১০টি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া ঔষধ - স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির আয়ুর্বেদিক ঔষধ
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া ঔষধ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির আয়ুর্বেদিক ঔষধ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার জন্য দায়ী মস্তিষ্কের অক্সিজেনের স্বল্পতা ও অপুষ্টিকর খাবার। মস্তিষ্কের স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান শরীরে গ্রহণ না করলে মস্তিষ্ক দুর্বল হয়ে যায়। এমন অবস্থায় স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া, মানসিক সমস্যা, ভারসম্যহীনতা, খুব সহজে কোন কিছু ভুলে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়।
আয়ুর্বেদিক অনুযায়ী স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক গাছপালা থেকে প্রস্তুতকৃত ভেষজ ঔষধ, ও আয়ুর্বেদিক ফর্মুলা অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য আয়ুর্বেদিক সিরাপ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। যাদের স্মৃতিশক্তি দুর্বল তারা ঘরোয়া উপায়ে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া ঔষধ সেবন করে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে পারবেন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির আয়ুর্বেদিক ঔষধ - স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির আয়ুর্বেদিক উপায়?
.
ভূমিকাঃ
আয়ুর্বেদিক ঔষধ ঘরোয়া ও কবিরাজি দাবাখানা থেকে প্রস্তুতকৃত বিভিন্ন ভেষজ ঔষধ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য ভালো কাজ করে। এছাড়া আপনি যদি ভেষজ উদ্ভিদ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য সেবন করেন সে ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল পাবেন। এছাড়া স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য আয়ুর্বেদিক সিরাপ কোন ঝামেলা ছাড়াই আপনি যেকোনো সময় সেবন করতে পারেন। যদি সিরাপ ও ফার্মেসির ঔষধ সেবন করতে না চান সে ক্ষেত্রে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া ঔষধ সেবন করতে পারেন।
এতে আপনার স্মৃতিশক্তি দ্রুত বৃদ্ধি হবে মন ও শরীর হবে প্রফুল্ল। আজকের আর্টিকেলটিতে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য ভেষজ উদ্ভিদ ও ঔষধ, এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির আয়ুর্বেদিক ঔষধ সিরাপ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। বিস্তারিত জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির আয়ুর্বেদিক ঔষধ
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া ঔষধ এর পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক ঔষধ ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমাদের বাজারে সচারাচর এলোপ্যাথিক ও হোমিও ঔষধ পাওয়ার পূর্বে প্রাচীনকাল থেকে মানুষ আয়ুর্বেদিক ভাবে চিকিৎসা করে আসতো। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম এখন ভেষজ উদ্ভিদের গাছ ও অন্যান্য ঔষধি গাছগুলো না চিনার কারণে আয়ুর্বেদিক ঔষধ সেবন করা তেমন ছেড়ে দিয়েছে।
তারা বিভিন্ন উপায় প্রস্তুতকৃত এলোপ্যাথিক ও হোমিও ঔষধ সেবন করে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা মতে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার পেছনে মস্তিষ্কের অক্সিজেন ও পুষ্টিহীনতা দায়ী। তাই প্রয়োজনীয় ঔষধ ও খাবারের মাধ্যমে মস্তিষ্কের অক্সিজেন, প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি করে দ্রুত স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করা সম্ভব। যেকোনো বয়সের ব্যক্তিদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়।
বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এরকম সমস্যা বেশি লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথেই স্মৃতিশক্তি কমে যায়। আপনি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য আয়ুর্বেদিক ভেষজ ঔষধ, সিরাপ খেতে পারেন। যে ভেষজ উপাদান গুলো মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে নিম্নে তার একটি তালিকা দেওয়া হলঃ
- আশ্বগন্ধা, চিরতা, নিম
- দশমূল, হলুদ, হিং
- শুদ্ধ ব্রাক্ষী, আজওয়াইন
- তুলসি, থানকুনি, বাকোপা
- হিমসাগর, ভৃঙ্গরাজ, শস্কাপুস্পি
