ছাত্র ছাত্রীদের মন জয় করার উপায় - ছাত্রদের প্রতি শিক্ষকের উপদেশ
ছাত্র ছাত্রীদের মন জয় করার উপায় লিখে যদি আপনি সার্চ করেন তাহলে আমার জানামতে অবশ্যই আপনি একজন শিক্ষক। একজন শিক্ষকের অবশ্যই জানা উচিত ছাত্র ছাত্রীদের জন্য উপদেশ দেওয়া, পড়ানোর কৌশল, শিক্ষনীয় গল্প, এবং ভালো শিক্ষক হওয়া যায় কিভাবে সে সম্পর্কে।
একজন শিক্ষককে অবশ্যই শান্তশিষ্ট, নম্র, ভদ্র, ধৈর্যশীল, ওই স্মার্ট কোয়ালিটির হওয়া প্রয়োজন। একজন শিক্ষক যতই স্মার্ট হবেন তত বেশি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে আত্মসম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ছাত্র ছাত্রীদের মন জয় করার উপায় - ছাত্র ছাত্রীদের জন্য উপদেশ
.
ভূমিকাঃ
জাতির মেরুদন্ডকে সোজা রাখতে, শক্তিশালী করতে একজন ভালো শিক্ষকের গুরুত্ব অপরিসীম। কোন স্টুডেন্টকে যেকোনো বিষয়ে পারদর্শী করার জন্য ওই বিষয়ের উপর শিক্ষককে পূর্বে পারদর্শী থাকতে হবে তাহলে তিনি তার শিক্ষার্থীকে উক্ত বিষয়ে পারদর্শী করতে পারবেন নিশ্চিত। একজন ভালো শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছে পছন্দের পাত্র।
শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি নিজে শারীরিক, মানসিক, জ্ঞানী, ধৈর্যশীল হওয়া প্রয়োজন। একজন শিক্ষকের কোন ভালো দিকগুলো থাকলে শিক্ষার্থীদের কাছে নিজের আত্মসম্মান বৃদ্ধি পাবে। ও ছাত্র ছাত্রীদের মন জয় করার উপায় গুলো কি কি বিস্তারিত জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
ছাত্র ছাত্রীদের পড়ানোর কৌশল
আমরা যখন লেখাপড়া করেছি তখন দশটি শিক্ষকের মধ্যে কেউ ছিল আমাদের কাছে ভালো আর কেউ ছিল আমাদের কাছে সবচাইতে ভালো। তো ভালো আর সবচাইতে ভালো হওয়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। ভালো শিক্ষক হওয়ার চাইতে সবচাইতে ভালো হওয়া অনেক জরুরী। ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানোর সময় অবশ্যই এ বিষয়ে ধারণা রাখা প্রয়োজন।
শিক্ষার্থীদের পড়ানোর সময় অবশ্যই তাদের সাথে বন্ধু সুলভ আচরণ করুন। একটানা দীর্ঘ সময় কখনোই পড়াবেন না সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পড়া লেখায় মনোযোগের বিঘ্নঘটবে। ক্লাসে যদি কোন শিক্ষার্থী নিয়মিত ভালো লেখাপড়া করে সে ক্ষেত্রে তাকে অনেক শিক্ষক এই বেশি প্রাধান্য দেয় এটা কখনোই করা ঠিক নয়। ক্লাসের প্রত্যেকটি স্টুডেন্টকে সমানভাবে খেয়াল রাখবেন।
উভয়ের প্রতি সদয় আচরণ করবেন। নম্র ও ভদ্রভাবে প্রত্যেকের সাথে কথা বলুন। শুধুমাত্র আপনার ক্লাসের শিক্ষার্থীদের সাথে না কোন ব্যাচেরই শিক্ষার্থীদের সাথে রাগান্বিত সরে কথা বলবেন না। অবশ্যই গত ক্লাসের পড়া যদি সামনের ক্লাসে না করে আসে সে ক্ষেত্রে কখন নয় তাদের প্রতি রাগান্বিত বা উচ্চস্বরে কথা বলবেন না। এমন অবস্থায় তাদেরকে কোন ভালো ব্যক্তির সফলতার গল্প শুনান।
জীবনে সফল হতে হলে পরিশ্রমী হতে হবে এ বিষয়ে তাদেরকে বুঝিয়ে বলুন। তাদেরকে মজার মজার কথার ছলে লেখাপড়া শেখানোর চেষ্টা করুন। কখনোই ক্লাসে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার করবেন না। সব সময় শুদ্ধ ভাষায় কথা বলুন যাতে শিক্ষার্থীদের আপনার কথা বোঝার কোনো অসুবিধা না হয়।
ছাত্র ছাত্রীদের মন জয় করার উপায়
শিক্ষার্থীদের মন জয় করার জন্য একজন শিক্ষককে অবশ্যই কিছু নিয়ম অবলম্বন করা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষককে পছন্দের পাত্র হওয়ার জন্য অথবা শিক্ষার্থীদের মন জয় করার জন্য অবশ্যই শিক্ষকের কিছু গুণাবলী থাকা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের সাথে বন্ধু সুলভ আচরণ করুন। সব সময় কথা বলার ক্ষেত্রে হাসিমুখে কথা বলুন। তাদের সমস্যাগুলোকে বোঝার চেষ্টা করুন।
