হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় - হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত
হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় হলো দ্রুত বিশ্রাম নেওয়া। হঠাৎ হাই প্রেসার বেড়ে গেলে বিশ্রাম নিলে এবং ঔষধ সেবন করলে দ্রুত প্রেসার কমে যায়। হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত চলুন বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া অধিকাংশ লোকের মধ্যে এমন সমস্যা দেখা যায়। হাই প্রেসার বা হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সঠিক সময়ে ঔষধ সেবন করা এবং চিকিৎসকের নিয়ম অনুযায়ী জীবন যাপন করা সবচাইতে শ্রেয়।
পোস্ট সূচিপত্র .
ভূমিকাঃ
বর্তমানে হাই প্রেসার এর মত সমস্যা অধিক গুরুতর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব বয়সের লোকের ক্ষেত্রে এ সমস্যা দেখা যাচ্ছে তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের পরিমাণ সবচাইতে বেশি। হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ যেকোনো ব্যক্তির শরীরে দেখা দিতে পারে। হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ বিভিন্ন সমস্যার কারণে হয়ে থাকে হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় এবং হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত বিষয় সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।
দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়
অধিক সংখ্যক ব্যক্তি হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ এর মতো সমস্যায় ভুগছেন শতকরায় প্রতি পাঁচ জন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় কি এ বিষয়ে সকলেই জানতে চান। কোন ব্যক্তি হঠাৎ হাই প্রেসারে আক্রান্ত হলে দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় অবলম্বন করতে পারেন যেমন হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় হাই প্রেসার কমানোর জন্য দ্রুত বিশ্রাম নিতে হবে। এমন সময় মাথায় ঠান্ডা পানি দেওয়া যেতে পারে।
এমন অবস্থায় হাই প্রেসার কমানোর জন্য ঔষধ সেবন করা যেতে পারে। দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর জন্য তেতুলের রস অথবা লেবুর রস খেতে পারেন। দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর জন্য শরীরের সঠিক ওজন বজায় রাখুন। নিয়মিত পর্যাপ্ত খাবারের চাইতে অতিরিক্ত খাবার পরিহার করুন। অ্যালকোহল জাতীয় খাবার ধুমপান পরিহার করুন। দ্রুত হাই পেশার কমানোর জন্য নিয়মিত শরীর চর্চা করুন কেননা শরীরচর্চার মাধ্যমে আপনার শরীরে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা কমে যাবে। আশা করি দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় কি এ সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
হাই প্রেসারের ঔষধের নাম
অনেকে হাই প্রেসারে বা উচ্চ রক্তচাপের মত সমস্যায় ভুগেন। শরীর সুস্থ থাকার পরেও যেকোনো সময় উচ্চ রক্তচাপের মত সমস্যা দেখা দেয়। অনেকে হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করেন আবার অনেকে হাই প্রেসারের ওষুধের মাধ্যমে হাই প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে রাখেন। হাই প্রেসার এর মত সমস্যায় ভোগা রোগীরা হাই প্রেসার এর ওষুধের নাম জিজ্ঞাসা করে থাকেন।
হাই প্রেসারের ঔষধের নাম কি অনেকেই জানেন না। হাই প্রেসার কমানোর ওষুধের নাম জানা থাকলে দ্রুত হাই প্রেসারের মতো সমস্যা থেকে আপনি হাই প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। হাই প্রেসার কমানোর ঔষধ সেবন করে দ্রুত সুস্থ হওয়া সম্ভব। হাই প্রেসার এর ঔষধের নাম কি কি তা হল-
- olmetrack 20mg
- Doxazosin 4mg
- metoprolol 25mg
- Atenolol 50mg
- olmighty 20mg
- olmicip 20mg
- olarbi 20mg
- Tenolol 50mg
