দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত - শুকনো খেজুর খাওয়ার নিয়ম

আপনার স্বাস্থ্যের জন্য দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত নিশ্চয়ই আপনি জানেন না। নিয়মিত কয়টি খেজুর আপনার স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখবে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন থাকায় প্রত্যেকটি ব্যক্তিরই খেজুর একটি পছন্দের খাবার। শুকনো খেজুর খাওয়ার নিয়ম ও খেজুর খাওয়ার প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে থাকছে বিস্তারিত এই আর্টিকেলটিতে।
দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত - শুকনো খেজুর খাওয়ার নিয়ম
হাজারো ভিটামিন যুক্ত খাবারের মধ্যে খেজুর অন্যতম একটি খাবার। যা মানব দেহের প্রত্যেকটি ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। খেজুরে বিদ্যমান হিমোগ্লোবিন শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে।

পোস্ট সূচিপত্র: দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত - শুকনো খেজুর খাওয়ার নিয়ম

.

ভূমিকাঃ

খেজুর অত্যন্ত সুস্বাদু একটি ফল যা মানব দেহের হাজারো ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। খেজুরে বিদ্যমান খনিজ, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, মানব দেহের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। মুসলিম ধর্মের প্রত্যেকটি ব্যক্তির কাছে খেজুর একটি অত্যন্ত পছন্দনীয় খাবার।

খেজুরে বিদ্যমান ভিটামিন ম্যাগনেসিয়াম শরীরের রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করে। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা বলে শেষ করার মত নয়। খেজুর থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন এর জন্য দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত খেজুর খাওয়ার নিয়ম চলুন বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

খেজুর খাওয়ার নিয়ম

খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। খেজুরে ফাইবার থাকে প্রচুর পরিমাণে যা শরীরের বিভিন্ন রোগ নিরাময় সহযোগিতা করে। অনেকেই খেজুর খাওয়ার নিয়ম জানেন না চলুন বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

খেজুর খাওয়ার নিয়ম ১
দিনের যে কোন অংশে খেজুর খাওয়া যায়। বিশেষ করে সকালবেলা ৪-৫টি খেজুর খেলে দিনের সব সময় শরীর শক্তিশালী এবং সতেজ থাকে। শরীরের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

খেজুর খাওয়ার নিয়ম ২
আপনি রাতে ঘুমানোর আগে চার থেকে পাঁচটি খেজুর খেতে পারেন। এতে খেজুরে বিদ্যমান ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ আপনার শরীর সুস্থ রাখবে।
শুকনো খেজুর খাওয়ার নিয়ম ৩
আপনি যদি শুকনো খেজুর খান তাহলে অবশ্যই রাতে ঘুমানোর দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে ভিজিয়ে রাখবেন এবং ঘুমানোর আগে খেয়ে নিতে পারেন।

খেজুর খাওয়ার নিয়ম ৪
আপনি যদি প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করেন তাহলে ঘুম থেকে উঠে সকালে খালি পেটে শুকনো অথবা ভেজা খেজুর যে কোন ভাবে খেতে পারেন। এতে আপনার শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করবে। এবং ব্যায়াম করার সময় শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি করবে।

খেজুর খাওয়ার নিয়ম ৫
দিনের যেকোনো সময় খেজুর খাওয়া যেতে পারে। বিকেলবেলা অথবা দুপুরের আগে হালকা খাবার খাওয়ার সময় আপনি কয়েকটি খেজুর খেতে পারেন। এতে আপনার শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে। তাছাড়া রমজান মাসের রোজার সময় সারাদিন রোজা রাখার পর সন্ধ্যায় ইফতারের সময় কয়েকটি খেজুর খেলে সারাদিনের শরীরের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে।

খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময়

খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন আপনি কি জানেন। খেজুর অত্যন্ত পছন্দনীয় খাবার এবং খেতে সুস্বাদু হওয়ায় অনেকেই নিয়মিত খেজুর খান। দিনের যেকোনো সময় খেজুর খেলে খেজুরে বিদ্যমান ভিটামিন মানব দেহের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। কিন্তু খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময় জেনে সঠিক নিয়মে খেজুর খেলে আরো বেশি পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময় হচ্ছে দিনের দুইটি অংশে।

খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময় ১
সকাল বেলা খালি পেটে খেজুর খেলে সবচাইতে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। সকালবেলা খালি পেটে খেজুর খেলে খেজুরে থাকা ভিটামিন ও এনার্জি সারাদিন কাজকর্ম করার সময় এনার্জি যোগায়। শরীরের দুর্বলতা দূর করে এবং পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করে।

খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময় ২
রাতে ঘুমানোর আগে খেজুর খাওয়া। সারাদিন কাজ করলে প্রত্যেকের শরীরের একটি দুর্বলতা দেখা দেয়। এই দুর্বলতা দূর করার জন্য রাতে ঘুমানোর আগে খেজুর খেলে খেজুরের বিদ্যমান ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ শরীরের সকল ঘাটতি গুলো পূরণ করে। তাছাড়া নিয়মিত সকালে এবং রাতে খেজুর খেলে শরীরে নানাবিধ সমস্যার সমাধান মেলে।

রাতে ঘুমানোর আগে খেজুর খেলে কি হয়

রাতে ঘুমানোর আগে খেজুর খেলে শরীরের অনেক পুষ্টি চাহিদা মেটানো সম্ভব। সারাদিনের ক্লান্তি ও ধকল শেষে রাতে ঘুমানোর আগে খেজুর খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। সবচাইতে বেশি উপকার পাওয়া যায় শুকনো খেজুর খেলে। শুকনো খেজুর খাওয়ার নিয়ম মেনে নিয়মিত খেলে শরীরের রক্তের ঘাটতি পূরণ হয়। খেজুর অত্যন্ত পুষ্টি গুণসম্পন্ন একটি ফল। খেজুরের বিদ্যামান ভিটামিন মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। রাতে ঘুমানোর আগে খেজুর খেলে কি কি হয় নিম্নে আলোচনা করা হলো।
  • রাতে ঘুমানোর আগে খেজুর খেলে মস্তিষ্ককে সচল রাখে।
  • শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখে।
  • শরীরের সারা দিনে শারীরিক দুর্বলতা দূর করে।
  • রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
  • নতুন রক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে।
  • ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধি করে।
  • হার্টের সমস্যার সমাধান করে।
  • যৌন রোগ দূর করে।
  • ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে
  • শরীরকে স্বাস্থ্যবান করে
  • যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে
  • আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে
  • প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে
  • কর্মের শক্তি যোগায়
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
  • ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে
  • ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
রাতে ঘুমানোর আগে খেজুর খেলে এর চাইতে আরো অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। আপনি যদি রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন তাহলে আপনি নীরোগ এবং সুস্থ থাকবেন। খেজুর আপনার শরীরের সকল ধরনের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করবে।

দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। অনেকেই ভিটামিনের চাহিদা পূরণের জন্য খেজুর খেয়ে থাকে। কিন্তু দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত এই বিষয়ে অনেকেই জানেন না। খেজুরে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, এন্টিঅক্সিডেন্ট, এবং প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি যা মানব দেহের শক্তি যোগাতে সহযোগিতা করে। 
রক্তের বিষাক্ত পদার্থ এবং গ্লুকোজ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে আপনি নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন। নিয়মিত খেজুর খেলে আপনার শরীরের সকল ধরনের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে। একটি মানুষের শরীরের প্রতিদিনের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য সর্বনিম্ন ৪-৫টি খেজুর খাওয়া যেতে পারে।

তবে সবচাইতে ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য সারাদিনে ১০০ গ্রাম খেজুর খাওয়া উচিত। ১০০ গ্রাম খেজুরে আছে ২৭৭ ক্যালরি যা মানব দেহের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে কি হয়

সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। খেজুরের সঠিক পুষ্টিগুণ পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত, ও শুকনো খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। শরীরের দুর্বলতা দূর করার জন্য আপনি নিয়মিত সকালে খালি পেটে খেজুর খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় নিচে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো:
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
  • বদ হজমের সমস্যা দূর করে
  • রক্তস্বল্পতা দূর করে
  • শরীরে আয়রনের মাত্রা বৃদ্ধি করে
  • ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে
  • রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে
  • মস্তিষ্ককে সচল রাখে
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
  • ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করে
  • শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
  • যৌন সমস্যার সমাধান করে
  • যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
  • প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • রক্তশূন্যতা দূর করে
  • শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি করে
  • গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে গর্ভের সন্তানের গ্রোথ বৃদ্ধি করে।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে এর চাইতে অনেক বেশি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। শরীরের বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতি পূরণের জন্য আপনি নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন। শরীরে অতিরিক্ত পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধির জন্য এক গ্লাস দুধের সাথে খেজুর খেতে পারেন।

খেজুর খাওয়া কি ভালো

খেজুর খাওয়া কি ভালো অনেকেই এই বিষয়ে জানতে চান। খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। খেজুরে বিদ্যমান ভিটামিন প্রোটিন, ক্যালসিয়াম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি করে শরীরকে সুস্থ রাখে। নিয়মিত খেজুর খেলে বিভিন্ন প্রকার রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

আপনি যদি নিয়মিত খেজুর খান তাহলে হাজারো রোগ থেকে আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে পারবেন। আপনি যদি আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার জানা প্রয়োজন দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত। পরিমাণ মতো খেজুর খেলে আপনার শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে।

প্রতিদিন কখন খেজুর খাওয়া উচিত

বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এবং শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য অনেকেই নিয়মিত খেজুর খান। কিন্তু হয়তো প্রতিদিন কখন খেজুর খাওয়া উচিত এবং দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত সেই বিষয়ে জানেন না। আপনি দিনের সব সময় খেজুর খেতে পারেন কিন্তু সকল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এবং শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য দিনের দুই অংশে খেজুর খান।

সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেজুর খান সারাদিন আপনার শরীরকে সুস্থ এবং প্রফুল্ল রাখবে। এবং রাতে ঘুমানোর আগে খেজুর খান সারাদিনে শরীরের ক্লান্তি এবং ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করবে। নিয়মিত এভাবে খেজুর খেলে আপনার শরীরের যাবতীয় সমস্যা থেকে সুস্থ থাকবেন।

শুকনো খেজুর খাওয়ার নিয়ম

খেজুর অত্যন্ত ভিটামিনযুক্ত সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর খাবার। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকায় অনেকেই প্রচুর পরিমাণে খেজুর খান। আমাদের দেশে সাধারণত দুই রকমের খেজুর পাওয়া যায়। সাধারণত শুকনা এবং ভেজা খেজুর কিনতে পাওয়া যায়। দিনের যেকোন অংশে শুকনা ও ভেজা খেজুর খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু শুকনা খেজুর শক্ত হওয়ায় অনেকে চিবিয়ে খেতে অপছন্দ করে।
দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত - শুকনো খেজুর খাওয়ার নিয়ম
শুকনা খেজুর খাওয়ার জন্য আপনি খেজুর খাওয়ার ১-২ ঘন্টা আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এবং আপনার কর্ম ব্যস্ততা শেষ করে এই খেজুর খেতে পারেন। খেজুর শরীরের অনেক ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত এ বিষয়ে ধারণা নিয়ে অবশ্যই আপনি খেজুর খাবেন। প্রিয় পাঠক আশা করি শুকনো খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

খেজুর খাওয়ার আগে ভিজিয়ে রাখা উচিত

অনেকেই জানতে চান খেজুর খাওয়ার আগে ভিজিয়ে রাখা উচিত। সাধারণত বাজারে দুই ধরনের খেজুর লক্ষ্য করা যায় একটি হচ্ছে শুকনো দ্বিতীয়টি ভেজা খেজুর। সাধারণত ভেজা খেজুর খাওয়ার আগে ভিজিয়ে রাখতে হয় না এটা এমনিতেই নরম শুধু পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে এই খেজুর খাওয়া যায়। কিন্তু শুকনো খেজুর খাওয়ার আগে এই খেজুর পানিতে ভিজিয়ে রাখা উচিত।

শুকনো খেজুর অনেকদিন সংরক্ষণের জন্য অনেক শক্ত হয়ে যায় এর জন্য খেতে অনেক শক্ত লাগে। শুকনো খেজুর ভিজিয়ে খেলে খেজুরের পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বাদ ও ভিটামিন উভয় পাওয়া যায়। সাধারণত খেজুর শুকনো অথবা ভিজিয়ে রেখে খেলে একই পরিমাণ ভিটামিন পাওয়া যায়।

খেজুর জলে ভিজিয়ে খেলে কি হয়

খেজুর জলে ভিজিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত খেজুর ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। খেজুর জলে ভিজিয়ে খেলে খেজুরে থাকা ট্যাটিন ও ফাইটিক এসিড দূর হয় যা খেজুরের পুষ্টিগুণকে ঠিক রাখে।

নিয়মিত খেজুর জলে ভিজেয়ে খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাহলে দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে। শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ৫-১০টি খেজুর জলে ভিজেয়ে খান ভালো ফলাফল পাবেন।

শুকনো খেজুর কি ভিজিয়ে রাখা উচিত

খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন থাকায় প্রত্যেকে খেজুর খেতে পছন্দ করেন। খেজুর খাওয়ার জন্য সারা বছর বাজারে ভেজা খেজুর পাওয়া যায় না। এর জন্য অনেকে শুকনো খেজুর খেয়ে থাকেন। শুকনো অথবা ভেজা খেজুরে একই পরিমাণ ভিটামিন থাকে। আপনি যদি শুকনো খেজুর খেতে অপছন্দ করেন তাহলে শুকনো খেজুর ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন। শুকনো খেজুর ভিজিয়ে খেলে খেজুরে বিদ্যমান প্রোটিন ও ভিটামিন আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করবে।

শেষ কথা

অনেকে দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত ও শুকনো খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। আজকের আর্টিকেলটি তাদের উদ্দেশ্যে লেখা। খেজুর অত্যন্ত সুস্বাদু একটি ফল। এতে রয়েছে হাজারও পুষ্টিগুণ যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। খেজুর শরীরের হাজারো ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে থাকে। খেজুর খেতে মিষ্টি হওয়ায় অতিরিক্ত খেজুর খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। তাছাড়া অতিরিক্ত খেজুর খেলে বদ হজম এবং পেট ফাঁপার মতো সমস্যা হতে পারে।

আমরা নিয়মিত আমাদের সাইটে আর্টিকেল আপলোড করে থাকি। সবার আগে গুরুত্বপূর্ণ যে কোন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাইটটি ভিজিট করুন। বাংলা ভাষায় যেকোনো তথ্যের জন্য আমাদের সাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

প্রিয় টপিকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url