- ত্রিফলা, কাঠবাদাম, কালোভুলআছ
- জিংকোবিলবার ভেষজ নির্যাস
উল্লেখিত উপাদান গুলো স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য আয়ুর্বেদিক ঔষধে ভেষজ উপাদান হিসেবে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। আপনি যদি উল্লেখিত উপাদান নিয়মিত খাবারের সাথে যেকোনো উপায়ে গ্রহণ করতে পারেন তাহলে আশা করি দ্রুত স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখিত ভেষজ ঔষধ গুলো সেবনের পূর্বে অবশ্যই একজন ভেষজ উপাদান প্রস্তুতকৃত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
এছাড়া স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির আয়ুর্বেদিক ঔষধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য আয়ুর্বেদিক বিভিন্ন ঔষধ ট্যাবলেট, সিরাপ, পাউডার হিসেবে বাজারে পাওয়া যায়। নিয়ম অনুযায়ী ঔষধ গুলো সেবন করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য কার্যকর কিছু আয়ুর্বেদিক ওষুধের নিম্নে একটি তালিকা দেওয়া হলঃ
- দশমূল সিরাপ
- মেমোরোভেদ সিরাপ
- সেনচুরিন
- মনেরা সিরাপ
- Shuddha Brahmi
- ন্যাচারাল অশ্বগন্ধা পাউডার
- স্ট্রেস রিলিফ
- কারমিনা সিরাপ
- সিনকারা সিরাপ
উল্লেখিত ঔষধ গুলো আয়ুর্বেদিক বিভিন্ন সিরাপ, ট্যাবলেট, ও পাউডার। উল্লেখিত ঔষধ গুলো স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। উপরোক্ত ওষুধগুলো নিয়ম অনুযায়ী খেলে দুর্বল মস্তিষ্ককে দ্রুত সুস্থ করা সম্ভব। প্রিয় পাঠক আশা করি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির আয়ুর্বেদিক ঔষধ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া ঔষধ
একটু বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে অথবা সংসারিক বিভিন্ন চিন্তা ভাবনার কারণে কমবেশি প্রত্যেকেরই স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। আর এই স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার পেছনে রয়েছে উপকারী কিছু খাদ্য তালিকার অভাব। আমরা শুধুমাত্র মুখরচোখ খাবার গ্রহণ করতে ভালোবাসি। কিন্তু শরীরের জন্য উপকারী খাবার খেতে পছন্দ করি না। যাদের স্মৃতিশক্তি দুর্বল তারা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে মস্তিষ্কের জন্য উপকারী খাবার বেশি বেশি গ্রহণ করুন। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া ঔষধ হিসেবে যেগুলো খেলে খুব ভালো ফলাফল পাবেন তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলঃ
- দুধ ও বাদাম
- তিলের বীজ
- গাজর
- আদা
- আমলকি
- তুলসী পাতা
- ব্রাক্ষী
- দারুচিনি ও মধু
- বাদাম
- নারিকেল তেল
দুধ ও বাদামঃ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া ঔষধ হিসেবে আপনি দুধ ও বাদাম খেতে পারেন। রাতে কাঁচা বাদাম ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সকালে হালকা ফুটন্ত গরম দুধের সাথে ভিজিয়ে রাখা বাদাম খেয়ে নিন। দুধ ও বাদাম মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
তিলের বীজঃ তিলের বীজ, কুমড়ো বীজ, লাউ বীজ, অন্যান্য সকল বীজ জাতীয় খাবার মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত উপকারী, বিভিন্ন বিজে থাকা পুষ্টি উপাদান মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
গাজরঃ মস্তিষ্কের জন্য গাজর অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। গাজরে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন নামের উপাদান। যা মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই নিয়মিত গাজর খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হয়।
আদাঃ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া ঔষধ হিসেবে আদা অত্যন্ত উপকারী। আদাতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি যা মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি প্রখর করে।
আমলকিঃ আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ভিটামিন সি ও এন্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত সাহায্য করে।
তুলসী পাতাঃ তুলসী পাতার রস অথবা কাঁচা তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। এরমধ্যে তুলসী পাতা স্নায়ুকে প্রশমিত করে, দ্রুত মানসিক চাপ কমায়। তাই নিয়মিত তুলসী পাতার রস খেলে স্মৃতিশক্তির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
