নিচে দেওয়া হয়েছে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ  ইসলামিক শিক্ষনীয় ছোট গল্প - ইসলামিক শিক্ষনীয় ঘটনা

.

ইসলামিক শিক্ষনীয় ছোট গল্প

ইসলামিক শিক্ষনীয় ছোটগল্প ১।। শেয়াল ও সিংহ
একটি বনে একটি শিয়াল বাস করতো। সে প্রতিদিন তার খাদ্যের যোগানোর জন্য স্বীকার করতো। একদিন সে সকাল থেকে এক দুপুর পর্যন্ত বসে ছিল ছিল শিকারের আশায় কিন্তু কোন শেখার পাচ্ছিল না। অনেক ক্ষুধার্ত অবস্থায় ফিরে আসার সময় একটি শিকার দেখতে পাই। খুব পরিশ্রম করে শিকারের পিছনে ছুটে ধরতে সক্ষম হয়। যখনই খেতে যাবে এমন সময় বনের রাজা সিংহ এসে হাজির। 
ইসলামিক শিক্ষনীয় ছোট গল্প - ইসলামিক শিক্ষনীয় ঘটনা
শিয়ালের চাইতে সিংহ অনেক বেশি শক্তিশালী সে জোর করে শিয়ালের শিকার ছিনিয়ে নিয়ে খেতে শুরু করে। শিয়াল ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে অনেক দূরে বসে থাকে। কিছুক্ষণ পর ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে এক পা দু পা করে সিংহের কাছে যায়। এরপর সিংহকে বলে আমি জানি তুমি ক্ষুধার্ত ছিলে, তুমি আমার খাবার নিয়েছো আমি মন খারাপ করিনি। 
তবে আমি আশা করি তুমি খাবারটি খাওয়ার পর অবশিষ্ট কিছু অংশ আমার জন্য রেখো। সিংহ শিয়ালের সহানুভূতি দেখে শিয়ালের প্রতি তার মায়া হয়। সিংহ শিয়ালকে তার স্বীকার ফিরিয়ে দিয়ে বলে তুমিতো রাগান্বিত হতে পারতে কিন্তু তোমার সহানুভূতি দেখে আমি মুগ্ধ। আমি আর কখনো কোনদিন কারোর শিকার ছিনিয়ে খাব না। এ বলে সিংহ শিয়ালের প্রতি সহানুভূতি দেখে ফিরে যাই।

গল্প থেকে শিক্ষাঃ আপনি যাকে সহানুভূতি দেখাবেন সে আপনাকে সহানুভূতি দেখাবে। কারোর প্রতি দয়া ও মায়া করলে পরবর্তীতে সেই দয়া মায়া ও ভালোবাসা ফেরত পাওয়া যায়।

ইসলামিক শিক্ষনীয় ছোট গল্প ২।। আলেম ও ধনীব্যক্তি
একটি শহরে একজন ধনী ব্যক্তি ছিল, সে প্রচুর ধন-সম্পদের মালিক ছিল। সব সময় গান বাজনা, আমোদ হুল্লোড় করে মেতে থাকতো। কিন্তু তার মনে কোন শান্তি ছিল না। সে ভাবতো অর্থ সকল সুখের মূল এত অর্থ থাকার পরেও তার মনে শান্তি নেই। একদিন কার সাথে একটি বিজ্ঞ আলেম এর দেখা হল। আলেমকে ধনী ব্যক্তিটি সবকিছু বিষয় খুলে বললেন। আমি অনেক ধনী ব্যক্তি আমার অর্থ সম্পদের অভাব নেই। প্রচুর অর্থ ব্যয় করি কিন্তু কোথাও শান্তি পাই না। 

আলেম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন আপনি কি মুসলিম সে উত্তরে বলল না। আলেম তাকে বললেন আপনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করুন আল্লাহ আপনাকে সুখ ও শান্তি দেবেন। ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম। লোকটি ও শান্তির আশায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলো। এরপর আলেম তাকে বলল আপনি আমার সাথে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন। 

