নবজাতক শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় - শিশুর পাতলা পায়খানার ঔষধ

প্রিয় পাঠক নবজাতক শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় সম্পর্কে হয়তো আপনি অন্যান্য সাইটে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু কোন সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না তাহলে আপনি সঠিক সাইটে এসেছেন, আমরা এই আর্টিকেলে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আরো আলোচনা করেছি শিশুর পাতলা পায়খানা ও বমি হলে করনীয় সম্পর্কে।
নবজাতক শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় - শিশুর পাতলা পায়খানার ঔষধ
সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর যদি হঠাৎ করে পাতলা পায়খানা হয় তাহলে আপনি কি করবেন। তাছাড়া যদি শিশুর পাতলা পায়খানা ও বমি হলে করণীয় কি এই বিষয়ে যদি আপনার জানা থাকে তাহলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পূর্বে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে দ্রুত এ রকম সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। নবজাতক শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্র .

ভূমিকাঃ

অনেকেই জানতে চান নবজাতক শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি। শিশুর পাতলা পায়খানা ও বমি হলে কি কি পদক্ষেপ নেয়া যায়। হঠাৎ করে শিশুর পাতলা পায়খানা অথবা বমি হলে ঘাবড়ানোর কোন দরকার নেই আপনি কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে নিজে থেকেই এ সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। নবজাতক শিশুদের বিভিন্ন ছোটখাট সমস্যার কারণে পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে শিশুর পাতলা পায়খানা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত দেওয়া হল।

শিশুর পাতলা পায়খানা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়

শিশুর পাতলা পায়খানা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে হলে পূর্বে আপনাকে জানতে হবে শিশুর কেন পাতলা পায়খানা হয়। একটি শিশুর যেই কারণে পাতলা পায়খানা হয় সেই কারণগুলো এড়িয়ে চললে এ রকম সমস্যা থেকে আপনার শিশুকে দূরে রাখতে পারবেন। বিভিন্নভাবে সতর্কতা অবলম্বনের পরেও যদি আপনার শিশুর পাতলা পায়খানা হয় তাহলে চিকিৎসকে পরামর্শ নিন।
চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার পূর্বে কোন এন্টিবায়োটিক শিশুকে খাওয়াবেন না। চিকিৎসকের সাথে পরামর্শের পূর্বে আপনি কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন। আপনার শিশুর পাতলা পায়খানা হলে শিশুর শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যায় এজন্য শিশুকে বেশি বেশি তরল জাতীয় খাবার খাওয়ান। যেমন স্যালাইন, জুস, ফলের রস, ডাবের পানি, এবং বুকের দুধ, খাওয়াতে পারেন। 

শিশুর পাতলা পায়খানা হলে খাবার তালিকা পরিবর্তন করুন অবশ্যই ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খাওয়াবেন না। মসলা জাতীয় খাবার এবং অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার থেকে শিশুকে বিরত রাখুন। শক্ত কোন খাবার খাওয়াবেন না, আপনার শিশুর পাতলা পায়খানা হলে শুধু ভাত অথবা চিড়া ভিজিয়ে রেখে খাওয়াতে পারেন। এগুলো উপায় অবলম্বন করার পর যদি আপনার শিশুর কোন উন্নতি না হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।

শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয়

অনেকেই নবজাতক শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি সে বিষয়ে জানেন না। আপনি যদি শিশুর পাতলা পায়খানা হলে কিছু উপায় অবলম্বন করেন তাহলে আপনার শিশুর দ্রুত এই সমস্যা থেকে সমাধান করতে পারবেন। এছাড়া কেন পাতলা পায়খানা হয় এই বিষয়গুলো এড়িয়ে চললে আপনার শিশুর পাতলা পায়খানা হওয়ার মত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। 
শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় হলো দ্রুত শিশুকে তরল জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে দিন। পাতলা পায়খানা হলে শরীরের পানি শূন্যতা দেখা দেয় এজন্য শরীরে পানির ঘাটতি পূরণের জন্য আপনার শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খাওয়ান। হঠাৎ করে পাতলা পায়খানা দেখা দিলে বাজারে কেনা স্যালাইন অথবা বাসায় তৈরি করা স্যালাইন খাওয়াতে পারেন। 

সাথে জুস, ডাবের পানি, ফলের রস, কম লিকারের চা, বুকের দুধ, ভাতের মাড় এবং অর্ধতরল জাতীয় খাবার খাওয়াতে পারেন। পাতলা পায়খানা যেহেতু সংক্রমণ এবং জীবাণুর কারণে হয়ে থাকে তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের সাথে পরামর্শের পূর্বে উল্লেখিত ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করুন। আশা করি নবজাতক শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