ব্রাক্ষীঃ বেজোস ঔষধি গাছ ব্রাক্ষী স্মৃতিশক্তির জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ঔষধি। এই গাছের রস নিয়মিত সেবনে স্মৃতিশক্তিকে প্রশমিত করে। দ্রুত স্মৃতিশক্তি কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
দারুচিনি ও মধুঃ মস্তিষ্কের জন্য দারুচিনি ও মধু অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। দারুচিনি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে নায়ক সমস্যা দূর করে, দারুচিনিতে রয়েছে অক্সিডেন্ট ও এন্টিবায়োটিক। নিয়মিত দারুচিনি ও মধু খেলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি স্মৃতিশক্তির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
বাদামঃ বাদামে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ও ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা স্মৃতি শক্তির জন্য অত্যন্ত উপকারী। আপনি কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, চিনা বাদাম, পেস্তা বাদাম, নিয়মিত যদি খেতে পারেন দ্রুত স্মৃতিশক্তির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
নারিকেল তেলঃ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া ঔষধ গুলোর মধ্যে সবচাইতে সেরা নারিকেল তেল। নিয়মিত মাথায় নারিকেল তেল ব্যবহারে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অথবা গোসলের পরে এক থেকে দুই চামচ নারিকেল তেল মাথায় দিন দ্রুত স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
প্রিয় পাঠক উপরে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ১০ সেরা ঘরোয়া ঔষধের তালিকা দিয়েছি। আপনি এই উপায়গুলো অবলম্বন করলে দ্রুত আপনার স্মৃতিশক্তি কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। স্মরণশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি শারীরিক দিক থেকেও দ্রুত সুস্থ হবেন। আশা করি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া ঔষধ সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির আয়ুর্বেদিক উপায়?
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য আয়ুর্বেদিক উপায়ে বিভিন্ন ন্যাচারাল সিরাপ, পাউডার, ও ট্যাবলেট সেবন করার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনুযায়ী বিভিন্ন ভেষজ ঔষধ সেবন করা যায়। আপনি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনুযায়ী নিয়মিত মাথায় অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করুন। এছাড়া মাথায় ভৃঙ্গরাজের তেল দিয়ে নিয়মিত মাথা মাসাজ করুন।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া ঔষধ হিসেবে বেশি বেশি বীজ জাতীয় খাবার খান, যেমন: কুমড়ো বীজ, মিষ্টি কুমড়া বীজ, লাউ বীজ, ভেজে খাবারের সাথে খেতে পারেন এতে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হবে। এছাড়া কাঠবাদাম নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হয়। এছাড়া দশমূল, শুদ্ধব্রাহ্মী স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনুযায়ী ন্যাচারাল অশ্বগন্ধা গুঁড়ো সেবন করুন স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হবে।
মস্তিষ্কের রোগের চিকিৎসা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য কোন ভেষজ ঔষধ ব্যবহার করা হয়?
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনুযায়ী মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ভেষজ ঔষধ, সিরাপ, পাউডার, ট্যাবলেট সেবন করতে দেওয়া হয়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনুযায়ী স্মৃতিশক্তি কমে গেলে বিভিন্ন ভেষজ উদ্ভিদের দ্বারা প্রস্তুতকৃত ঔষধ খেলে স্মৃতিশক্তি সুস্থ হয়। এছাড়া বাজারে আয়ুর্বেদিক ফর্মুলায় প্রস্তুতকৃত স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ঔষধ পাওয়া যায় যা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত চমৎকার কাজ করে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া ঔষধ ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনুযায়ী স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য অশ্বগন্ধা, চিরতা, নিম, দশমূল, হলুদ, শুদ্ধব্রাহ্মী, থানকুনি, বাঁকোপা, হিমসাগর, ভৃঙ্গরাজ, জিংকো বিলোবার নির্যাস ভেষজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায় ও শক্তি বৃদ্ধি করে কোন ভেষজ?
স্মৃতিশক্তি বাড়ায় ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে বিভিন্ন ভেষজ উপাদান। যাদের স্মৃতিশক্তি দুর্বল তারা নিয়মিত ভেষজ উপাদান গুলো সেবন করলে দ্রুত স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হয়। বিভিন্ন ভেষজ উপাদানের মধ্যে দশমূল, শুদ্ধব্রাহ্মী, অশ্বগন্ধা, হিমসাগর, ভৃঙ্গরাজ তেল অত্যন্ত উপকারী। এই উপাদানগুলো স্মৃতিশক্তি বাড়ায় ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য ভেষজ উপাদান হিসেবে কাজ করে।
মস্তিষ্কের জন্য সবচেয়ে ভালো আয়ুর্বেদিক ঔষধ কোনটি?
মস্তিষ্কের জন্য সবচেয়ে ভালো আয়ুর্বেদিক ঔষধ গুলোর মধ্যে বিভিন্ন সিরাপ ও ভেষজ উদ্ভিদ রয়েছে। আপনি বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির সিরাপ, ট্যাবলেট, ও ভেষজ উদ্ভিদের গুড়ো পাবেন যা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া মস্তিষ্কের জন্য উপকারী খাবারগুলো নিয়মিত গ্রহণ করুন। এতে ভেষজ উদ্ভিদ অথবা যেকোনো সবজি বা ফল মূল হোক না কেন। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য মস্তিষ্কের জন্য উপকারী প্রয়োজনীয় খাবার গ্রহণ করলে স্মৃতিশক্তি সুস্থ রাখার পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করা যায়।
কোন ভেষজ বা ভিটামিন স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে?
বিভিন্ন ভেষজ উপাদান রয়েছে ও বিভিন্ন ভিটামিন আকারে বাজারে সিরাপ পাওয়া যায় যা স্মৃতিশক্তি দ্রুত বৃদ্ধি করে। আপনি বাজারে যে কোন কোম্পানির স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য ভেষজ উপাদানে প্রস্তুতকৃত আয়ুর্বেদিক সিরাপ পাবেন যা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখে৷ তবে ভেষজ উপাদানে প্রস্তুতকৃত সিরাপ গুলো কেনার পূর্বে অবশ্যই কোন মানসম্মত কোম্পানির ঔষধ কিনবেন।
কেননা যেকোনো ঔষধ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয় এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই কোন ভাল প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির স্বাস্থ্য ও মানসম্পন্ন ভিটামিন সিরাপ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য সেবন করুন।
স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করে কোন উদ্ভিদ?
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে এ রকম বিভিন্ন উদ্ভিদের তালিকা উপরে দেওয়া হয়েছে। আপনি পুরো আর্টিকেলটি পড়লে বিভিন্ন স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উদ্ভিদ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবেন। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির আয়ুর্বেদিক ঔষধ অত্যন্ত উপকারী তবে অবশ্যই এর নিয়ম মেনে ও সেবন মাত্রা জেনে সেবন করুন।
লেখকের মন্তব্য
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য ভেষজ উপাদানে বিভিন্ন ভিটামিন ও ঔষধ প্রস্তুত করা হয়। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির আয়ুর্বেদিক ঔষধ সম্পর্কে অনেকে জিজ্ঞাসা করেন আজকের আর্টিকেলটি তাদের উদ্দেশ্যে লেখা। এছাড়া স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি সম্পর্কে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছি। এর বাইরে যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন। নিয়মিত এ রকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের সাইটটি ভিজিট করুন। আপনার অজানা আরো অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে আমাদের ক্যাটাগরি গুলো ঘুরে আসুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।