দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ, গামবোরো, চুনা পায়খানা, প্লেগ এর চিকিৎসা
আপনি যদি একজন সফল খামারি হন তাহলে আপনাকে অবশ্যই মুরগি পালনের সঠিক নিয়ম ও ঔষধ সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। গ্রাম অঞ্চলে দেশি মুরগি বাড়িতে পালন করা হয়। কিন্তু এখন বাণিজ্যিকভাবে দেশি মুরগি পালন করা হচ্ছে। দেশি মুরগির বিভিন্ন রোগ হয়, দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ, দেশি মুরগি ঝিমানো রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা সম্পর্কে থাকছে আজকে বিস্তারিত।
অন্যান্য মুরগির চাইতে তুলনামূলক ভাবে দেশি মুরগির রোগ কম হয়। কিন্তু রোগ কম হয় বলে দেশি মুরগির পালনে কখনো পিছ পা হওয়া যাবে না। অবশ্যই রোগ প্রতিরোধের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ - দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা
.
ভূমিকাঃ
প্রাচীনকাল থেকে দেশি মুরগি বন জঙ্গলে প্রাকৃতিক ভাবে ঘুরে বেড়াতো। কিন্তু এক সময় কোন একজন ব্যক্তি এই মুরগিকে পোষ মানিয়ে বাড়িতে পালন করতে শুরু করে। ধীরে ধীরে এ মুরগির চাহিদা বাড়ায় বাণিজ্যিক ভাবে দেশি মুরগি পালন করা শুরু হয়। আমাদের দেশে অনেক খামারি আছেন যারা দেশি মুরগি পালন করে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন।
দেশি মুরগির মাংস আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। দেশি মুরগির মাংস অত্যন্ত ভিটামিন প্রোটিন যুক্ত হাওয়ায় বাজারে এই মুরগির চাহিদাও রয়েছে। অন্যান্য মুরগির চাইতে তুলনামূলক ভাবে প্রতি কেজিতে এ মুরগির দাম ৩০০ - ৩৫০ বেশি হয়। আপনি যদি একজন দেশি মুরগির সফল খামারি হয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে দেশি মুরগি পালনের সকল রোগ সম্পর্কে এবং রোগের ঔষধ সম্পর্কে ধারণা রাখার প্রয়োজন।
আজকের আর্টিকেলটিতে থাকছে দেশি মুরগির রোগ সম্পর্কে, দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ সম্পর্কে, দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা সম্পর্কে। তাই বিস্তারিত জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
মুরগির ঝিমানো রোগের নাম
দেশি মুরগি অথবা যেকোনো মুরগি বিভিন্ন রোগের কারণে ঝিমাতে পারে। মুরগির ঝিমানো কোন রোগ নয় এটি রোগের একটি লক্ষণ। মুরগি ঝিমানোর সময় মাথা নিচু করে দুই চোখ বন্ধ করে থাকে। এমন সময় মুরগির পাখনা গুলো এলোমেলো ও হালকা উসকো খুসখো অবস্থায় থাকে। দেখলে মনে হয় যে মুরগি দাঁড়িয়ে থেকে ঘুমাচ্ছে এরকম সমস্যাকে মুরগির ঝিমানো রোগ বলা হয়।
বিভিন্ন রোগের কারণে মুরগি ঝিমোতে পারে যে রোগগুলোর কারণে মুরগি ঝিমায় সে রোগ গুলোর একটি তালিকা দেওয়া হলঃ
- ভাইরাস ও ইনফেকশন
- প্লেগ, ইনফিক্সাস লারিংগোট্রাকিয়াইটিস
- বিভিন্ন কৃমি জনিত সমস্যা,
- ইভিয়ান গাউট রোগ
- আমাশয়, কলেরা
- টাইফয়েড, এসপার জেলোসিস
- মাইক্রোপ্লাজমোসিস, লিউকোসিস
- মারেক্স ডিজিজ, বসন্ত
- বার্ডফ্লু, গামবোরো, রানীক্ষেত
মুরগির উল্লেখিত এ রোগ গুলোর কারণে মুরগির ঝিমায়। মুরগি ঝিমানোর পর চিকিৎসা করলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। চিকিৎসকের মতে মুরগির যেকোন রোগ হওয়ার পূর্বেই ওই রোগের চিকিৎসা করা প্রয়োজন। কেননা রোগ দেখা দেওয়ার পর সেই রোগের চিকিৎসা করলে মুরগি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ
অনেকে দেশি মুরগির খামার করে পালন করেন আবার অনেকেই দেশি মুরগি বাড়িতে পালন করেন ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণের জন্য। যারা খামারি আছেন তারা অবশ্যই দেশি মুরগি পালনের জন্য খামারে মুরগি প্রবেশ করানোর পর এক থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই মুরগির সকল রোগের ভ্যাকসিন দেবেন। কেননা দীর্ঘমেয়াদী সময় ধরে দেশি মুরগি পালন করতে হয়।
যারা বাড়িতে মুরগি পালন করেন যদি বেশি সংখ্যক মুরগি থাকে সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন দিতে পারেন। ভ্যাকসিন ড্রপার, ইনজেকশন এর মাধ্যমে মুরগিকে খুব সহজেই দেওয়া যায়। মুরগি যদি ঝিমায় সে ক্ষেত্রে যে ওষুধগুলো খাওয়াবেন তাহলঃ
- Oxyvet bolus
- Reena machine
এই দুইটি ওষুধ মুরগির জন্য পরিমাণ মতো খাবার পানিতে মিশিয়ে তিন দিন খাওয়াতে হবে। আশা করি সকল মুরগি সুস্থ হবে। এছাড়া বাচ্চা মুরগি যদি ঝিমায় সেক্ষেত্রে এমোক্সিলিন, অথবা মক্সোসিলিন গ্রুপের যেকোনো অ্যান্টিবায়োটিক পরিমাণ মতো মুরগিকে খাওয়াতে হবে। আশা করি দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা
দেশি মুরগি ভাইরাস জনিত সমস্যার কারণে ঝিমায়। দেশি মুরগি ঝিমানোর সময় যদি আপনি প্রাকৃতিক চিকিৎসা অবলম্বন করেন সেক্ষেত্রে ফলাফল নাও হতে পারে। কিন্তু মুরগি ভালো অবস্থায় প্রাকৃতিক কিছু উপায় অবলম্বন করলে মুরগি ঝিমানোর সমস্যা হবে না। দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসায় যে নিয়ম গুলো ব্যবহার করা হয় তা হলঃ
- কেরোসিন
- কাঁচা হলুদ
- আদাজ্বল
- লবঙ্গ
- নিম পাতার রস
- তুলসী পাতার রস
কেরোসিনঃ দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা গুলোর মধ্যে একটি হলো কেরোসিন। মুরগি ঝিমানোর পূর্বে মুরগিকে চালের সাথে কেরোসিন খাওয়াতে পারেন। কেরোসিন মুরগির জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে। প্রতি ১০ গ্রাম চালের সাথে ১ ফোটা কেরোসিন মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। মুরগির পরিমাণ বেশি হলে চাল ও কেরোসিনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। এছাড়া মুরগির আবাসস্থলে কেরোসিন ওপানি স্প্রে করতে হবে এতে মুরগির আবাসস্থলের জীবাণু ধ্বংস হবে।
কাঁচা হলুদঃ কাঁচা হলুদ মুরগির অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। মুরগি ঝিমানোর পূর্বে মুরগির পাত্রে খাবার পানির সাথে কাঁচা হলুদ ব্লেন্ড করে মিশিয়ে দিন। পানির সাথে কাঁচা হলুদের রস খেলে মুরগির অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করবে।
আদাজ্বলঃ আদা জল মুরগির ভাইরাসজনিত সমস্যা দূর করে। মুরগির পেটের ক্ষতিকর ক্রিমি থেকে বিভিন্ন সমস্যা সহজে দূর করবে। এক টুকরো আদা ব্লিন্ড করে আদার রস মুরগিকে খাবার পানির মাধ্যমে খাওয়ান।
লবঙ্গঃ মুরগির ক্ষেত্রে লবঙ্গ প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে কাজ করে। এক কাপ পরিমাণ পানিতে ৫ টুকরো পরিমাণ লবঙ্গ গরম করে ফুটিয়ে নিন। এরপর পানি ঠান্ডা হলে পানি ছেকে মুরগির খাওয়ান মুরগির ঝিমানোর সমস্যা দূর হবে।
নিম পাতার রসঃ দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা গুলোর মধ্যে একটি হলো নিম পাতার রস। কমপক্ষে মুরগিকে সপ্তাহে একবার নিম পাতার রস খাওয়ালে মুরগির শরীরের ক্ষতিকর জীবাণু দূর হয়। এছাড়া মুরগির আবাসস্থল পরিষ্কার করার সময় নিম পাতার রস মিশ্রিত পানি দিয়ে আবাসস্থল পরিষ্কার করুন।
তুলসী পাতার রসঃ তুলসী পাতার রস মুরগির কাশি, ও ঝিমানোর সমস্যা দূর করবে, সর্দি লাগা সহ অন্যান্য সমস্যা দূর করবে। তাই সপ্তাহে একবার তুলসী পাতার রস মুরগিকে খাওয়ান।
উপরে উল্লেখিত নিয়মগুলো দেশি মুরগি ঝিমানো রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা হিসেবে কাজ করে। আশা করি উপায় গুলো অবলম্বন করলে খুব সহজেই মুরগির ঝিমানোরোগের সমস্যা দূর করতে পারবেন।
দেশি মুরগির ঝিমানো ও চুনা পায়খানা রোগের চিকিৎসা
মুরগির ঝিমানো ও চুনা পায়খানা হওয়া রানীক্ষেতের লক্ষণ। রানীক্ষেত হওয়ার পূর্বে মুরগির চুনা পায়খানা হতে পারে মুরগি ঝিমাতে পারে। তাছাড়া ঠান্ডা লাগলে ও গামবোরো রোগ হলে মুরগি ঝিমায় ও চুনা পায়খানা করে। মুরগির ঘরে যদি অতিরিক্ত লিটার জমা হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে মুরগির এই রোগ গুলো হতে পারে মুরগির ঝিমোতে পারে ও চুনা পায়খানা করতে পারে।
রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর মুরগির ডিম পাড়া বন্ধ হয়ে যায়। এই সমস্যা গুলো দেখা দিলে অবশ্যই সুস্থ ও অসুস্থ মুরগী গুলো আলাদা করে নিবেন। মুরগির আবাসস্থল জীবাণু নাশক দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নেবেন। প্রতি ১০০ পিস মুরগির জন্য ৩ গ্রাম lixen পাউডার চার লিটার জলে মিশিয়ে মুরগিকে খাওয়াবেন। অথবা Enrofloxacin ঔষধ ১০০ মুরগির জন্য ১.৫ মিলি চার লিটার পানিতে মিশিয়ে মুরগি খাওয়াবেন। আশা করি খুব সহজে মুরগির সুস্থ হবে।
দেশি মুরগির ঔষধের তালিকা
দেশি মুরগির বিভিন্ন রোগ দূর করতে এবং মুরগিকে দ্রুত বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন ভিটামিনের প্রয়োজন হয়। এছাড়া বিভিন্ন রোগ দূর করার জন্য পূর্বে থেকেই প্রস্তুতি নিলে খুব সহজেই দেশি মুরগির রোগ দূর করা সম্ভব। দেশি মুরগির ভিটামিনের চাহিদা পূরণের জন্য প্রতি সপ্তাহে চারবার Renasol ad3e এই সিরাপ খাওয়াতে পারেন।
এছাড়া প্রতি সপ্তাহে দুই লিটার পানিতে ১ মিলি লিভার টনিক মিশিয়ে মুরগিকে খাওয়াবেন। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে দুইবার জিংক ১ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে মুরগিকে খাওয়াবেন। মুরগির ডিমের ঘাটতি পূরণের জন্য ভিটামিন E-sel সিরাপ এক লিটার পানিতে ১ মিলি মিশিয়ে মুরগির খাওয়াতে পারেন।
দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধের নাম
দেশি মুরগি ঝিমানোর ক্ষেত্রে সবচাইতে ভালো ওষুধ খাওয়ালে মুরগি দ্রুত সুস্থ হয়। দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ গুলোর মধ্যে যে ওষুধগুলো সবচাইতে ভালো কাজ করে তা হল Oxyvet bolus ও Reena machine এ দুইটি ওষুধ মুরগির ঝিমানো রোগের জন্য ভালো কাজ করে। এছাড়া ঝিমানোর জন্য Lixen পাউডার প্রতি দুই লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০০ মুরগিকে খাওয়ান।
দেশি মুরগির বাচ্চার ঔষধের তালিকা
দেশি মুরগির বাচ্চা সুস্থ রাখার জন্য দেশি মুরগির বাচ্চাকে অবশ্যই প্রথমে ভ্যাকসিন করা প্রয়োজন। দেশি মুরগির বাচ্চা উঠানোর পরে প্রথম তিনদিন যে ওষুধগুলো খাওয়াবেন তাহলঃ
- পুলস্যান প্লাস
- ইমিউনো প্লাস
- রিভিটা প্লাস
চতুর্থ দিন যে ওষুধগুলো খাওয়াবেন তা হল
- রানীক্ষেত ভ্যাকসিন
- ইমিউনো প্লাস
পঞ্চম দিন থেকে সপ্তম দিন পর্যন্ত
- রিভিটা প্লাস
- চিক নিউরোভিট
দশম দিনে
- গামবোরো ভ্যাকসিন
- ইমিউনো প্লাস
এরপর থেকে বিভিন্ন ভিটামিন, লিভার টনিক, জিংক, ক্যালসিয়াম, আরো অন্যান্য ওষুধ খাওয়াতে পারেন।
বড় মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ
বড় মুরগি ঝিমানোর ক্ষেত্রে এক এক রোগের ক্ষেত্রে এক এক রোগের ঔষধ প্রয়োগ করতে হয়। মুরগির রোগ অনুযায়ী রোগ বুঝে ওষুধ সেবন করান। ঠান্ডা জনিত সমস্যায় মুরগি ঝিমালে মাইক্রোনেট এক লিটার পানিতে এক গ্রাম ওষুধ মিশিয়ে মুরগিকে খাওয়াবেন। এছাড়া napa extra গুঁড়ো করে অথবা নাপা এক্সট্রা সিরাপ মুরগির পানির সাথে খাওয়াতে পারেন। এতে মুরগি ঝিমানো সেরে যাবে।
মুরগির চুনা পায়খানার ঔষধ
মুরগির চুনা পায়খানা হলে সাধারণত দুই-একদিনের মধ্যে সেরে যায়। যদি অতিরিক্ত মুরগির সোনা পায়খানা হয় সে ক্ষেত্রে প্রতি ২০ পিচ মুরগির জন্য একটি রেনামাইসিন ট্যাবলেট গুঁড়ো করে খাবারের সাথে মুরগিকে খাওয়ান আশা করি সুস্থ হবে। যদি খামারে অধিক সংখ্যক মুরগি আক্রান্ত হয় সে ক্ষেত্রে ভেটেনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
লেখক এর মন্তব্য
অনেকেই দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ ও দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। আজকের আর্টিকেলটি তাদের উদ্দেশ্যে লেখা। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন। আজকে মুরগি সম্পর্কে বিভিন্ন রোগের সঠিক উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছি। মুরগি সম্পর্কে যদি আপনার আরো কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। আমরা নিয়মিত আমাদের সাইটে এ রকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পোস্ট করে থাকি। তাই নিয়মিত এ রকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের সাইটটি ভিজিট করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।