শিশুর পাতলা পায়খানার এন্টিবায়োটিক

অনেক বাবা মা শিশুর পাতলা পায়খানা হলে দ্রুত এন্টিবায়োটিক খাওয়াতে চান। আসলে যেকোনো রোগের সমাধানের জন্য দ্রুত এন্টিবায়োটিক খাওয়া ঠিক নয়। শিশুকে পাতলা পায়খানার এন্টিবায়োটিক খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই সাধারণ ঘরোয়া উপায় এবং সাধারণ কিছু ঔষধ খাওয়াতে পারেন। 
এতে সমাধান হলে আপনার শিশুকে পাতলা পায়খানার এন্টিবায়োটিক খাওয়ানোর দরকার নেই। যখন পাতলা পায়খানা একেবারেই ভালো হচ্ছে না তখন অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো উচিত। নবজাতক শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় হচ্ছে চিকিৎসকের সাথে আলোচনার পূর্বে কিছু ঘরোয়া ভাই অবলম্বন করা। পাতলা পায়খানা যেহেতু বিভিন্ন সমস্যার কারণে হয়ে থাকে এই সমস্যাগুলো এড়িয়ে চলা। 

এবং আপনার শিশুকে সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা। বাজারে অনেক পাতলা পায়খানার অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায় আপনি চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করার পর আপনার শিশুর বয়স অনুযায়ী যেকোনো ধরনের পাতলা পায়খানার অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়াতে পারেন।

শিশুর পাতলা পায়খানার ঔষধ

শিশুর পাতলা পায়খানার ঔষধ খাওনোর পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত। শিশুর পাতলা পায়খানা হলে স্যালাইনের পাশাপাশি তরল জাতীয় খাবার খাওয়াতে পারেন। ডাক্তারের সাথে পরামর্শের পূর্বে কোন এন্টিবায়োটিক অথবা নিজের কোন ঔষধ খাওয়াবেন না। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির শিশুর পাতলা পায়খানার ঔষধ পাওয়া যায়। শিশুকে পাতলা পায়খানার ঔষধ খাওয়ানোর পূর্বে কেন শিশুর পাতলা পায়খানা হল সে বিষয়ে সতর্ক হোন। পাতলা পায়খানা হওয়ার বিষয়গুলো এড়িয়ে চললে এ রকম রোগ থেকে শিশু সুস্থ থাকবে।

শিশুর পাতলা পায়খানা ও বমি হলে করণীয়

হঠাৎ করে শিশুর পাতলা পায়খানা ও বমি হয় কিশোর এবং নবজাতক শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি? হঠাৎ করে যদি বমি হয় তাহলে এটি পাতলা পায়খানা হওয়ার লক্ষণ। সংক্রমণ এবং জীবাণুর কারণে যেহেতু পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে এইজন্য পাতলা পায়খানার সাথে বমি হয়। পাতলা পায়খানা হওয়ার পূর্বে পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হয় এই গ্যাসের জন্য বয়স্করা এবং শিশুরা বমি করে। 

তবে পাতলা পায়খানার সময় বমি হওয়া অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই সেরে যায়। এমন অবস্থায় শিশুর পাতলা পায়খানা ও বমি হলে শিশুকে ওর স্যালাইন অথবা খাবার স্যালাইন মিশ্রিত পানি খাওয়ান। যদি বমি হয় তাহলে অল্প অল্প করে খাওয়াতে পারেন।

নবজাতক শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয়

অনেকেই জানতে চান নবজাতক শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় সম্পর্কে। নবজাতক শিশুর পাতলা পায়খানা হলে দ্রুত শরীরের পানি শূন্যতা দেখা দেয়। ছোট্ট শিশুদের যেকোনো সমস্যা হলে তারা কোন কিছু বলতে পারেনা এজন্য পরিবারের লোকজন এদেরকে নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করেন। যে কারণে পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে এই কারণগুলো এড়িয়ে চললে নবজাতক শিশুকে পাতলা পায়খানা থেকে এবং ডায়রিয়ার মত সমস্যা থেকে দূরে রাখা সম্ভব। 

পাতলা পায়খানা বিভিন্ন কারণে হয় যেমন: জীবাণু, সংক্রমণ, ছত্রাক, কৃমি, ব্যাকটেরিয়া, ঠান্ডা জনিত সমস্যা, তাছাড়া ফুড পয়জনিং এর মত সমস্যা থেকেও পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। নবজাতক শিশুর পাতলা পায়খানা হলে অবশ্যই তাকে তরল জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাওয়ান। বুকের দুধ অথবা তরল দুধ খাওয়ানো বন্ধ করবেন না। অবশ্যই শিশুকে খাবার স্যালাইন অথবা প্যাকেটজাত স্যালাইন বেশি বেশি খাওয়াবেন।

২ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয়

২ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় হচ্ছে শিশুকে অল্প করে স্যালাইন যুক্ত পানি চামচের মাধ্যমে খাওয়াতে পারেন সাথে শিশুর পানি শূন্যতা দূর করার জন্য বুকের দুধ বেশি বেশি খাওয়াতে পারেন। শিশুকে বাজারের অথবা কৌটা জাতীয় কোন দুধ খাওয়াবেন না। বেস্ট ফিডিং করানোর আগে আপনার বেস্ট ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। 

বাচ্চাকে বেস্ট ফিডিং করানোর আগে আপনার শরীর এবং হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। সারাদিনের কর্মব্যস্ততা এবং আপনার শরীর যদি ঘেমে যায় তাহলে বেস্ট ফিডিং করানোর পূর্বে আপনার বেস্ট ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। আপনি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করুন। কোনভাবে গুঁড়ো দুধ খাওয়াবেন না। আপনার শিশুর কেন পাতলা পায়খানা হল সে বিষয়ে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। চিকিৎসকের দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করান।

৩ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয়

তিন মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় হল শিশুকে অবশ্যই গুঁড়ো দুধ খাওয়াবেন না। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অবস্থায় শিশুকে দুধ খাওয়াবেন। অবশ্যই শিশুকে বেস্ট ফিডিং করাবেন বুকের দুধ ব্যতীত অন্য কোন খাবার খাওয়াবেন না। বেস্ট ফিডিং করানোর পূর্বে বেস্ট ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। 

আপনি সারাদিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করুন বাচ্চাকে বেস্ট ফিডিং করানো পূর্বে আপনার হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিন। ৬ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় একই, ৩ মাসের শিশু থেকে ৬ মাসের শিশুর প্রতি করণীয় একই। এর পরও যদি আপনার শিশু সুস্থ না হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।

৮ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয়

৮ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় এবং ১০ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় হল অবশ্যই শিশুর প্রতি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং যত্নশীল হন। পাতলা পায়খানা এবং ডায়রিয়া হয় বিভিন্ন জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়ার কারণে তাই বাচ্চাকে খাবার খাওয়ানোর সময় পরিষ্কার পাত্রে খাবার খাওয়াতে হবে। অবশ্যই ৮ মাসের শিশু এবং ১০ মাসের শিশুকে বাইরের কোন দুধ খাওয়াবেন না। 

সবচাইতে উপকারী হচ্ছে বুকের দুধ খাওয়ানো। পাতলা পায়খানা হলে শরীরের পানি শূন্যতা হয় এর কারণে শিশুকে তরল জাতীয় খাবার খাওয়ান সাথে বেশি বেশি স্যালাইন এবং বুকের দুধ খাওয়ান। ৮ মাস থেকে ১০ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে কাঁচা কলা এবং চাল কোন মসলা ছাড়াই রান্না করে খাওয়াতে পারেন। তাছাড়া পাকা কলাও খাওয়াতে পারেন এতে দ্রুত পায়খানা থেকে শিশু সুস্থ হবে। আশা করি ৮ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয়, এবং ১০ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

মন্তব্য

শিশুর পাতলা পায়খানা হলে সবচাইতে বেশি চিন্তিত হয় শিশুর বাবা-মা। অনেকেই নবজাতক শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় এবং শিশুর পাতলা পায়খানার ঔষধ সম্পর্কে আরো অন্যান্য বিষয় জিজ্ঞাসা করেন। আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য আশা করি বিষয়গুলো পড়ে উপকৃত হবেন। তবে শিশুর পাতলা পায়খানা হলে দ্রুত শিশুকে বেশি বেশি খাবার পানি এবং স্যালাইনযুক্ত পানি খাওয়ান।

দ্রুত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ নিন। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন নিয়মিত এ রকম আর্টিকেল পেতে আমাদের সাইটে ভিজিট করুন। আরো অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে আমাদের ক্যাটাগরি গুলো ঘুরে আসুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

প্রিয় টপিকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url