প্রত্যেকটি হাই প্রেসারের ঔষধ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কিন্তু ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে আপনার বয়স, সমস্যা, এবং সমাধানের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবেন। একজন চিকিৎসকয় আপনাকে হাই প্রেসার এর ওষুধ ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেবেন।
হাই প্রেসার এর লক্ষণ
প্রত্যেকটি ব্যক্তির শরীরে রক্তের নিম্নচাপ এবং উচ্চচাপ লক্ষ্য করা যায়। শরীরের রক্তের চাপ ১২০/৮০ থাকলে শরীরের সঠিক রক্তচাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু শরীরের রক্ত চাপের মাত্রা ১৪০/৯০ অথবা ১৫০/৯০ মিলিমিটার হলে এটি উচ্চ রক্তচাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে শরীরে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা এর চাইতে আরো বেশি হতে পারে। অনেকে হাই প্রেসার এর লক্ষণ কি কি সে বিষয়ে জানতে চান।
এবং হাই প্রেসারে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিরাও বা শরীরে উচ্চ রক্তচাপ বিদ্যমান ব্যক্তিরাও হাই প্রেসার এর লক্ষণ গুলো কি কি সে সম্পর্কে অবগত নন। হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয়, হাই প্রেসার এর লক্ষণ কি এবং মহিলাদের গর্ভাবস্থায় হাই প্রেসার এর লক্ষণ ওগুলো নিম্নে দেওয়া হল:
- হঠাৎ চোখে ঝাপসা দেখা
- শরীরের অস্থিরতা বৃদ্ধি পাওয়া
- শরীরে ক্লান্তি এবং দুর্বলতা দেখা দেওয়া
- যেকোনো কাজ করতে গেলে অল্পতে হাঁপিয়ে যাওয়া
- হঠাৎ করে মাথা ঘোরা
- বুকের মধ্যে ব্যথা অনুভব করা
- মাথার মধ্যে ব্যথা অনুভব করা
- ঘাড়ের পিছনে ব্যথা হওয়া
- হঠাৎ করে শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া
- নাক দিয়ে রক্ত ক্ষরণ হওয়া
- চোখে তীব্র ব্যথা অনুভব করা
- চোখের মাঝে রক্ত জমাট বাঁধা
উল্লেখিত সমস্যা গুলো হাই প্রেসার এর লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। এ রকম সমস্যা ছাড়াও এর বাইরে আরো অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় হল দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।
হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয়
অনেকে হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ সমস্যায় ভুগছেন কিন্তু হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় সম্পর্কে অবগত নন। শরীরের অতিরিক্ত রক্তচাপ শরীরকে বিভিন্ন রোগের সম্মুখীন করে। এছাড়া হাই প্রেসার একজন ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে। হাই প্রেসারে আক্রান্ত ব্যক্তিরা উচ্চ রক্তচাপের কারনে যেকোনো রোগের সম্মুখীন হতে পারেন। তাই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জানা উচিত হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় সম্পর্কে।
কোন ব্যক্তির হঠাৎ হাই প্রেসার দেখা দিলে প্রেসার কমানোর জন্য প্রেসারের যেকোনো ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। এর সাথে বরফ গলিতো ঠান্ডা পানি মাথায় দেয়া যেতে পারে। দ্রুত পেশার কমানোর জন্য শিরাপথে ঔষধ দেয়া যেতে পারে। তাছাড়া হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় হলো লেবুর রস, তেতুল, খাওয়া। প্রেশার নিয়ন্ত্রণে আসলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা।
হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত
হাইপ্রেসার হলে অনেকে চিন্তিত হয়ে পড়েন হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত। হাই প্রেসার রোগীর খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি ফলমূল রাখা উচিত। সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে যা হাইপ্রেশার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। হাই প্রেসার রোগীর খাবার তালিকায় সবুজ আপেল, বেদেনা, অ্যাভোকাডো, মিষ্টি আলু, ডাব, কলা, যোগ করা উচিত।
