বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত - বিড়ালের কামড়ে করনীয়

বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত বিড়াল কামড় দিলে আপনার শরীরে কতখানি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেবে সে সম্পর্কে আপনার সঠিক ধারণা থাকা প্রয়োজন। বিড়ালের কামড়ে করণীয় কি সে সম্পর্কে থাকছে বিস্তারিত আজকের আর্টিকেলটিতে।
বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত - বিড়ালের কামড়ে করনীয়
অনেকে বিড়াল পালন করতে পছন্দ করেন। বিড়াল অত্যন্ত সৌন্দর্য বৃদ্ধিকারী শান্ত একটি প্রাণী। কিন্তু এই প্রাণীর কামড় মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত - বিড়ালের কামড়ে করনীয়

.

ভূমিকাঃ

বিড়াল একটি মাংসাশী স্তন্যপায়ী প্রাণী। এরা অত্যন্ত হিংস্র প্রজাতির মধ্যে পড়ে। বিড়ালকে গৃহপালিত হিসেবে পালন করা হলে একটু শান্ত স্বভাবের হয়। এদের চারটি পায়ে অত্যন্ত প্রখর ধারালো নখ থাকে। এদের দাঁত অত্যন্ত ধারালো সূচালো আকৃতির। এদের ডাক অত্যন্ত নরম স্বরের। কিন্তু যখন রাগান্বিত অবস্থায় একটি বিড়াল অন্য একটি বিড়ালের সাথে লড়াই করে তখন তাদের গর্জন অত্যন্ত ভয়ানক হয়।
 
এরা ক্ষুদ্র প্রাণী গুলোকে স্বীকার করতে পছন্দ করে। ইঁদুর, ব্যাঙ, সাপ, বিচ্ছু, তেলাপোকা, মাছ, গৃহ পালিত মুরগির বাচ্চা, পাখির বাচ্চা এদের প্রধান খাবার। সাধারণত বাড়িতে যে বিড়াল গুলো পোষা হয় এই বিড়াল গুলো তেমন কোন ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয় না। কিন্তু এই বিড়াল যদি অন্য বিড়ালের সাথে মিশে অথবা মারামারি করে সে ক্ষেত্রে অন্য বিড়ালের ভাইরাস আপনার পোষা বিড়াল বহন করে। 

এমন অবস্থায় আপনার পোষা বিড়াল যদি আপনাকে কামড়ায় বা রক্ত বের করার মত আঁচড় দেয় সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। যদি আপনার বিড়ালটি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত থাকে তাহলে আপনি যদি চিকিৎসা না করে অবহেলা করেন সেক্ষেত্রে বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

বিড়ালের কামড়ে করণীয় ও বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত এছাড়া বিড়ালের কামড় সম্পর্কে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর থাকছে এ আর্টিকেলটিতে। জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

বিড়ালের কামড়ের চিকিৎসা

অনেকে বিড়ালে কামড়ালে চিকিৎসার প্রয়োজন মনে করেন না। কিন্তু যখন বিপদের সম্মুখীন হন তখন ঠিকই দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ছুটে যান ডাক্তারের কাছে। তবে আপনাকে বিড়ালের কামড়ের জন্য অবশ্যই চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। কেননা চিকিৎসা নিলে বিপদের আশঙ্কা থেকে আপনি নিশ্চিত থাকবেন। 
আপনাকে যদি বিড়াল কামড়ায় সে ক্ষেত্রে প্রথমেই ক্ষতস্থান দুই আঙ্গুল দিয়ে টিপে রক্তগুলো বের করে দিন। এরপর আপনি হালকা গরম পানি ও সাবান দিয়ে ক্ষতস্থান ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন। গরম পানি অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করবে। এরপর বিপদ এড়ানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে টিকা নেওয়া প্রয়োজন। টিকা নেওয়ার জন্য অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বিড়ালের কামড়ে করনীয়

বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত - বিড়ালের কামড়ে করনীয়
বিড়ালে কামড়ে দিলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। বলা তো যায় না, পোষা বিড়াল হলেও সংক্রমনের ঝুঁকি থাকে। বিড়াল জলাতঙ্ক রোগের বাহক। রেবিস ভাইরাস বহন করে তাই বিড়ালে কামড় দিলে প্রথমে যে কাজগুলো করবেন তা হলঃ
  • সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করবেন
  • শরীরের পরিবর্তন হচ্ছে কিনা লক্ষ্য করবেন
  • আক্রান্ত স্থান ব্যান্ডেজ করবেন
  • আক্রান্ত স্থানে জীবাণু নাশক দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন
  • ক্ষতর গভীরতা পর্যবেক্ষণ করবেন
  • ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন
সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করবেনঃ বিড়ালে কামড় দিলে অবশ্যই ক্ষতস্থান দ্রুত সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। এতে কিছুটা পরিমাণ হলেও অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করবে।

শরীরের পরিবর্তন হচ্ছে কিনা লক্ষ্য করবেনঃ বিড়ালের কামড়ে ভাইরাস আপনার শরীরকে আক্রান্ত করলে শরীরের দ্রুত তাপমাত্রা পরিবর্তন হবে। জ্বর আসা সহ বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা, ক্ষতস্থানে ব্যথা, ক্ষতস্থান ফুলে যাওয়া, ক্ষতস্থানে জ্বালাপোড়া, ক্ষতস্থান চুলকাতে পারে। এ লক্ষণ গুলো দেখলে অবশ্যই বুঝবেন আপনি বিড়ালের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন।

আক্রান্ত স্থান ব্যান্ডেজ করবেনঃ আক্রান্ত স্থান দিয়ে যদি রক্ত বের হয় সে ক্ষেত্রে দ্রুত আক্রান্ত স্থান সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করার পর ব্যান্ডেজ করে নিন এতে রক্ত পড়া বন্ধ হবে।

আক্রান্ত স্থানে জীবাণু নাশক দিয়ে ধুয়ে ফেলবেনঃ আক্রান্ত স্থান দ্রুত জীবাণু নাশক স্যাভলন, অ্যান্টিসেপটিক, অথবা জীবাণু নাশক ক্রিম দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ক্ষতস্থানে থাকা জীবাণু দূর করতে সাহায্য করবে।

ক্ষতর গভীরতা পর্যবেক্ষণ করবেনঃ বিড়ালে কামড়ানোর পর বা আঁচড় দেওয়ার পর ক্ষতস্থানের গভীরতা পর্যবেক্ষণ করুন। যদি ক্ষত গভীর হয় সে ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন।
ভ্যাকসিন গ্রহণঃ ক্ষতস্থান থেকে রক্ত ঝরলে, ব্যথা করলে, ফুলে গেলে, শরীরের তাপমাত্রার পরিবর্তন হলে অবশ্যই বুঝতে হবে আপনি বিড়ালের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন সেক্ষেত্রে দ্রুত ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন।

বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত

বিড়ালে কামড় দিলে অবশ্যই ভ্যাকসিন নেওয়া প্রয়োজন। কেননা বিড়ালে কামড় দিলে রেবিস ভাইরাস শরীরের ছড়িয়ে যায়। আর রেবিস ভাইরাস শরীরে ছড়িয়ে গেলে মৃত্যু অবধারিত। বিড়ালে কামড় দিলে দ্রুত ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রয়োজন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভ্যাকসিনের ডোজ সম্পন্ন করুন। 

বিড়ালে কামড়ালে ভ্যাকসিনের ৪টি ডোজ দিতে হয়। এক এক কোম্পানির ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের ডোজের আলাদা আলাদা দাম হয়। বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত তা নির্ধারিত হয় কোম্পানির ঔষধের মান অনুযায়ী। নিচে কয়েকটি কোম্পানির ঔষধের নাম ও দামের তালিকা দেওয়া হলঃ
  • Rabipur 640 taka
  • Rabix vc 500 taka
  • Verorab 998 taka
  • Rabivax 500 taka
সরকারি হাসপাতালে এই ভ্যাকসিন গুলো ফ্রিতে দিয়ে দেয়। তবে সরকারি হাসপাতালে সব সময় এই ওষুধ গুলো নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সরকারি মেডিকেলে কথা বলার পর আপনি অন্যান্য চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আশা করি বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিন কোথায় পাওয়া যায়