প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর প্রতি সমানভাবে খেয়াল রাখুন। কখনোই তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করবেন না। ছাত্র ছাত্রীদের মন জয় করার জন্য ভালো ব্যবহারই উৎকৃষ্ট পন্থা। লেখাপড়ার ক্ষেত্রে কখনো শিক্ষার্থীদের সাথে কঠোর মনোভাব প্রকাশ করবেন না। তাদের প্রতি নমনীয় হন, আপনি শিক্ষার্থীদের সাথে যত ভালো ব্যবহার করবেন তারাও আপনাকে তার চাইতে দ্বিগুণ ভালোবাসা ফেরত দেবে।
লেখাপড়ার পাশাপাশি যেকোনো ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীর সাথে শিক্ষকের কখনোই মনোমালিন্য হওয়া উচিত নয়। তাদের সাথে কিছু ভালো মুহূর্তের কথাবার্তা শেয়ার করুন। লেখাপড়ায় যদি শিক্ষার্থীরা অনাগ্রহী হয় সেক্ষেত্রে তাদেরকে বুঝিয়ে বলুন। বিখ্যাত ব্যক্তিদের উদাহরণ হিসেবে কিছু গল্প তুলে ধরুন। ক্লাসে পড়াশোনা করার সময় কোন শিক্ষার্থী যদি দুর্বল হয় সেক্ষেত্রে কখনোই তার প্রতি অবহেলা করবেন না।
আরো পড়ুনঃ বিডি জবস একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪
একজন আদর্শ শিক্ষকের এই গুণাবলী গুলো থাকলেই তিনি শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে পারবেন। আশা করি ছাত্র ছাত্রীদের মন জয় করার উপায় সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
ছাত্রদের প্রতি শিক্ষকের উপদেশ
ছাত্র ছাত্রীদের ভালো উপদেশ দেওয়ার পাশাপাশি একজন শিক্ষকের চারিত্রিক দিক সুন্দর হওয়া প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের জীবনে সফল হওয়ার জন্য তাদের প্রতি খেয়াল রাখা একজন আদর্শ শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কেননা একজন শিক্ষকই পারেন কোন শিক্ষার্থীকে জীবনের সফল পর্যায়ে পৌঁছাতে।
সব সময় ছাত্র ছাত্রীদের ভালো উপদেশ দিন। তাদের সাথে কোন বাস্তব জীবনের ব্যক্তির সফলতার গল্প শেয়ার করুন। জীবনে কিভাবে সফল হওয়া যায় জীবনে কোন পন্থাগুলো অবলম্বন করলে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়। কিভাবে সমাজে চলাফেরা করলে কৃর্তিমান হওয়া সম্ভব সে বিষয়ে তাদেরকে সঠিক ধারণা দিন। নিচে ছাত্রদের প্রতি শিক্ষকের উপদেশ দেওয়া হলোঃ
- নিয়মিত অধ্যায়ন করো
- লেখাপড়ার জন্য সময় নির্ধারণ করো
- বুঝতে অসুবিধা হলে জিজ্ঞাসা করো
- প্রশ্ন করতে ভয় করোনা
- আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করো
- নিয়মিত স্বাস্থ্যের যত্ন নাও
- অধ্যবসায়ী হও
- পরিশ্রম করতে শেখো
- জীবনের মূল্য বোঝার চেষ্টা করো
নিয়মিত অধ্যায়ন করোঃ নিয়মিত লেখাপড়া করার কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন না করলে পরীক্ষার পূর্বে তোমার কাছে বোঝা মনে হবে। তখন দুই একদিনের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারবে না। তাই নিয়মিত অধ্যায়ন করে সবকিছু আয়ত্তে রাখো।
লেখাপড়ার জন্য সময় নির্ধারণ করোঃ সারাদিনের অংশগুলোকে ভাগ করে নিও। কিছুটা খেলার সময়, কিছুটা বিশ্রামের সময়, কিছুটা খাবার সময়, কিছুটা লেখাপড়ার সময়। দিনের কিছু গুরুত্ব অংশে লেখাপড়া করো। সবচাইতে বেশি মনে রাখতে পারবে। লেখাপড়ায় সবচাইতে বেশি সময় দাও ভোর ৪ টার পরে। এ সময় স্মৃতিশক্তি ফ্রেশ থাকে অল্প পরিশ্রমে বেশি পড়াশোনা আয়ত্ত করা যায়।
