অল্প পুজিতে ২৫টি সেরা পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া ২০২৪

পাইকারি ব্যবসা করতে কেনা ইচ্ছুক। কিন্তু টাকার অভাবে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারছেন না। আজকে আপনাদের অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করার ২৫টি সেরা আইডিয়া জানিয়ে দেবো। যেগুলো অবলম্বন করে আপনারা খুব সহজেই অল্প টাকায় পাইকারি ব্যবসা করে লাভবান হতে পারবেন। পাইকারি ব্যবসার নাম ও অল্প টাকায় পাইকারি ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত থাকছে আজকের আর্টিকেলটিতে।
অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা - পাইকারি ব্যবসার নাম
কমবেশি প্রত্যেকেরই স্বপ্ন ব্যবসায়ী হওয়ার। বিশেষ করে পাইকারি ব্যবসায়ী হওয়ার স্বপ্ন অনেকেরই। কিন্তু পাইকারি ব্যবসার চিন্তা মাথায় আসলেই মনে হয় প্রচুর টাকা প্রয়োজন। আসলে এই ধারণাটি ভুল অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করা যায় যদি ব্যবসা করার ইচ্ছা থাকে। ২৫টি পাইকারি ব্যবসার নাম সম্পর্কে চলুন বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা - পাইকারি ব্যবসার নাম 

.

বিনা টাকায় ব্যবসা

কোন টাকা ছাড়াও ব্যবসা করা যায়। ব্যবসা করার জন্য প্রয়োজন সঠিক সিদ্ধান্ত ও ব্যবসা করার মন মানসিকতা। প্রথম অবস্থায় ব্যবসায় তেমন সফলতা আসেনা। কিন্তু পরিচিতি বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথেই ব্যবসার প্রচার ও প্রসার বৃদ্ধি পায়। ইচ্ছা থাকলে বিনা টাকায় ব্যবসা করা যায়। বিনা টাকায় ব্যবসা করার মতো অনেক ব্যবসা রয়েছে। বিনা টাকায় ব্যবসা করা যাই এরকম ব্যবসার কিছু তালিকা নিচে দেওয়া হলঃ
অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা - পাইকারি ব্যবসার নাম
  • ফ্রিল্যান্সিং
  • ব্লগিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • এফসিলিয়েট মার্কেটিং
  • টিউশনি বা কোচিং সেন্টার স্থাপন
  • অনলাইন কোর্স বিক্রয়
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
  • ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট
আপনি চাইলে বিনা পুঁজিতে এই ব্যবসা গুলো করে খুব সহজে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

খুচরা পাইকারি ব্যবসা

খুরচা পাইকারি অনেক ব্যবসা আছে যেগুলো ব্যবসা করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। তবে খুরচা ব্যবসার চাইতে পাইকারি ব্যবসায়ী তুলনামূলক লাভ বেশি। তবে খুরচা ব্যবসার চাইতে পাইকারি ব্যবসায় পুজি অনেক বেশি লাগে। আপনি যদি খুরচা ও পাইকারি ব্যবসা করতে চান তাহলে নিচের দেওয়া ব্যবসা আইডিয়া থেকে আইডিয়া নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।

পাইকারি ব্যবসার নাম

আপনি সব ধরনের ব্যবসায় পাইকারি ও খুরচা ভাবে করতে পারবেন। আপনি যদি বেশি পুজি খাটিয়ে অল্প বেনিফিটে প্রচুর দ্রব্য বিক্রয় করেন সেক্ষেত্রে সেটি পাইকারি ব্যবসার মধ্যে পড়ে। অন্যদিকে ব্যবসায় ইনভেস্টের পরিমাণ কম হলে খুরচা ব্যবসা করতে পারেন। অনেকেই পাইকারি ব্যবসা করতে চান কিন্তু ধারণা না থাকায় কি ব্যবসা করবেন সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। নিচে সেরা পাইকারি ব্যবসার ২৫টি নাম দেওয়া হল।

অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা

প্রত্যেকেই পাইকারি ব্যবসা করতে চান কিন্তু অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করা যায় এই সম্পর্কে ধারণা নেই। আপনি অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে চাইলে করতে পারেন। অল্প টাকায় পাইকারি ব্যবসা করে প্রচুর আয় করা যায়। নিচে অল্প পুজিতে ২৫টি পাইকারি ব্যবসার নামের তালিকা দেওয়া হলঃ
  • মাছের পাইকারি ব্যবসা
  • প্লাস্টিক পণ্য
  • কসমেটিকস ব্যবসা
  • স্টেশনারি সামগ্রী ব্যবসা
  • মোবাইল এক্সেসরিজ ব্যবসা
  • খেলনার ব্যবসা
  • চশমা ও ঘড়ির ব্যবসা
  • গিফট আইটেম এর ব্যবসা
  • মৌসুমী ফল ব্যবসা
  • কাঁচামালের ব্যবসা
  • মসলার ব্যবসা
  • জুতা ও স্যান্ডেলের ব্যবসা
  • খুরচা ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা
  • বেকারি ব্যবসা
  • গার্মেন্টস সামগ্রী
  • বিভিন্ন ব্যাগ বিক্রয় ব্যবসা
  • সৌখিন সামগ্রী ব্যবসা
  • পেপার হাউস ব্যবসা
  • বেটসিট ব্যবসা
  • নকশী কাঁথার ব্যবসা
  • টয়লেট এক্সেসরিজ
মাছের পাইকারি ব্যবসাঃ অল্প টাকায় পাইকারি ব্যবসা করে প্রচুর টাকা লাভ করা যায় এরকম একটি ব্যবসা হল মাছের পাইকারি ব্যবসা। আপনি চাইলে অল্প টাকা পুঁজি নিয়ে মাছের আড়তে পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন। মাছের আড়তেই অথবা মাছের ঘের, পুকুর, জলাশয়, এর মাছ চাষের কাছ থেকে মাছ কিনে মাছের আড়তে বিক্রি করুন।

প্লাস্টিক পণ্যঃ অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করা যায় এরকম একটি ব্যবসা হল প্লাস্টিকের ব্যবসা। বর্তমানে প্লাস্টিকের ব্যবসায়ী প্রচুর লাভ হচ্ছে। আপনি শহর অঞ্চলের ফ্যাক্টরি থেকে প্লাস্টিক দ্রব্য ক্রয় করুন। এরপর গ্রামাঞ্চলে প্লাস্টিক পণ্য পাইকারি ভাবে বিক্রয় করুন।

কসমেটিকস ব্যবসাঃ বর্তমানে কসমেটিক ব্যবসা করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। কসমেটিকস সামগ্রীর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। অল্প টাকায় কসমেটিক সামগ্রী কিনে পাইকারি ভাবে বিক্রয় করুন।

স্টেশনারি সামগ্রী ব্যবসাঃ অল্প টাকায় পাইকারি ব্যবসা করা যায় এরকম একটি ব্যবসা হল স্টেশনারি সামগ্রী। আপনি চাইলে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় প্রত্যেকটি সামগ্রী স্টেশনারি দোকানে বিক্রয় করতে পারেন। স্টেশনারি ব্যবসায়ী অন্যান্য ব্যবসার চাইতে তুলনামূলক কম লাভ হয়। কিন্তু বেশি পরিমাণ সামগ্রী পাইকারি বিক্রয় করতে পারলে ভালো পরিমাণ অর্থ ইনকাম করা যায়।