ব্যক্তিটি নিয়মিত আলম এর সাথে মসজিদে নামাজ পড়া শুরু করলাম। এভাবে কিছুদিন ব্যক্তিটি যখন মসজিদে নামাজ পড়তে যেত মসজিদে নিরব শান্তিপূর্ণ মুহূর্তগুলো তার কাছে অনেক পছন্দ হলো। আল্লাহর রহমতে তার জীবনে সুখ ও শান্তি বয়ে আসলো। ধনী ব্যক্তিটি আল্লাহর উপর অনেক শুকরিয়া আদায় করলেন।

গল্প থেকে শিক্ষাঃ অর্থ ও সম্পদে সুখ নেই যদি আল্লাহ ঐ ব্যক্ত রিজিকে সুখ ও শান্তি না রাখেন। অর্থ থেকে কি লাভ যদি আপনি রোগ আক্রান্ত হন। তাই সকল সুখের মূল ও শান্তির ধর্ম ইসলাম। ইসলাম ধর্মের সকল নিয়মকানুন মেনে চলুন শান্তি আসবে।

ইসলামিক শিক্ষনীয় ছোট গল্প ৩।। ব্যবসায়ীর গল্প
একটি বাজারে পাশাপাশি দুইটি ব্যবসায়ী দোকান করতো। একজন ছিল সৎ অন্যদিকে আরেকজন ছিল তার বিপরীত। সৎ ব্যবসায়ী খাদ্যদ্রব্যে কোন ভেজাল মেশাতো না। অন্যদিকে অসৎ ব্যবসায়ী খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মেশাতো অধিক দামে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করতো। সৎ ব্যবসায়ীর বেশি বিক্রয় হত অল্প লাভ হতো, তিনি অন্যদের তুলনায় কিছুটা কম দামে বিক্রয় করতেন তাই তার লাভ হতো কম। 
অসৎ ব্যবসায়ী অল্প বিক্রয় করতেন কিন্তু বেশি লাভে। আবার দ্রব্যের মধ্যে ভেজাল মিশাতেন তাই তার লাভ বেশি হত। এভাবে বেশ কিছুদিন চলতে থাকে। সৎ ব্যবসায়ী ধীরে ধীরে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পারেন, তার ক্রেতার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। অল্প লাভে প্রচুর খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করেন তার লাভ হয় প্রচুর। পাশাপাশি অসৎ ব্যবসায়ীর ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। 

তার দোকানে ক্রেতা নেই বললেই চলে। তিনি খাদ্যে ভেজাল মিশাতেন তার ক্রেতারা ধীরে ধীরে বুঝতে পেরেছে। তিনি অধিক দামে বিক্রয় করেন তা ক্রেতারা বুঝেছে। তাই অসৎ ব্যবসায়ীর দোকানে ক্রেতার তেমন আনাগোনা নেই।

গল্প থেকে শিক্ষাঃ জীবনে সৎ পথে সততা অর্জন করে ব্যবসা অথবা যেকোনো কিছু করলে ধীরে ধীরে সফলতা বৃদ্ধি হয়। অল্প সময়ে দ্রুত লাভবান হতে চাইলে আগামীতে দ্রুত পতন ঘটে। তাই জীবনে কোন কিছু করার পূর্বে সৎ, নিষ্ঠার সাথে করুন সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

ইসলামিক শিক্ষনীয় ছোট গল্প ৪।। দুই বন্ধু
একই গ্রামে দুইটি বন্ধু পাশাপাশি থাকতো। তারা সবকিছুই একসাথে করতো তারা দুজনেই ঈমানদার ছিল। কিন্তু একজন ছিল পরিশ্রমী আর অন্যজন ছিল অলস। আল্লাহর প্রতি তাদের প্রচুর বিশ্বাস ছিল। পরিশ্রমী বন্ধু জমিতে ফসল ফালাত, ছাগল পালন করতো, অন্যদিকে অলস বন্ধু শুধু শুয়ে বসে থাকতো। অলস বন্ধু নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে প্রচুর দোয়া করতেন। 

আল্লাহ আমাকে রিযিক দিন, আল্লাহ আমাকে অর্থ দিন, আল্লাহ আমাকে সম্পদ দিন, আল্লাহ আমাকে ধন সম্পদের মালিক বানিয়ে দিন। অন্যদিকে পরিশ্রমী নামাজ পড়তো আল্লাহর কাছে দোয়া করত, তার নিজের কাজকর্ম গুলো নিয়মিত করতো। এভাবে বেশ কিছু বছর কেটে যায়। পরিশ্রমী বন্ধু আজ অনেক টাকা পয়সা, অর্থ সম্পদের মালিক, সে এখন ধনী ব্যক্তি হয়ে গেছেন। 

অন্যদিকে অলস বন্ধু এতদিন শুধু দোয়ায় করেছেন কিন্তু তার কোন রিজিক বৃদ্ধি হয়নি। টাকা পয়সা অর্থ সম্পদের মালিক হননি। কেননা তিনি অলস প্রকৃতির জীবন যাপন করেছেন পরিশ্রম করতেন না। সাফল্য কিভাবে অর্জন করবেন। আল্লাহ সফলতা অবশ্যই দিবেন কিন্তু তার একটি মাধ্যম প্রয়োজন।

গল্প থেকে শিক্ষাঃ আপনি রিজিকের জন্য যদি ব্যবস্থা না করেন কখনো রিজিক আসবে না। আপনি পরিশ্রম করুন সফলতা দেওয়ার মালিক আল্লাহ। যদি পরিশ্রম না করেন তাহলে আপনি কিভাবে সফলতা অর্জন করবেন। কোথায় থেকে আপনি ধনসম্পদের মালিক হবেন। তাই প্রত্যেকের উচিত পরিশ্রমের পাশাপাশি এবাদত করা আল্লাহর কাছে চাওয়া নিশ্চয়ই আল্লাহ পরিশ্রমে সফলতা দিবেন।

ইসলামিক শিক্ষনীয় ঘটনা

ইসলামিক শিক্ষনীয় ছোট গল্প ও ইসলামিক শিক্ষণীয় ঘটনা আমাদের বাস্তব জীবনকে প্রভাবিত করে। জীবনে ইসলামিক জ্ঞান অর্জনের জন্য ইসলামিক শিক্ষনে ঘটনা গুলো প্রত্যেকের জানা প্রয়োজন। নিচে কিছু ইসলামিক শিক্ষনীয় ঘটনায় দেওয়া হলঃ ঈমানদার ব্যক্তি ও গাভি

একটি গ্রামে একজন ঈমানদার ব্যক্তি বাস করতেন। তিনি অত্যন্ত গরিব ছিলেন তার সম্পদ বলতে শুধু একটি গাভী ছিল। গাভীর দুধ বিক্রি করতেন তা থেকে যা অর্থ উপার্জন হত তাই দিয়ে নিজের খাবার কিনে দিন পার করতেন। তিনি আল্লাহর উপর বিশ্বাস করতেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। একদিন ওই ব্যক্তিটির একমাত্র সম্বল গাভিটি অসুস্থ হয়ে যাই। বেশ কিছুদিন অসুস্থ থেকেও সুস্থ হয় না। ঈমানদার ব্যক্তিটি পশু চিকিৎসককে ডেকে তার গাভিটি দেখান। 
পশু চিকিৎসক বেশ কিছুদিন চিকিৎসা করার পর তিনি ওই ব্যক্তিকে বলেন গাভিটি আর কখনোই সুস্থ হবে না। গাভীদের যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে গাভিটি কয়েক দিনের মধ্যেই মারা যাবে। গাভীটি যদি কাঁচা ঘাস খায় তাহলে নিয়মিত কাঁচা ঘাস খাওয়ান। যে কয়দিন গাভীটি রিজিক আছে বেঁচে থাকুক। ঈমানদার ব্যক্তিটি অনেক দুঃখ পান তবু ছাড়েন না। 