বুঝতে অসুবিধা হলে জিজ্ঞাসা করোঃ আমি তোমাদের শিক্ষক বুঝতে অসুবিধা হলে জিজ্ঞাসা করবে। তুমি যতবার আমাকে জিজ্ঞাসা করবে আমি ততবারই উত্তর দেব। কখনো বিরক্ত মনে করবে না, যেকোনো বিষয়ে বুঝতে অসুবিধা হলে জিজ্ঞাসা করবে।
প্রশ্ন করতে ভয় করোনাঃ কখনো প্রশ্ন করতে ভয় করবে না। প্রশ্ন না করলে কখনোই শিখতে পারবে না। তোমার মনের মধ্যে কোন কিছু জানার আগ্রহ থাকলে তা জিজ্ঞেস করতে পারো।
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করোঃ নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করো। কখনোই নিজেকে দুর্বল ভাববে না। মনে মনে ভাববে আমি এটা করতে পারব। যদি মন থেকে সাহস করো তাহলে অবশ্যই তুমি সেটা করতে পারবে। মন থেকে দুর্বল হলে কখনো সফলতা অর্জন করতে পারবেনা।
নিয়মিত স্বাস্থ্যের যত্ন নাওঃ নিয়মিত স্বাস্থ্যের যত্ন নিও, সুস্বাস্থ্য সুখের মূল। তোমার স্বাস্থ্য যদি সুস্থ না হয় তাহলে তুমি অসুস্থ হয়ে যাবে। তাই স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখবে। কখনোই বেশি রাত জাগা অথবা বেশি ঘুমাবে না। কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো না।
অধ্যবসায়ী হওঃ জীবনে যদি সফলতা অর্জন করতে চাও তাহলে অধ্যবসায়ী হও। যত বেশি অধ্যায়ন করবে তত বেশি শিখতে পারবে। যত বেশি শিখতে পারবে তোমার তত বেশি জ্ঞান বুদ্ধি, বিবেক, জাগ্রত হবে।
পরিশ্রম করতে শেখোঃ পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি, তাই পরিশ্রম করতে শেখো। কখনোই বেকার বসে থাকবে না। একটি কথা মনে রাখবেন বেকার বসে থাকার চাইতে অন্যের উপকার করা অনেক ভালো। বেকার না বসে থেকে পরিশ্রম করো একদিন এই পরিশ্রম তোমার মূল্য দেবে।
জীবনের মূল্য বোঝার চেষ্টা করোঃ যখন তুমি ফ্রি থাকো ঘুমাতে যাবার আগে চিন্তা কর জীবনের মূল্য কি। কেন আমরা এত কিছু করছি, পরবর্তীতে কি করব। জীবনটাকে কিভাবে উপভোগ করতে পারি। কিভাবে আমি এটা করব, এগুলো চিন্তা করলে জীবনের মানে কি বুঝতে পারবে।
উপরে একজন শিক্ষকের ভাষায় ছাত্রদের প্রতি শিক্ষকের উপদেশ দেওয়া হয়েছে। আপনি এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনার শিক্ষার্থীদের উপদেশ দিতে পারেন। আশা করি উপদেশ গুলো আপনার ভালো লাগবে।
ছাত্র ছাত্রীদের জন্য শিক্ষনীয় গল্প
ছাত্র ছাত্রীদের মন জয় করার জন্য অবশ্যই তাদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করা প্রয়োজন। ক্লাসের লেখাপড়ার পাশাপাশি তাদের সাথে কিছু বাস্তব জীবনের গল্প শেয়ার করুন। কেননা শিক্ষনীয় গল্পের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর আগ্রহ বৃদ্ধি করা সম্ভব। বর্তমান সময়ে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে চায় না।
নিজে নিজে ভাবে যে তার দ্বারা কিছুই হবে না। এখন লেখাপড়া করে কোন চাকরি পাওয়া যায় না লেখাপড়া করে কি হবে এর চাইতে ভাবো ঘুরে হাওয়া অনেক ভালো। এরকম শিক্ষার্থীদের মন মানসিকতা দূর করার জন্য একটি বাস্তব জীবনের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
একটি ক্লাসে দুইটি ভালো বন্ধু ছিল। তারা প্রথম জীবন থেকেই একসাথে লেখাপড়া করে এসেছে। দুইজনে স্কুলে যাওয়ার সময় একসাথে যাই। দুইজনেই একসাথে সবকিছুই করে। লেখাপড়ায় দুইজনে সমান ছিল কিন্তু বিষয় হল একজনের বাবা ছিল গরিব আর অন্যজনের বাবা ছিল বিত্তবান। পর্যায়ক্রমে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পর দুই বন্ধুই উত্তীর্ণ হয়।
বিত্তবান বন্ধু এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পর পুলিশের চাকরি পায়। দ্বিতীয় যে গরিব বন্ধুটি ছিল এমন সময় তার অন্য বন্ধুর চাকরির খবর শুনে ভেঙে পড়ে। পরবর্তীতে তার লেখাপড়ায় মনোযোগ আসে না নিজের প্রতি অবহেলা প্রকাশ পায়। নিজে নিজে ভাবতে থাকে তার দ্বারা কিছুই হবে না। গরিব বন্ধুটি আল্লাহর কাছে বেজায় রাগান্বিত হন। সে আল্লাহর প্রতি অনেক নারাজ ছিল।
