জান্নাতের হুরদের নাম ৬টি - হুরদের সর্দারনী
জান্নাতের হুরদের নাম সবচাইতে সুন্দর যা কোন সাধারণ হৃদয় কখনো কল্পনাও করতে পারে না। জান্নাতি হুরদের ৬টি নাম আমরা জানতে পেরেছি। আজকে আমরা আপনাদের জানাবো জান্নাতি হুরদের নাম সম্পর্কে। জান্নাতের হুরদের সর্দারনী কে হবেন? জান্নাতের হুর সম্পর্কে সকল প্রশ্নের উত্তর থাকছে এই আর্টিকেলটিতে।
জান্নাতের হুর এত সুন্দর যে তারা যদি পৃথিবীতে থুতু নিক্ষেপ করত তাহলে পুরো পৃথিবী আসমান জমিন সুগন্ধে ভোরে যেত। হাদিসের কথা অনুযায়ী তাদের শরীর এতই মলিন যে তাদের শরীরের হাড় বাইরে থেকে তাকিয়ে দেখা যাবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ জান্নাতের হুরদের নাম - হুরদের সর্দারনী
.
জান্নাতের হুরদের বর্ণনা
হুরদের শারীরিক গঠন হবে অনেক সুন্দর যা কোন ব্যক্তির হৃদয় কল্পনা করতে পারেনা। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তা' আলা হুরদের মুখমণ্ডল সাদা, লাল, সবুজ, হলুদ, রংয়ের মিশ্রণে তৈরি করেছেন। জান্নাতের হুরদের শরীর মেশক ও জাফরান দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে।
তাদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত অত্যন্ত সুগন্ধি জাফরান দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। হাঁটু হতে বক্ষদেশ পর্যন্ত মেশক দ্বারা এবং ঘাড় থেকে বক্ষদেশ পর্যন্ত আম্বর দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। যদি হুর দের কেউ পৃথিবীতে একফোঁটা থুতু নিক্ষেপ করে তাহলে পুরো পৃথিবী আম্বরের সুগন্ধিতে ভরে যাবে। হুরদের বুকে তাদের স্বামীর নাম এবং আল্লাহর নাম লেখা থাকবে। হুরেরা হবেন অত্যন্ত পবিত্র কোটি কোটি বছরেও হুরদের কোন পিরিয়ড হবে না।
হুরদের বয়স হবে কম, কোন জিন ও মানুষ এই হুরদের কখনো ছুঁয়েও দেখেনি। হুরদের দিকে তাকিয়ে তাদের শরীরের ভিতরের রক্তের শিরা, হাড়, অস্থি, মজ্জা বাইরে থেকে দেখা যাবে। এরা কখনো অসুস্থ হবে না, এরা কখনো বৃদ্ধ হবে না, এরা কখনো মারাও যাবে না, এর চাইতে মহান আল্লাহ তাদের হাজারো গুণ বেশি সুন্দর করে তৈরি করেছেন।
জান্নাতের হুরদের নাম
জান্নাতের হুরদের নাম এবং হুরদের শারীরিক গঠন হবে অনেক সুন্দর যা সাধারণ হৃদয় কল্পনার বাইরে। জান্নাতী হুরদের নাম সম্পর্কে কোরআন হাদিসে কোথাও বর্ণনা নেই। তবে অনেক ওলামায়ে কেরামগণ জান্নাতি হুরদের নাম সম্পর্কে ধারণা করেন। তবে অনেকেই ধারণা করেন বেহেশতের হুরদের নাম এই রকম হতে পারে যেমন:
- সুহাসিনী
- শাকিরা
- সেবিকা
- লোবা
- রাহমা
- আয়মান
ইন্টারনেটে প্রত্যেকে এ বিষয়ে খোঁজাখুঁজি করেন। আসলে জান্নাতের হুরদের নাম বিষয়ে তেমন কোন সঠিক তথ্য নেই। তবে ওলামায়ে কেরামগণ ও ইসলামিক গবেষকরা হুরদের নাম সম্পর্কে ধারণা করেছেন। সে বিষয়টি আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। জান্নাতের হুরদের নাম কি হবে একমাত্র মহান আল্লাহ জানেন তার ব্যতীত কেউ জানেন না। প্রিয় পাঠক আশা করি এই বিষয়ে সঠিক উত্তর পেয়েছেন।
হুরদের সর্দারনী