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন ও আল্লাহর কাছে গাভীটির জন্য নিয়মিত দোয়া করতেন। দিনের বাকি সময় গাভীটিকে কাঁচা ঘাস এনে খাওয়াতেন। এভাবে কিছুদিন যেতে না যেতেই গাভিটি দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। আগের তুলনায় এখন দ্বিগুণ দুধ দেয়। গ্রামের প্রত্যেকেই অবাক হয়ে যায় কিভাবে এটি সম্ভব হল। তিনি উত্তরে বলেন আমি আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখেছিলাম তিনি অবশ্যই যা করেন ভালোর জন্যই করেন। 

গাভীটি যদি মারাও যেত আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করতাম। গাভীটি এখন বেঁচে আছে তবু আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করি। কেননা আল্লাহ আমার জন্য যা কিছু করেছেন তাই মঙ্গল। আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখলে নিশ্চয় তিনি এ বিশ্বাসের মর্যাদা রাখেন। তাই আল্লাহ আমাকে উপহার হিসেবে গাভিটি ফিরিয়ে দিয়েছেন আগের তুলনায় দুধের পরিমাণও বেশি দিয়েছেন।

গল্প থেকে শিক্ষাঃ আল্লাহর উপর বিশ্বাস করলে আল্লাহ অবশ্যই সফলতা দান করেন। ধৈর্য ধরে যেকোনো কিছু চেষ্টা করুন এবাদত করুন, আল্লাহর কাছে চান নিশ্চয়ই একদিন পাবেন হয়তো কিছুদিন আগে অথবা পরে।

ছোটদের ইসলামিক শিক্ষনীয় গল্প

ছোটদের ইসলামিক শিক্ষনীয় গল্প গুলো ছোটদের জ্ঞান বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ইসলামিক গল্প থেকে ধারণা নিয়ে বাস্তব জীবনে অনুসরণ করতে পারে। ইসলামিক শিক্ষনীয় ছোট গল্প ছোটদের অনেক পছন্দের। নিচে ছোটদের ইসলামিক শিক্ষণীয় গল্প দেওয়া হলঃ গল্পের নামঃ সঠিক সময়ে সদ্ব্যবহার

একটি গ্রামে একটি শিশু বাস করতো। শিশুটি লেখাপড়ায় ও খেলাধুলায় খুব পারদর্শী ছিল। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো কিন্তু কখনো কখনো খেলতে খেলতে নামাজের কথা ভুলে যেতো। তখন আর সেই নামাজটি পড়তো না। একদিন তার বাবা তাকে জিজ্ঞাসা করলো বাবা তুমি নামাজ পড়োনি কেন? সে উত্তরে বলল আমি খেলতে গিয়ে খেলতে খেলতে নামাজের কথা ভুলে গেছি। 

আল্লাহ তো অনেক দয়াবান তিনি আমাকে নিশ্চয়ই ক্ষমা করে দিবেন। তার বাবা মুচকি হেসে বলল তাহলে একটি গল্প বলি শোনো- একটি জঙ্গলে একটি পাখি ছিল। পাখিটি নিয়মিত খাবারের খোঁজে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াত। কিন্তু তার একটি স্বভাব ছিল সে খাবার খাওয়ার পর তোমার মতোই খেলাধুলা করতো। একদিন খাবার খুঁজতে খুঁজতে সে অনেক দূরে পৌঁছে গেল। 

খাবার খেয়ে খেলাধুলা করতে করতে তার সন্ধ্যা হয়ে যায়। সন্ধ্যা থেকে রাত্রিতে পরিণত হয় সে ভুলে গিয়েছিল তার বাসাতে ফিরতে হবে। পাখিটি অনেক বিপদে পড়ে যাই এখন সে কোথায় থাকবে কিভাবে বাসায় যাবে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। সে অন্ধকারে কিছু দেখতে পারছিল না। মনে মনে ভাবছিল আজকে যদি আমার বাসায় ফিরতে পারি কখনো আর এরকম খেলাধুলা করব না। 