কিন্তু সে অনেক পরিশ্রম করে লেখাপড়া চালিয়ে যায়। লেখাপড়া শেষ করার পর গরিব বন্ধুটি দলীয় কর্মকাণ্ডে যোগ দেয়। প্রথম বন্ধুটি এতদিনে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশের (SI) সাব ইন্সপেক্টর পর্যায়ে এসেছেন। এখন তার পিছে দশটি কনস্টেবল রয়েছে। সব সময় তার যে কোনো সমস্যায় কনস্টেবল গুলো সাহায্য করে। এ কনস্টেবল গুলো তাকে সব সময় স্যার স্যার ডাকে সম্মানিত করেন।
বিত্তবান বন্ধুটি বেজায় খুশি আজকে তার জীবন সাকসেস। সে জীবনে সফলতা অর্জন করেছে। এভাবে পেরিয়ে যাই ১৫ বছর, ১৫ বছর পর গরিব যে বন্ধুটি ছিল সে পর্যায়ক্রমে আল্লাহর মেহেরবানীতে আজকে দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে মিনিস্টার অফ পার্লামেন্ট (MP) পদে জয়যুক্ত হন। কিন্তু এতদিনে গরিব বন্ধুটি কর্মব্যস্ততার কারণে তার সেই পুলিশে চাকরি পাওয়া বন্ধুটির কথা ভুলেই গেছে।
তখন যে তিনি আল্লাহর উপরে বেজায় রাগান্বিত ছিলেন এই কথাটি ও তার খেয়াল ছিল না। আজ তিনি একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি তার সিকিউরিটির জন্য এখন একাধিক পুলিশকে নিযুক্ত করা হয়েছে। তার এখন অনেক সম্মান, তিনি যে পুলিশকে যাই বলেন আদেশক্রমে সে কাজ করতেই পুলিশেরা বাধ্য হয়। একদিন একটি প্রোগ্রামে মিটিং এর জন্য এরেঞ্জ করা হয়। এখানে শতশত সিকিউরিটি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এমপি কে সেভ রাখার জন্য।
এই সিকিউরিটি গুলোর মধ্যে তার সেই ১৫ বছরের আগের বন্ধুটিও ছিল। এমপি বন্ধুটি মিটিংয়ে যখন আসেন তখন তার সেই ১৫ বছর আগের বিত্তবান বন্ধুটির সাথে দেখা হয়। এরপর দুজনে অনেক খুশি একে অপরের সাথে কথা বলে খোঁজ খবর নেই, চাকরিজীবী বন্ধুটি তার ডিউটির চাপে ওই গরিব বন্ধুটির সাথে দেখা করার সময় পাইনি। আর এমপি বন্ধুটি দলীয় কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত থাকার জন্য তার পুলিশ বন্ধুটির খোঁজখবর নিতে পারিনি।
আজকে পুলিশ বন্ধুর পদোন্নতি হয়ে সাব ইন্সপেক্টর হয়েছেন। অন্যদিকে গরিব বন্ধুটি দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে জয়যুক্ত হয়ে এমপি পর্যায়ে নিযুক্ত হয়েছেন। এখন এই এমপি বন্ধুটি মনে মনে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন এবং নিজেকে আল্লাহর কাছে অনেক ছোট মনে করেন। আল্লাহর কাছে নিজে ক্ষমা চান যে তিনি এতদিন আল্লাহর উপর রাগান্বিত ছিলেন তাই।
হয়তো আজ থেকে ১৫ বছর আগে তার পুলিশ বন্ধুটি অনেক উচ্চ পর্যায় ছিল। কিন্তু ১৫ বছর পর আল্লাহ আজকে তার বন্ধুটির চাইতে তাকে অনেক উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। এতদিন ধৈর্য ধারণ করে ছিলেন বিধায় আল্লাহ তার সফলতা দিয়েছেন। মনে মনে অনুতপ্ত হতে থাকে, এবং নিজেই আল্লাহর কাছে নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইতে থাকে।
মূল কথা হলো এই যে, কোন শিক্ষার্থী যদি নিজে মনে মনে এ রকম চিন্তা ভাবনা করে তাহলে তাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরা প্রয়োজন। তার পাশের বন্ধু ভালো কোন চাকরি পেয়েছে বা ভালো কিছু করছে এটা ভেবে কখনোই মন খারাপ করা উচিত নয় ধৈর্য ধরলে আল্লাহ নিশ্চয়ই একদিন তার ভালো ফলাফল দিবেন। ধৈর্য মহৎ গুণ, এরকম কিছু বাস্তব জীবনের ধারনা শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরুন।
কিভাবে একজন ভাল শিক্ষক হওয়া যায়?
একজন ভালো শিক্ষক হওয়ার জন্য অবশ্যই শিক্ষককে ছাত্র ছাত্রীদের মন জয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি সুশীল আচরণ, নম্র, ভদ্র, এবং বন্ধুত্ব সুলভ হতে হবে। কখনোই তাদের প্রতি রাগান্বিত হওয়া যাবেনা। সব সময় তাদের প্রতি সমান ভালোবাসা দেখান। তাদের বিপদে-আপদে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে খোঁজখবর রাখুন। তাদের প্রতি সদয় আচরণ করুন তাদের সাথে হাসি ঠাট্টা গল্পগুজব করুন আশা করি শিক্ষার্থীদের কাছে সবচাইতে ভালো শিক্ষকের তালিকায় পৌঁছাতে পারবেন।
একজন ভালো শিক্ষকের গুনাবলী কি কি?
একজন শিক্ষকের সবচাইতে বড় গুণাবলী হলো তার ধৈর্য। ধৈর্য হচ্ছে মহৎ গুণ ধৈর্য না থাকলে কোন শিক্ষক ওই তার শিক্ষার্থীকে কখনোই সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেনা। যে বিষয়ে আপনি শিক্ষাদান করেন সে বিষয়ে আপনার গভীর জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষনীয় বিষয়গুলোতে যুক্তি দেখানোর চাইতে বাস্তব প্রমাণ শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরুন।
যেমন তোমরা লেখাপড়া করে চাকরি পাবে এরকম কিছু বলবেন না, বলবেন দেখো যারা পূর্বে ভালোভাবে লেখাপড়া করেছিল তারা আজকে বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রে ভালো ভালো পর্যায় পরিচালনা করছেন। তাই তোমাকে ভালো পর্যায়ে পৌঁছাতে হলে অবশ্যই ভালোভাবে পড়াশোনা করা উচিত।
আপনার যেকোনো বিষয়ে যথাযথ প্রস্তুতি থাকা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীরা যাতে আপনার কাছে উচ্চমানের প্রত্যাশা করতে পারে। আপনার উদাহরণ দেওয়া, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান রাখা প্রয়োজন। অবশ্যই শিক্ষার্থীদের সাথে বন্ধু সুলভ ব্যবহার করুন। তাদের প্রতি যত্নশীল হওয়া আপনার অত্যন্ত জরুরী।
লেখকের মন্তব্য
আমি একজন লেখক কোন শিক্ষক নয়। তবে শিক্ষকের মাঝে কি কি গুণ, কি কি আচরণ ও কোন বৈশিষ্ট্য গুলো থাকা প্রয়োজন সে সম্পর্কে হাজারো তথ্য সংগ্রহ করে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আমার সামান্য জ্ঞান থেকে আপনাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। যদি কোন ভুল হয় সেক্ষেত্রে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন কেননা আমিও একদিন শিক্ষার্থী ছিলাম।
অনেকেই ছাত্র ছাত্রীদের মন জয় করার উপায়, ছাত্র ছাত্রীদের জন্য উপদেশ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। আজকের আর্টিকেলটি তাদের উদ্দেশ্যে লেখা। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন। নিয়মিত আমরা এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আমাদের সাইটে আপলোড করি। আর্টিকেলটি যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করুন। প্রতিনিয়ত এরকম মজার কিছু টিপস পড়তে আমাদের সাইটটি ভিজিট করুন। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।