তাছাড়া হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় হলো হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণকারী খাবার খাওয়া। এছাড়া হাই প্রেসার রোগীর খাবার তালিকায় ব্রকলি, তরমুজ, গ্রিন টি, স্যালমন মাছ, ডিম, বিট জুস, ড্রাক চকলেট, আনার, ওটমিল, রসুন, আঙ্গুর, কিউই হাই প্রেসারের খাবার। আশা করি হাই প্রেসার হলে কি কি খাওয়া যাবে সে বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়
হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে হাইপ্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের মত সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব। হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় এবং হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় জানলে দীর্ঘদিন হাই প্রেসার এর মত সমস্যা নিয়ন্ত্রণের রাখা সম্ভব। হাই প্রেসার এর মত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খাদ্য তালিকা পরিবর্তন করতে হবে।
প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণকারী খাবার খেলে শরীরকে সুস্থ রাখা সম্ভব। হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় ব্রাউন রাইস খাওয়ার চেষ্টা করা, নিয়মিত ব্রাউন রাইস খেলে প্রেসার কন্ট্রোলে থাকে। নিয়মিত খাদ্য তালিকায় বেশি বেশি রসুন খাওয়া। তাছাড়া প্রতিদিন একটি করে আমলকি খেতে পারেন এতে আপনার শরীরের রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় তিলের বীজ খাওয়া অথবা তিসি বীজ খেতে পারেন। নিয়মিত পরিশ্রম করুন, এর সাথে লেবু অথবা তেতুলের রস নিয়মিত পান করুন। নিয়মিত গোলমরিচ ও দারচিনি খেতে পারেন এতে আপনার রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে।
হাই প্রেসার কমানোর খাবার
শরীরের উচ্চ রক্তচাপ এবং হাই প্রেসার কমানোর জন্য কিছু খাবার খাওয়া যেতে পারে। হাই প্রেসার কমানোর জন্য খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয়, হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত এবং হাই প্রেসার কমানোর খাবার গুলোর তালিকা:
- কলা, তরমুজ, গ্রিন টি, স্যালমন
- ব্রুকলি, ডিম, বিট জুস
- ড্রাক চকলেট, তুলসী বীজ
- তিলের বীজ, ডালিম, বেদানা
- ওটমিল, রসুন, পেঁয়াজ
- বেরি, কিউই, সবুজ আপেল, ডাব
- সবুজ শাকসবজি, লেবু, তেতুল
- পেয়ারা, আমলকি, ব্ল্যাকবেরি, দুধ, ঘি
আপনার শরীরে যদি উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা দেখা দেয় এবং হাই প্রেসার এর মতো সমস্যা যদি নিয়মিত লেগে থাকে তাহলে উল্লিখিত খাবার গুলো খেতে পারেন। এই খাবারগুলো আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করলে আপনার শরীরের হাই প্রেসার কমানো সম্ভব।
হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত না
শরীরে হাই প্রেসার এর মাত্রা বৃদ্ধি পেলে অবশ্যই খাদ্য তালিকা পরিবর্তন করা উচিত তাছাড়া রক্তচাপ বৃদ্ধিকারী খাবার খেলে শরীরে অতিরিক্ত হাই প্রেসারের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় সম্পর্কে জেনে, হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত না সেই বিষয়ে সঠিক ধারণা নিতে হবে তাহলে আপনার শরীরকে উচ্চ রক্তচাপ থেকে সুস্থ রাখতে পারবেন। হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত না নিম্নে সে বিষয়ে একটি তালিকা দেওয়া হল
- চর্বি জাতীয় খাবার
- গরুর মাংস
- খাসির মাংস
- মাখন, কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার
- লবণ জাতীয় খাবার
- কাঁচা লবণ
- প্যাকেটজাত খাবার
- ধূমপান, মদ্যপান পরিহার করুন
- অ্যালকোহল, কেক
উল্লেখিত খাবার গুলো পরিহার করলে হাই প্রেসার এর মত সমস্যা থেকে শরীরকে সুস্থ রাখা সম্ভব। তাই নিয়মিত শরীরের রক্তচাপ ঠিক রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত।
হাই প্রেসার কত