সে অনেক কষ্টে গভীর রাত্রে তার বাসা খুঁজে পেল। সে বাসায় ফিরে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল সে কখনোই আর খেলাধুলা করবে না। সে যদি সঠিক সময়ের ব্যবহার করে বাসায় ফিরে আসত আজকে তার এই পরিণতি হতো না।

গল্প থেকে শিক্ষাঃ তুমি যদি সঠিক সময়ে সঠিকভাবে না নামাজ আদায় কর তাহলে তুমি তোমার গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারবে না। আল্লাহ হয়তো একবার ভুলের জন্য ক্ষমা করবেন কিন্তু বারবার ভুলের জন্য ক্ষমা নাও করতে পারেন। তাই তুমি তোমার নামাজ সঠিক সময়ে আদায় কর।

ইসলামিক শিক্ষনীয় গল্প কাহিনী

নিচে একটি ইসলামিক শিক্ষনীয় গল্প কাহিনী দেওয়া হলোঃ গল্পের নাম- রাগী বন্ধু

একদা একটি ব্যবসায়ীর দোকানে দুই বন্ধু কাজ করতো। একজন বন্ধু প্রচন্ড রাগী ছিল। সামান্য কোন ভুল হলেই রেগে যেত মুখে আবোল তাবোল কথা বলতে শুরু করতো। তার অন্য বন্ধুটি একদিন তাকে বলল তুমি কেন এত রাগ করো? সে উত্তরে বলল আমি হঠাৎ কেন রেগে যাই আমি নিজেও জানিনা আমি নিজে রেগে গেলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি না। 

অন্য বন্ধুটি তাকে বলল রাগ অনেক খারাপ আমি তোমাকে একটি গল্প শোনাই- আমাদের প্রিয় নবী বলেছেন যে রাগের সময় নিজেকে সংযত করতে পারে সে প্রকৃত শক্তিশালী। একদা একজন ব্যক্তি আমাদের প্রিয় নবীর কাছে এসেছিলেন, নবীকে বললেন ইয়া রাসুল আল্লাহ আমাকে এমন কিছু পরামর্শ দিন যা আমার জন্য উপকারী? নবীজী উত্তরে বলেছিলেন তুমি রাগ করোনা, 

পুনরায় আবার বললেন অন্য কোন উপদেশ দিন, নবীজি বললেন তুমি রাগ করোনা, ব্যক্তিটি পুনরায় আবার বলল অন্য আরেকটি উপদেশ দিন, নবীজি পুনরায় উত্তরে বললেন রাগ করোনা। এখান থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি রাগ আমাদের জন্য ক্ষতিকর। নবীজি একবার নয় বারবার বলেছেন রাগ করোনা প্রত্যেকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। 

এমন ভাবে কয়েকদিন কেটে যায় কাজ করতে করতে অন্য বন্ধুটি কিছু ভুল করলেই রাগী বন্ধুটি রেগে যেত হঠাৎ করে তার প্রিয় নবীজির কথাটি মনে পড়ে যায় রাগ করোনা। তখন সে নিজেকে রাগ থেকে সংযত রাখে। এভাবে সে নিজের রাগকে কন্ট্রোল করতে পারে।

গল্প থেকে শিক্ষাঃ মাধ্যমে আমরা শিখতে পারি রাগ আমাদের জীবনের সবচাইতে ক্ষতির মূল। রাগ ধ্বংস ডেকে আনে আমাদের জীবনের সবকিছু নষ্ট করতে পারে। তাই কখনোই রাগ করা উচিত নয়।

লেখক এর মন্তব্য

ইসলামিক শিক্ষনীয় ছোট গল্প, ইসলামিক শিক্ষনীয় ঘটনা থেকে আমরা জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। ইসলামিক শিক্ষনীয় কাহিনী গুলো থেকে জ্ঞান অর্জন করে আমরা বাস্তব জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারি। এই শিক্ষণীয় গল্পগুলো আমাদের অতীত সম্পর্কে জানতে বুঝতে জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করে। আজকের আর্টিকেলটিতে ইসলামিক শিক্ষনীয় গল্প নিয়ে আলোচনা করেছি। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন নিয়মিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

প্রিয় টপিকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url