আপনাকে যদি বিড়ালে কামড়ায় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বিড়ালে কামড়ের ভ্যাকসিন নেওয়া প্রয়োজন। কেননা বিড়ালের কামড়ের মাধ্যমে রেবিস ভাইরাস ছড়ায়। বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আপনাকে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অথবা নিকটস্থ কোন মেডিকেলে যোগাযোগ করতে হবে। 

আপনি যদি সরকারি মাধ্যমে ফ্রিতে রেবিস ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে চান সেক্ষেত্রে সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন। আর যদি সেখানে না পান সেক্ষেত্রে ফার্মেসিতে খোঁজ করুন। অবশ্যই ফার্মেসিতে বিড়ালের রেবিস ভাইরাসের ভ্যাকসিন পাওয়া যায়।

বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের নাম

বিড়ালের কামড়ের বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন ভ্যাকসিন রয়েছে। কোম্পানির নাম ও মান অনুযায়ী এর নামের ও দামের পার্থক্য রয়েছে। এক এক কোম্পানির ঔষধের নাম এক এক রকম। বিড়ালের কামড়ের বিভিন্ন ভ্যাকসিনের নাম নিম্নে দেওয়া হলঃ
  • রাবিভ্যাক্স
  • রাবিক্স ভিসি
  • ভেরোরাব
  • রবিপুর
প্রত্যেকটি বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিন। এগুলো বিভিন্ন কোম্পানির আলাদা আলাদা ভ্যাকসিন। আপনি চাইলে বিড়ালের কামড়ানোর জন্য যেকোনো ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে পারেন।

বিড়ালের কামড়ের দাগ

বিড়ালের কামড়ের দাগ বেশিদিন স্থায়ী হয় না। বিড়ালে কামড় দিলে যদি গভীর হয় সে ক্ষেত্রে দাগ হয়। এই দাগ খুব তাড়াতাড়ি কোন কিছু না ব্যবহার করে মিশে যায়। বিড়ালের হাচড়ের পাশাপাশি বিড়ালে কামড় দিলে দাগ হয়। বিড়ালের কামড়ের দাগ যদি স্থায়ী হয় সেক্ষেত্রে দাগ মেশানোর ক্রিম ব্যবহার করুন খুব সহজে এক মাসের মধ্যে দাগ মিশে যাবে।

বিড়ালের কামড়ে কি রোগ হয়

বিড়ালে কামড়ালে অবশ্যয় রোগ হয়। বিড়ালে কামড়ালে তাৎক্ষণিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন আক্রান্ত জায়গায় জ্বালাপোড়া। আক্রান্ত জায়গা ভুলে যাওয়া, আক্রান্ত জায়গা ব্যথা অনুভব করা। আক্রান্ত জায়গা দিয়ে পানি পড়া। কামড় বা আঁচড়ে জায়গায় ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা। এছাড়া বিড়ালে কামড় দিলে যদি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয় তাহলে অতিরিক্ত জ্বর আসে। বমি বমি ভাব হয়, হঠাৎ করে শরীরের অলসতা বৃদ্ধি পায়, মাথা ঘোরাতে পারে এরকম আরো সমস্যা দেখা দেয়। তাই নির্দ্বিধায় বলা যায় বিড়ালে কামড়ালে রোগ হয়।

বিড়ালের কামড়ে কি জলাতঙ্ক হয়

অনেকে জিজ্ঞাসা করেন বিড়ালের কামড়ে কি জলাতঙ্ক রোগ হয়? আপনার বিড়াল যদি রেবিস ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে অথবা কোন রেবিস ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত প্রাণী দ্বারা আপনার বিড়াল আক্রান্ত হয় সেক্ষেত্রে ওই বিড়ালের আঁচড় বা কামড়ের মাধ্যমে অবশ্যই জলাতঙ্ক হবে। কুকুর, বিড়াল জলাতঙ্ক রোগের বাহক। তাই বিড়ালে কামড় দিলে অবশ্যই ভ্যাকসিন নিন।

আপনাদের জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্নের উত্তর

বিড়ালের জলাতঙ্ক হলে কত দিন বাচে?
উত্তরঃ বিড়ালের জলাতঙ্ক হলে ৮-১০ দিন বাচে

পোষা বিড়াল কামড়ালে কি জলাতঙ্ক হয়?
উত্তরঃ হ্যাঁ পোষা বিড়াল কামড়ালে জলাতঙ্ক হয়। যদি আপনার বিড়ালটি পূর্বে রেবিস ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত থাকে।

বিড়ালের কামড়ে কি জলাতঙ্কের টিকা লাগে?
উত্তরঃ হ্যাঁ বিড়ালের কামড়ে জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া লাগে। আপনি যদি বিড়ালের কামড়ে রেবিস ভাইরাস দাঁড়া আক্রান্ত হন সে ক্ষেত্রে জলাতঙ্কে টিকা লাগে।

বিড়ালের টিকা দিলে কি জলাতঙ্ক হয়?
উত্তরঃ বিড়ালের টিকা দিলে জলাতঙ্ক হয় না। আপনি যদি নিয়ম অনুযায়ী সঠিকভাবে ডোজ গ্রহণ করেন সেক্ষেত্রে বিড়ালের টিকা দিলে বিড়াল দ্বারা আক্রমিত হলে জলাতঙ্ক হবে না।

বিড়াল কামড় দিলে কি ক্ষতি হয়?
উত্তরঃ হ্যাঁ বিড়াল কামড় দিলে ক্ষতি হয়। বিড়াল কামড় দিলে আপনি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হতে পারেন। এছাড়া আক্রান্ত স্থানে ব্যথা সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বিড়ালের কামড়ে কি অসুস্থ হওয়া যায়?
উত্তরঃ হ্যাঁ বিড়ালের কামড়ে অসুস্থ হওয়া যায়। বিড়ালের কামড়ে যদি আপনি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হন সে ক্ষেত্রে আপনি অসুস্থ হবেন।

বিড়াল কামড়ালে কি টিকা নেওয়া উচিত?
উত্তরঃ বিড়ালের কামড়ালে অবশ্যই টিকা নেওয়া উচিত। এতে আপনাকে রেবিস ভাইরাসে আক্রান্ত করুক বা না করুক সে বিষয়ে ঝুঁকি কমে যাবে।

কুকুর এবং বিড়াল কি একই জলাতঙ্ক টিকা দেয়?
উত্তরঃ কুকুর ও বিড়ালের একই জলাতঙ্ক রোগের টিকা দেওয়া হয়। তবে কুকুর বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের টিকার ডোজ কমবেশি হতে পারে।

বিড়ালের কামড়ে কি দাগ থাকে?
উত্তরঃ বিড়ালের কামড়ে কি দাগ থাকে, বিড়ালের কামড়ে দাগ স্থায়ী হয় না। অল্প সময়ের মধ্যে বিড়ালের কামড়ের দাগ খুব সহজে মিশে যায়।

বিড়ালের কামড়ের দাগ হলে কি করনীয়?
উত্তরঃ বিড়ালের কামড়ের দাগ হলে খুব সহজে মিশে যায়। এক মাসের মধ্যে যদি না মিশে যায় সেক্ষেত্রে দাগ মিশানোর ক্রিম ব্যবহার করুন।

বিড়াল কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দেওয়া লাগে?
উত্তরঃ বিড়াল কামড়ালে অবশ্যই ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন। এতে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনার জলাতঙ্ক রোগ হবে না। তাই অবশ্যই বিড়ালে কামড় দিলে দ্রুত ভ্যাকসিন দিন।

বিড়ালের আঁচড়ে কি টিকা নিতে হয়?
উত্তরঃ বিড়ালের আঁচড়ে টিকা নিতে হয় যদি আচড়টি গভীর হয়। আচড় দেয়ার স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। যদি ক্ষত থেকে রক্ত বের হয়। ক্ষত ফুলে যায়। অথবা ক্ষত থেকে পানি ঝরলে টিকা নিতে হয়।

লেখক এর মন্তব্য

অনেকে জিজ্ঞাসা করেন বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত ও বিড়ালের কামড়ে করণীয় কি। আজকে এই প্রশ্নে গুলোর সঠিকভাবে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি বিষয়গুলো পড়ে উপকৃত হবেন। এছাড়া বিড়ালের কামড় বিষয়ে আপনাদের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। যদি এ বিষয়ে আপনার আরো কোন প্রশ্ন থাকে সে ক্ষেত্রে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।

আমরা নিয়মিত আমাদের সাইটে এ রকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আপলোড করে থাকি। যদি আর্টিকেলটি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করুন। নিয়মিত এ রকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের সাইটটি ভিজিট করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন