নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার - এইচ সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার নিয়ম

নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার করার নিয়ম সম্পর্কে প্রত্যেকটি বাবা মার সঠিক ধারণা থাকা প্রয়োজন। এছাড়া এইচ সাপোজিটারি ২৫০ ব্যবহার ক্ষেত্রে অবশ্যই সচেতন হওয়া জরুরী। আজকের আর্টিকেলটিতে থাকছে নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ও এইচ সাপোজিটরি ব্যবহারের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে।
শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম - এইচ সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার
অল্প বয়সের শিশুদের এবং যে শিশুদের শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় তাদের ওষুধ খাইয়ে জ্বর নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয় না। তখন দ্রুত শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য সাপোজিটরি ব্যবহার করা হয়। জ্বর হলে শিশুদের ঘন ঘন বমি হতে পারে এমত অবস্থায় ঔষধ খাওয়ালে ঔষধ উঠে যায় এমন সময় সাপোজিটরি ব্যবহার করতে হয়। শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম, কিভাবে এইচ সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার করবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ .

প্যারাসিটামল সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম

প্যারাসিটামল সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। কেননা শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম সঠিকভাবে জেনে সাপোজিটরি ব্যবহার করা উচিত। প্যারাসিটামল সাপোজিটরি সব বয়সের লোকের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যায়। শরীরের যেকোনো ধরনের ব্যাথা নাশক এবং জ্বর উপশমের জন্য প্যারাসিটামল সাপোজিটরি সবচাইতে ভালো কাজ করে। 
অতিরিক্ত ব্যথা এবং শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল সাপোজিটরি ব্যবহার করা হয়। এর পাশাপাশি এইচ সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার করা যায়। সাপোজিটরি সব সময় ব্যবহার করা ঠিক নয় অতিরিক্ত শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে যখন ওষুধ ধীর গতিতে কাজ করে তখন সাপোজিটরি ব্যবহার করা উচিত। 

তাছাড়া যে সকল বাচ্চাদের একদম অল্প বয়স এবং জ্বরের কারণে ব্যথার কারণে বমি হয় ঔষধ খাওয়ালে বমির কারণে পেট থেকে ঔষধ উঠে যায় সেক্ষেত্রে প্যারাসিটামল সাপোজিটরি ব্যবহার করা যায়। অতিরিক্ত ব্যথা অথবা জ্বর হলে বয়স অনুযায়ী প্যারাসিটামল সাপোজিটরি মলদ্বারে চার থেকে ছয় ঘণ্টা পর পর দেওয়া যায়। ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৪ ডোজ দিতে হয়। আশা করি শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

বাচ্চাদের কত ঘন্টা পর পর সাপোজিটরি দেয়া যায়

অনেকেই জানতে চান বাচ্চাদের কত ঘন্টা পর পর সাপোজিটরি দেওয়া যায়। এবং শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে। শিশুদের সাপোজটরি ব্যবহারে অত্যন্ত সচেতন এবং সতর্ক হওয়া উচিত। যেকোনো বেদনা নাশকের জন্য সর্বোচ্চ ১ থেকে ২ বার সাপোজিটর ব্যবহার করতে হয় তাহলে ব্যথার উপশম হয়।
অন্যদিকে জ্বরের ক্ষেত্রে সাপোজিটরি ব্যবহার করলে জ্বর অনুযায়ী সাপোজিটরি ব্যবহার করতে হয়। শরীরের তাপমাত্রা অল্প থাকলে সাপোজিটরি ব্যবহার করা ঠিক নয়। শরীরের তাপমাত্রা ১০২ ডিগ্রীর উপরে বৃদ্ধি পেলে প্যারাসিটামল অথবা নাপা সাপোজিটরি ব্যবহার করা উচিত। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জ্বর অনুযায়ী চার থেকে ছয় ঘণ্টা পর পর সাপোজিটরি দেওয়া যায়। ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ চারটি ডোজ দেওয়া যায়। তবে সাপোজিটরি দেওয়ার পূর্বে কোন রেজিস্টার্ড কৃত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার

নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার করবেন কিভাবে অনেকেই জানেন না। শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বুঝে সাপোজিটরি ব্যবহার করা উচিত। অতিরিক্ত শরীরের তাপমাত্রা জ্বর, মাথা ব্যথার জন্য, শরীরের ব্যথার জন্য, দাঁতের ব্যথার জন্য, শরীরে বিভিন্ন টিকা দেওয়ার ব্যথার জন্য, এবং মহিলাদের মাসিকের ব্যথার জন্য নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার করা হয়। 
নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার - এইচ সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার
হঠাৎ করে মাথা ব্যথা হলে নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহারে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। শরীরের যেকোনো স্থানে মচকে যাওয়া ব্যথা, পিঠে ব্যথা, প্রসব পরবর্তী ব্যথায় নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার করা যায়। এক কথায় যেকোনো ধরনের ব্যাথা নাশক জ্বর, সর্দি, ও ঠান্ডা জনিত সমস্যায় নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন।
নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার বিধি
৩ মাস থেকে ১ বছরের নিচে ৬০-১২০ মি.গ্রা দিনে ৪ বার।
১-৫ বছর বয়স পর্যন্ত ১২৫-২৫০ মি.গ্রা দিনে ৪ বার
৬-১২ বছর বয়স পর্যন্ত ২৫০-৫০০ মি.গ্রা দিনে ৪ বার
১২ বছরের ঊর্ধ্বে ৫০০ মি.গ্রা - ১ গ্রাম দিনে ৪ বার
উপরে নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম দেওয়া হয়েছে। আশা করি এ বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম

শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। একেক বয়সের ক্ষেত্রে এক এক নিয়মে সাপোজিটরি ব্যবহার করতে হয়। অতিরিক্ত জ্বরের জন্য এবং শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে, অথবা যে কোন বেদনা নাশকের জন্য সাপোজিটরি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 
অল্প বয়সের শিশুদের ঔষধ না খাওয়ানো গেলে সাপোজিটরি ব্যবহার করা হয়। অথবা অতিরিক্ত জ্বরের জন্য বমি হওয়ার ফলে পেট থেকে ওষুধ উঠে গেলে নাপা অথবা প্যারাসিটামল সাপোজিটরে ব্যবহার করা হয়। শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বিভিন্ন বয়সের অনুপাতে সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম নিচে দেওয়া হল:

শিশুর বয়স

ডোজ

সময় 

৩ মাস থেকে  ১ বছর

৬০ থেকে ১২০ মিগ্রা

৪ থেকে ৬ ঘণ্টা পরপর

১ থেকে ৩ বছর

১২০ থেকে ১৮০ মিগ্রা

৪ থেকে ৬ ঘণ্টা পরপর

৩ থেকে ৫ বছর

১৮০ থেকে ২৫০ মিগ্রা

৪ থেকে ৬ ঘণ্টা পরপর

২০ বছরের ঊর্ধ্বে 

৫০০ থেকে ১০০০ মিগ্রা 

৪ থেকে ৬ ঘণ্টা পরপর

শিশুদের জ্বরের সাপোজিটরি

শিশুদের জ্বরের সাপোজিটরি অতিরিক্ত জ্বরের ক্ষেত্রে এবং ব্যথা নাশক এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির শিশুদের জ্বরের সাপোজিটরি পাওয়া যায়। তবে শিশুদের জ্বরের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাপোজিটরি ব্যবহার করা উচিত। কেননা একটি চিকিৎসক আপনাকে সঠিক ধারণা দেবে। আপনার শিশুর জ্বরের তাপমাত্রা অনুযায়ী সাপোজিটরি ব্যবহার করবেন। 

শিশুদের জ্বরের সাপোজিটরি অনেক রকমের হয়ে থাকে এর মধ্যে সবচাইতে ভালো কিছু সাপোজিটরি হল এইচ, নাপা, প্যারাসিটামল, রেনোভা, উল্লেখ্যযোগ্য। শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম মেনে সাপোজিটরি ব্যবহার করা উচিত। তবে আপনার শিশুর জ্বরের সাপোজিটরি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

নাপা সাপোজিটরি ১২৫ ব্যবহার বয়স

নাপা সাপোজিটরি ১২৫ অতিরিক্ত জ্বর হলে, মাথা ব্যথায়, টিকা দেওয়ার ব্যথায়, ঠান্ডা জনিত সমস্যায়, ব্যথাজনিত জ্বর হলে, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, শরীরের ব্যথায় ব্যবহার করা হয়। কিন্তু নাপা সাপোজিটরি ১২৫ ব্যবহার বয়স সম্পর্কে অনেকের ওই সঠিক ধারণা নেই। কোন বয়সের ক্ষেত্রে নাপা সাপোজিটরি ১২৫ ব্যবহার করবেন। সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা অনুযায়ী এ সাপোজিটরি ব্যবহার করতে পারেন। 

শিশুর শরীরের ওজন, তাপমাত্রা, বয়স অনুযায়ী ১২৫ সাপোজিটরি ব্যবহার করা হয়। যদি অতিরিক্ত জ্বর থাকে সেক্ষেত্রে ৩ মাস - ১ বছর পর্যন্ত শিশুর ক্ষেত্রে নাপা সাপোজিটরি ১২৫ দিনে ৪ বার ব্যবহার করুন। শিশুর বয়স ১-৫ বছর পর্যন্ত নাপা সাপোজিটরি ১২৫ দিনে ৪ বার ব্যবহার করুন। যদি অতিরিক্ত জ্বর হয় সেক্ষেত্রে এর ডোজ ও মি.গ্রা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রিয় পাঠক আশা করি নাপা সাপোজিটরি ১২৫ ব্যবহার বয়স সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। 

সাপোজিটরি দেওয়ার পর জ্বর না কমলে করণীয়

অনেক বাবা মা শিশুর অতিরিক্ত জ্বর দেখে চিন্তায় পড়ে যান অতিরিক্ত টেনশন করেন। সাপোজিটরি দেওয়ার পর ও ওষুধ খাইয়েও কোনভাবেই জ্বর কমছে না তাহলে কি হবে। এখানে চিন্তার কোন কারণই নেই। অতিরিক্ত মাত্রায় জ্বর হলে সাপোজিটরি দেওয়ার পর জ্বর না কমলে করণীয় হলো, শিশুকে ১০-১৫ মিনিট পর পর ঠান্ডা পানিতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে শিশুর পুরো শরীর পা থেকে মাথা পর্যন্ত ভালোভাবে মুছে দিন। 

এভাবে ১৫ মিনিট পর পর মুছে দিতেই থাকুন। ৩-৪ বার মুছে দিলে কোনভাবেই জ্বর থাকবে না। তবে এর সাথে অবশ্যই সাপোজিটরি শিশুকে দিয়ে রাখতে হবে। শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা বেড়ে গেলে এভাবে বাচ্চার পুরো শরীর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুছে দিলে দ্রুত জ্বর কমে যাবে। আশা করি সাপোজিটরি দেওয়ার পর জ্বর না কমলে করণীয় সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।

নাপা সাপোজিটরি শিশু

শিশুদের অতিরিক্ত জ্বর হলে জ্বরের চিকিৎসায় শিশুকে নাপা সাপোজিটরির ডোজ দেওয়া হয়। নাপা সাপোজিটরি শিশুর বিভিন্ন সমস্যায় ব্যবহার করা হয়। ব্যথা নাশক হিসেবে ও জ্বরের চিকিৎসায়, কানে ঘা, সর্দি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা, জনিত সমস্যায় নাপা সাপোজিটরি শিশুকে দেওয়া হয়। যাদের সাপোজিটরি ব্যবহারের সঠিক ধারণা নেই তারা অবশ্যই নাপা সাপোজিটরি শিশুকে দেওয়ার পূর্বে এ বিষয়ে সঠিক পরামর্শ নিয়ে সাপোজিটরি ব্যবহার করুন। আপনার শিশুর বয়স অনুযায়ী  সঠিক মাত্রার ডোজ দিন। 

এইচ সাপোজিটরি ১২৫

এইচ সাপোজিটরি ১২৫ সবচাইতে ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহার করা হয়। অতিরিক্ত জ্বর যেকোনো ব্যাথার ক্ষেত্রে এইচ সাপোজিটরি ১২৫ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তিন মাস থেকে এক বছরের বাচ্চার ক্ষেত্রে এইচ সাপোজিটরি ১২৫ ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন কোম্পানির সাপোজিটরির মধ্যে ভালো সাপোজিটরির তালিকায় এইচ সাপোজিটরি রয়েছে।