হুরদের শারীরিক গঠন হবে সবচাইতে সুন্দর এবং হুরদের সর্দারনী হবে এর চাইতে বেশি সুন্দর। হুরদের সরদারনি হবেন একজন নেককার স্ত্রী। যে নেককার স্ত্রী তার নিজের স্বামীকে আল্লাহর রাস্তায় পাঠিয়ে দেন এবং নিজের স্বামীর অনুপস্থিতিতে কষ্ট কে খুশির সাথে বরদাস্ত করেন। ওই মহিলা পুরুষের চাইতে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এবং তিনি হবেন হুরদের সর্দারনী। এই মহিলাকে জাফরান দ্বারা গোসল করানো হবে এবং তিনি বেহেশতে স্বামীর জন্য অপেক্ষা করবেন।
হুরদের শারীরিক গঠন
জান্নাতের হুরদের নাম ও শারীরিক গঠন এবং সৌন্দর্য হবে অতুলনীয়। হুরদের শরীরের তুলনায় হাড়, অস্থি, মজ্জা, হবে অত্যন্ত স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার। তাদের চোখ হবে ডাগর ডাগর, তাদের কেস হবে মেঘ কালো। তারা হবে অত্যন্ত সুন্দরী, রূপবতী, গুণবতী, অপ্সরা, সুকেশিনী, সুভাষিনী, তাদের বয়স হবে কম তারা হবে অসাধারণ সুন্দরী। হুরেরা এত ফর্সা যে তাদের শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গের ভিতরে অস্থি, রক্তের শিরা দেখা যাবে।
জান্নাতি হুরদের সাথে কি কি করা যাবে
জান্নাতি হুরদের সাথে সবকিছু করা যাবে। আল্লাহ একজন নেককার বেহেস্তির সাথে জান্নাতের হুরদের বিয়ে পড়াবেন। জান্নাতের হুর দের সাথে শারী*রিক সম্পর্ক সহ সবকিছু করা যাবে। তাদের সাথে একবার শারী*রিক সম্পর্ক করার সময় হবে ৮০ বছর। হুরদের শারীরিক গঠন হবে অসাধারণ তারা হবে অপ্সরা তাদের সাথে একজন বেহেস্তির মনে যা চাই তাই করতে পারবে।
হুরদের দেহের আকর্ষণ
হুরদের দেহের আকর্ষণ হবে সবচাইতে সুন্দর। হুরেরা হবে এত সুন্দর যে এখনো কোন হৃদয় তাদের রূপ বিষয়ে কল্পনাও করতে পারে না। হুরদের দেহের আকর্ষণ ও তারা এতই রূপবতী যে বেহেস্তি পুরুষ তাদের দেখামাত্র কোনভাবে দৃষ্টি ফেরাতে পারবে না।
জান্নাতে হুরদের কাজ কি
জান্নাতে হুরদের কাজ কি তা হল জান্নাতে একজন হুর একজন জান্নাতী কে তার সকল চাহিদা পূরণ করবে। সারাক্ষণ একজন জান্নাতির সেবাই নিয়োজিত থাকবে। একজন জান্নাতির আরাম, আয়েস, শান্তি, তৃপ্তি দেওয়ার জন্য হুর সব সময় সেবা করবেন।
জান্নাতি হুরদের গান
জান্নাতি হুরদের গান হবে অসাধারণ সুন্দর। জান্নাতের হুরদের নাম, গান, সৌন্দর্য, খেদমত, যা প্রত্যেকটি জান্নাতি ব্যক্তির জন্য আল্লাহর একটি নিয়ামত। একজন জান্নাতি ৭০ জন হুর পাবেন। একজন জান্নাতিকে খুশি করানোর জন্য তারা গান গাইবে আর বলবে তুমি বন্ধু আমাদের কোথায় ছিলা, আমরা ছিলাম তোমার পথ চাইয়া, তুমি যা বলবে আমরা তাই করিব, দেখো শুধু একবার হুকুম করিয়া। এর চাইতে হুরদের গান আরো অনেক বেশি গুন সুন্দর হবে যা আমাদের হৃদয়ের কল্পনার বাইরে।
হুরদের বয়স কত হবে
হুরদের শারীরিক গঠন হবে অসাধারণ। তাদের বয়স হবে অত্যন্ত কম, একজন যুবক মহিলার মত যেমন একজন ১৬ বছরের মেয়েরা হয়। তারা হবে অত্যন্ত সুন্দরী, রূপবতী, অপ্সরা, সুভাষিনী, যে বয়সে মেয়েদের সবচাইতে বেশি সুন্দর লাগে এ রকম বয়স হবে হুরদের।
শেষ কথা
আজকের আর্টিকেলটিতে জান্নাতের হুরদের নাম - হুরদের সর্দারনী, জান্নাতের হুরদের কেমন নাম হবে সে বিষয়ে কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনারা বিষয়গুলো পড়ে উপকৃত হবেন। হুরদের বিষয়ে যারা প্রশ্ন করেন আজকের আর্টিকেলটি তাদের উদ্দেশ্যে লিখা। আর্টিকেলটি যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন। এ রকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমাদের সাইটে ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।