মোবাইল এক্সেসরিজ ব্যবসাঃ মোবাইল এক্সেসরিজ অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করে প্রচুর টাকা লাভ করা যায়। বর্তমানে বাজারে মোবাইল এক্সেসরিজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। পাইকারি বাজারে এই সামগ্রী গুলোর দামও অনেক কম। আপনি শহরাঞ্চল থেকে অল্প দামে এক্সেসরিজ সামগ্রী সংগ্রহ করে নিজের থানা অথবা জেলা পর্যায়ে পাইকারি ব্যবসা করুন, প্রচুর টাকা লাভ করতে পারবেন।
খেলনার ব্যবসাঃ আপনি চাইলে বাচ্চাদের খেলনার পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন। বাচ্চার যেকোনো ধরনের খেলনার পাইকারি ব্যবসা করুন। অল্প পুজিতে বাচ্চাদের খেলনার পাইকারি ব্যবসা করে প্রচুর টাকা লাভ করা যায়। বিভিন্ন ধরনের হরেক মালের প্লাস্টিকের তৈরি খেলনার পাইকারি ব্যবসা করুন। এরপর গ্রামগঞ্জে খুরচা বিক্রেতাদের কাছে পাইকারি পণ্য বিক্রয় করুন।

চশমা ও ঘড়ির ব্যবসাঃ অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করে প্রচুর টাকা লাভ করা যায়, এরকম একটি ব্যবসা হল চশমা ও ঘড়ির ব্যবসা। শহর অঞ্চল থেকে বিভিন্ন ধরনের চশমা ঘড়ি সংগ্রহ করুন। এরপর গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন দোকানে পাইকারি বিক্রয় করুন। একটি চশমার ৩৫ টাকায় কিনে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করা যায়। এবং একটি ঘড়ি ৪০ টাকায় কিনে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করা যায়। তাই আপনি চাইলে পাইকারি চশমা ও ঘড়ির ব্যবসা করুন।

গিফট আইটেম এর ব্যবসাঃ গিফট আইটেমের পাইকারি ব্যবসা করে প্রচুর টাকা লাভ করা যায়। বিভিন্ন কোম্পানি অথবা ফ্যাক্টরি থেকে এবং গিফট সামগ্রী বিক্রয় করে এরকম দোকান থেকে গিফট সামগ্রী সংগ্রহ করুন। এরপর নিজ জেলা অথবা নিজ এলাকায় গিফট আইটেম এর পাইকারি ব্যবসা করুন। এমন গিফট আইটেম রয়েছে যেগুলো ১২০ টাকায় কিনে ৩৫০ পর্যন্ত বিক্রয় করা যায়। আপনি চাইলে গিফট আইটেমের ব্যবসা করতে পারেন।

মৌসুমী ফল ব্যবসাঃ সিজনাল ফল ব্যবসা করে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন। অল্প টাকায় মৌসুমী ফলের পাইকারি ব্যবসা করুন। মৌসম অনুযায়ী যেকোনো ধরনের ফল আম, পেয়ারা, লিচু, কাঁঠাল, আনারস, পেঁপে, কলা, আখ, চাষীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে শহরাঞ্চলে গিয়ে পাইকারি বিক্রয় করতে পারেন। সিজনাল ফল ব্যবসা করে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন।

কাঁচামালের ব্যবসাঃ অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করা যায় এরকম একটি ব্যবসা হল কাঁচামালের ব্যবসা। আপনি যেকোনো ধরনের সবজি ও কাঁচামাল বিভিন্ন বাজার থেকে ক্রয় করে শহর অঞ্চলে পাইকারি দামে বিক্রয় করতে পারেন। তুলনামূলক গ্রামাঞ্চলের চাইতে শহরাঞ্চলে কাঁচামাল ও সবজির দাম অনেক বেশি। 

গ্রামাঞ্চলের হাটে বাজারে ১ কেজি মরিচ এর দাম ১৫০-২০০ টাকা কিন্তু শহরাঞ্চলে ৩০০-৪০০ টাকা। কোন সময় এর চাইতেও বেশি দামে বিক্রয় হয়। তাই আপনি চাইলে এরকম কাঁচামাল গ্রামাঞ্চল থেকে সংগ্রহ করে শহরাঞ্চলে পাইকারি ভাবে বিক্রয় করুন।

লেখকের মন্তব্য

অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা ও পাইকারি ব্যবসার নাম সম্পর্কে পুরো আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। অল্প টাকায় পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিয়েছি। আশা করি বিষয়গুলো জেনে উপকৃত হবেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। নিয়মিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কিত অন্যান্য আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের ব্যবসা আইডিয়া লিখে সার্চ করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন