গ্লিসাপ ১.১৫ ও ২.৩ এর কাজ কি ব্যবহারের নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সতর্কতা
গ্লিসাপ ১.১৫ এর কাজ কি এই বিষয়ে অনেকেই জানেন না। গ্লিসাপ সাপোজিটরি মূলত একটি গ্লিসারিন সাপোজিটরি। এটি অনিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ব্যবহারিত হয়। গ্লিসাপ ১.১৫ সাপোজিটরি, এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত থাকছে এই আর্টিকেলটিতে।
অনেক শিশু নিয়মিত অথবা অনিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভোগে। চিকিৎসকেরা এই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিরাময়ের জন্য গ্লিসাপ ১.১৫ সাপোজিটরি ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ গ্লিসাপ ১.১৫ এর কাজ কি ব্যবহারের নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সতর্কতা
.
বিশেষগ্লিসাপ ১.১৫ সাপোজিটরি
গ্লিসাপ ১.১৫ সাপোজিটরি মূলত গ্লিসারিন সাপোজিটরি। এটি শিশুদের কোষ্ঠকাঠিনের চিকিৎসায় বিশেষ কার্যকরী। বিশেষ করে অনিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় গ্লিসাপ সাপোজিটরি ব্যবহার করা হয়। শিশু থেকে প্রত্যেকটি বয়সের লোকের ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় গ্লিসাপ সাপোজিটরি ব্যবহার করা হয়।
যাদের অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে পায়খানা করতে অসুবিধা হয় অথবা ২-৩ দিন পায়খানা হয় না, তাদের জন্য এই সাপোজিটরি অত্যন্ত উপকারী। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে গ্লিসাপ সাপোজিটরি ২.৩০ ব্যবহার করতে হয়।
গ্লিসাপ ১.১৫ এর কাজ কি
গ্লিসাপ ১.১৫ সাপোজিটরি এর মূল কাজ কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যাকে দূর করে অন্ত্রের গতিকে বৃদ্ধি করা। সাধারণত গ্লিসাপ ১.১৫ সাপোজিটরি শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসায় ব্যবহারিত হয়। কিছু শিশুর নিয়মিত পায়খানা হয় না। পায়খানা করতে গেলে কান্নাকাটি করে। আবার ২-৩ দিন পর পর পায়খানা হয়।
অথবা পায়খানার বেগ থাকার পরেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় পায়খানা হয় না এমন সময় গ্লিসাপ ১.১৫ সাপোজিটরি ব্যবহার করলে শিশুর অন্ত্রের গতিকে বৃদ্ধি করে। গ্লিসাপ ১.১৫ এর কাজ কি তা হল এটি কোষ্ঠকাঠিনের চিকিৎসায় পায়ুপথে ব্যবহার করলে অন্ত্রের গতি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এ সাপোজিটরি পায়ুপথে ব্যবহার করলে পার্শ্ববর্তী টিস্যু থেকে পানি শোষণ করে অন্ত্রের গতিকে দ্রুত বৃদ্ধি করে।
পার্শ্ববর্তী টিস্যু থেকে পানি মলদ্বারে আসার ফলে মন নরম হয় এবং পায়খানার বেগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের অনিয়মিত সমস্যায় গ্লিসাপ ১.১৫ সাপোজিটরি ব্যবহার করা হয়। গ্লিসাপ ১.১৫ এর কাজ হল পায়ুপথে জমে থাকা মল দ্রুত অপসারণের সাহায্য করা। প্রিয় পাঠক আশা করি গ্লিসাপ ১.১৫ এর কাজ কি এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
গ্লিসাপ ব্যবহারের নিয়ম
শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে গ্লিসাপ ব্যবহারের নিয়ম একই। তবে চিকিৎসকেরা রোগীর বর্তমান পরিস্থিতির উপর বিবেচনা করে ব্যবহারের নির্দেশ দেন। সর্বোচ্চ এটি দিনে ১-২ বার ব্যবহার করা যায়। নিয়ম একই হলেও শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে ডোজ এর মাত্রা কমবেশি রয়েছে। গ্লিসাপ ১.১৫ এর কাজ কি ও গ্লিসাপ ব্যবহারের নিয়ম নিয়ম হলো:
- শিশুদের ক্ষেত্রে ২ বছরের নিচে দিনে ১ বার
- ২-৬ বছরের শিশুর ক্ষেত্রে গ্লিসাপ সাপোজিটরি ১.১৫ দিনে একবার
- ৬ বছরের ঊর্ধ্বে গ্লিসাপ সাপোজিটরি ২.৩০ দিনে একবার।
সাপোজিটরি পরিপূর্ণভাবে পায়ুপথে প্রবেশ করাতে হবে। সাপোজিটরি গলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সাপোজিটরি গলে না যাওয়ার পূর্বেই বেরিয়ে গেলে পুনরায় অন্য একটি সাপোজিটরি ব্যবহার করা যাবে না। গ্লিসাপ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম হল দিনে ১ বার অনিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ব্যবহার করা। তবে অতিরিক্ত সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ১-২ বার ব্যবহার করতে পারেন।
গ্লিসাপ সাপোজিটরি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
গ্লিসাপ সাপোজিটরির তেমন কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে অথবা ব্যবহারের সময় ভুল পদক্ষেপ নিলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এছাড়া বয়স অনুযায়ী ডোজ বেশি নিলে অথবা দিনে ১ বারের বেশি ব্যবহার করলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্মুখীন হতে পারেন। গ্লিসাপ সাপোজিটরির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে মলদ্বারে ব্যথা অনুভব করা, ও মলদ্বারে জ্বালাপোড়া করার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গ্লিসাপ ২.৩ এর কাজ
গ্লিসাপ ২.৩ সাপোজিটরি স্কয়ার গ্রুপের একটি পণ্য। এটি মূলত গ্লিসারিন সাপোজিটরি। গ্লিসাপ ২.৩ এর কাজ অনিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় গ্লিসাপ ২.৩ সাপোজিটরি ব্যবহার করা হয়। ৬ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সীদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় এ সাপোজিটরি ব্যবহারে পরামর্শ দেয়া হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা দূর করতে দ্রুত মল অপসারণের জন্য এ সাপোজিটরি রোগীদের ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। গ্লিসাপ ২.৩ এর কাজ কোষ্ঠকাঠিন্যে অন্ত্রের গতি বৃদ্ধি করা। গ্লিসাপ সাপোজিটরি ব্যবহারে দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে মল ত্যাগে সাহায্য করে।
গ্লিসাপ ডোজ
গ্লিসাপ সাপোজিটরি মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি শিশুদের ক্ষেত্রে অন্যটি বয়স্কদের ক্ষেত্রে। এর ডোজ অনুযায়ী ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। গ্লিসাপ ১.১৫, গ্লিসাপ 2.30 সচারাচর শিশু ও বয়স্করা ব্যবহার করেন। গ্লিসাপ ১.১৫ ২ বছরের নিচে ও ২-৬ বছর বয়সের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। অন্যদিকে গ্লিসাপ ২.৩০ ৬ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সীদের ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। এ সাপোজিটরি মূলত দিনে সর্বোচ্চ ১-২ বার ব্যবহারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
লেখকের মন্তব্য
অনেকে গ্লিসাপ ১.১৫ এর কাজ কি ও গ্লিসাপ ১.১৫ সাপোজিটরি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। আজকের আর্টিকেলটি তাদের উদ্দেশ্যে লেখা। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন। আজকে গ্লিসাপ সাপোজিটরি সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছি। এর বাইরে যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে সে ক্ষেত্রে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। নিয়মিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।