সাধারণত একটি মানুষের শরীরে যে রক্তের চাপ থাকে সে চাপ নিম্ন হলে তাকে লো প্রেসার বলা হয়। এবং এই রক্তের চাপ উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছালে এটাকে হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে রক্তের প্রেসার থাকে ১২০/৮০ মিলিমিটার। কিন্তু উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে ১৪০/৯০ মিলিমিটার অথবা ১৫০/৯০ মিলিমিটার হতে পারে। কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে এর চাইতে অনেক বেশিও লক্ষ্য করা যায়। হাই প্রেসার কত এ প্রসঙ্গে বলা যায় ১২০/ ৮০ মিলিমিটারের বেশি প্রেসার কে হাই প্রেসার হিসেবে ধরে নেয়া হয়।
হাই প্রেসার কেন হয়
বিভিন্ন কারণে মানুষের শরীরে হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরের বিভিন্ন সমস্যা বা বংশগত সমস্যার কারণে ও হাই প্রেসার দেখা দিতে পারে। হৃদপিন্ডের সমস্যার কারণে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়। তাছাড়া চর্বিযুক্ত খাবার কোলেস্ট্রল ধুমপান গ্রহণ এর কারণে হাই প্রেসার হয়। বিভিন্ন প্রকার দুশ্চিন্তার কারণে হাই প্রেসার হয়। এছাড়া অধিক পরিশ্রম করলে হাই প্রেসার হতে পারে।
কম ঘুম, এবং উত্তেজনার, কারণে হাই প্রেসার এর সমস্যা দেখা দেয়। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর তথ্য মতে প্রতিবছর দেড়শ কোটির মত মানুষ হাই প্রেসার এর মত সমস্যায় আক্রান্ত হয়। শরীরের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পেলে, শারীরিক পরিশ্রম না করলে উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন এক চামচের বেশি লবণ খেলে এবং অতিরিক্ত শারীরিক এবং মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে শরীরে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
হাই প্রেসার ও লো প্রেসার এর লক্ষণ
প্রত্যেকটি ব্যক্তি হাই প্রেসার অথবা লো প্রেসারের মতো সমস্যায় ভুগছেন। শরীরে স্বাভাবিক এর চাইতে বেশি রক্ত চাপ দেখা দিলে হাই প্রেসার এর মত সমস্যা বৃদ্ধি পায়। এবং শরীরে স্বাভাবিক এর চাইতে রক্তচাপের পরিমাণ কমে গেলে লো প্রেসারের লক্ষণ দেখা দেয় নিচে হাই প্রেসার ও লো প্রেসার এর লক্ষণ সমূহ দেওয়া হল:
হাই প্রেসার এর লক্ষণ:
- প্রচন্ড মাথা ব্যথা
- মাথা গরম হয়ে যাওয়া
- ঘাড় ব্যথা হওয়া
- বমি বমি ভাব হওয়া
- দ্রুত অস্থির হওয়া
- মেজাজ খিটখিটে হওয়া
- রাতে ভালো ঘুম না হওয়া
- শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া
- চোখে রক্ত জমাট বাঁধা
লো প্রেসার এর লক্ষণ সমূহ:
- শরীর দুর্বল হওয়া
- স্নায়ুর দুর্বলতা দেখা দেওয়া
- রক্তস্বল্পতা দেখা দেওয়া
- মাথা ঘোরা
- শারীরিক ক্লান্তি বৃদ্ধি পাওয়া
- অস্বস্তি ভাব
- শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হওয়া
- দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া
উল্লেখিত বিষয়গুলো লো প্রেসার বা নিম্ন রক্তচাপ ব্যক্তিদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়।
লেখকের মন্তব্য
হাই প্রেসার এবং লো প্রেসার এর মতো সমস্যায় অনেক ব্যক্তি আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে লো প্রেসার এর চাইতে হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ অনেক বড় একটি সমস্যা। হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত এই বিষয়ে অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন। আজকে প্রেসার সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছি।
যারা প্রেসার সম্পর্কে প্রশ্ন করে থাকেন আজকের আর্টিকেলটি তাদের উদ্দেশ্যে লিখা। উল্লেখিত বিষয়গুলো আপনাদের জানাতে পেরে আমরা খুব আনন্দিত। আশা করি বিষয়গুলো পড়ে উপকৃত হবেন৷ এ রকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমাদের সাইট ভিজিট করুন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।