এইচ সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার

এইচ সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেই জিজ্ঞাসা করে থাকেন। শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম জেনে সাপোজিটরি ব্যবহার করা উচিত। এইচ সাপোজিটরি ২৫০ স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস গ্রুপের একটি পণ্য। নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার ও এইচ সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার নিয়ম একই। তবে কোম্পানির মান অনুযায়ী অনেকে নাপা সাপোজিটরির চাইতে এইস সাপোজিটরিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। যে সমস্যাগুলোতে এইচ সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার করবেন সে বিষয়ে নিচে দেওয়া হলঃ
  • অতিরিক্ত জ্বর হলে
  • অতিরিক্ত মাথা ব্যথায়
  • সর্দি জনিত জ্বর হলে
  • ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে
  • দাঁতের ব্যথা হলে
  • কানে ঘা জনিত ব্যথা হলে
  • শরীরে ব্যথা হলে
  • পা মচকে যাওয়া ব্যথা হলে
এছাড়া পিঠে ব্যথা, শিশুদের ক্ষেত্রে টিকা দেওয়ার ব্যথায়। পেটের পীড়া জনিত সমস্যায়, অতিরিক্ত পরিশ্রম জনিত ব্যথায়, বাত ব্যথা, যেকোনো সমস্যা জনিত ব্যথায় আপনি এই সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার করতে পারেন। এইচ সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার নিয়ম নিচে দেওয়া হলঃ
এইচ সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার বিধি
৩ মাস থেকে ১ বছরের নিচে ৬০-১২০ মি.গ্রা দিনে ৪ বার
১-৫ বছর বয়স পর্যন্ত ১২৫-২৫০ মি.গ্রা দিনে ৪ বার
৬-১২ বছর বয়স পর্যন্ত ২৫০-৫০০ মি.গ্রা দিনে ৪ বার
১২ বছরের ঊর্ধ্বে ৫০০ মি.গ্রা - ১ গ্রাম দিনে ৪ বার
আশা করি এইচ সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

বাচ্চাদের কতবার সাপোজিটরি দিতে হয়

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাপোজিটরি দিতে হয়। তবে শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম মেনে সাপোজিটরি ব্যবহার করলে তেমন সমস্যা হয় না। আপনার শিশুর বয়স অনুযায়ী সাপোজিটরি ব্যবহার করতে পারেন। ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ চারবার সাপোজিটরির ডোজ ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে চার থেকে ছয় ঘণ্টা পরপর সাপোজিটরি ব্যবহার করতে পারেন।

শিশুদের কত ঘন্টা পর পর সাপোজিটরি দেয়া যায়

অনেকেই শিশুর বিভিন্ন সমস্যার জন্য সাপোজিটরি ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু শিশুদের কত ঘন্টা পর পর সাপোজিটরি দেয়া যায় সেই বিষয়ে জানেন না। বয়স্কদের ক্ষেত্রে এবং শিশুদের ক্ষেত্রে সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম মেনে সাপোজিটরি ব্যবহার করা উচিত। তবে সাপোজিটরি ৪ থেকে ৬ ঘন্টা পর পর ব্যবহার করতে হয়। ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৪ বার ব্যবহার করুন। 

শিশুদের ক্ষেত্রে যদি আপনাকে ৪ ঘন্টা পর সাপোজিটরি ব্যবহার করতেই হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহার করুন। যদি শিশুর অতিরিক্ত জ্বর হয় সে ক্ষেত্রে আপনি সাপোজিটরি দেওয়া অবস্থায় ১০-১৫ মিনিট পর পর শিশুর পুরো শরীর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দিন। তাহলে আপনার শিশুকে অতিরিক্ত সাপোজিটরি দেয়ার প্রয়োজন হবে না। 

সাপোজিটরি ব্যবহারের সঠিক নিয়ম হলো ৬ ঘন্টা পর পর ব্যবহার করা। যদি মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করতেই হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন। আশা করি শিশুদের কত ঘন্টা পর পর সাপোজিটরি দেয়া যায় সে বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। 

শেষ কথা

অনেকেই শিশুর জ্বর এবং ব্যাথা নাশকের জন্য সাপোজিটরি ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার ও এইচ সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার সম্পর্কে জানেন না আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম নিয়ে যত প্রশ্ন ছিল সেগুলোর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছি। আমরা নিয়মিত আমাদের সাইটে এ রকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আপলোড করে থাকি। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন। এ রকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত আমাদের সাইটটি ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

প্রিয় টপিকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url