কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে - কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে

কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে যেভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন। আজকে ডায়াবেটিস বিষয়ে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব। কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে ডায়াবেটিস রোগীর যে নিয়ম গুলো মেনে চলা উচিত।
কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে - কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে
অধিকাংশ ব্যক্তির ডায়াবেটিস একটি বড় ধরনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডায়াবেটিসের মত সমস্যার কারণে যেকোনো ব্যাক্তিরা তার মনের ইচ্ছামত খাবার গ্রহণ করতে পারছেন না। ডায়াবেটিস কন্ট্রোলের জন্য কিছু খাদ্য তালিকা মেনে চলা উচিত সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। 
পোস্ট সূচিপত্র  .

ভূমিকাঃ

ডায়াবেটিস এমন একটি সমস্যা যা কমবেশি প্রত্যেকটি বয়সের লোকের মধ্যে দেখা যায়। ডায়াবেটিসের মত সমস্যা আমরা নিজেরা সৃষ্টি করে থাকি অসচেতন মূলক খাবার খেয়ে। নিয়ম মেনে খাবার খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা খেয়াল রেখে খাবার খেলে ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে সে বিষয়ে সচেতন নয়। 
কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে, ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা গুলো মেনে চললে ডায়াবেটিসের মত সমস্যা কে কন্ট্রোল করা সম্ভব। আপনি যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে কোন কোন পদক্ষেপ গুলো মেনে চলবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।

ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা

ডায়াবেটিস রোগীর জন্য কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা অনেক। কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত কাঁচা সজনে পাতা খেলে ডায়াবেটিস কে কন্ট্রোলের রাখা সম্ভব। সজনে পাতা আমাদের দেশের যেকোনো অঞ্চলে পাওয়া যায়। সজনে পাতা শুকনো গুড়ো এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। সজনে পাতার বৈজ্ঞানিক নাম মরিঙ্গা ওলিফেরা (Moringa Oleifera) আমাদের দেশে সাধারণত দুই ধরনের সজনে পাতা দেখা যায়। 

একটি সাধারণ প্রজাতি এবং একটি বারো মাসি প্রজাতি। তবে দুই ধরনের সজনে পাতার গুনাগুন একই। এই সজনে পাতার অনেক কার্যকরী গুনাগুন রয়েছে, ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো: 
  • সজনে পাতাতে বিদ্যমান ক্লোরোজেনিক এসিড রক্তের শর্করার মাত্রাকে কমিয়ে রক্তের শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে।
  • প্রতিদিন ৫০ গ্রাম সজনে পাতা খেলে রক্তের শর্করার বৃদ্ধি কমে যায়।
  • সজনে পাতাতে ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে যার শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • প্রতিদিন সজনে পাতার গুড়ো খেলে প্রতিদিন রক্তে শর্করার মাত্রা ১৫% হারে কমে যায়।
  • সজনে পাতাতে রয়েছে অ্যাসকরিক অ্যাসিড যা শরীরের রক্তের ইনসুলিন এর মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • সজনে পাতাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সহযোগিতা করে।
  • সজনে পাতাতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। যা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
  • সজনে পাতাতে জিংক রয়েছে যা শরীরের সুগার লেভেল কে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবে না

ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবে না সে বিষয়ে ডায়বেটিস রোগীরা চিন্তিত থাকেন। কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে, ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবে না সেই বিষয়ে মেনে চললে ডায়াবেটিসের মত সমস্যা কে কন্ট্রোলে রাখা সম্ভব। ডায়াবেটিস হলে শর্করা জাতীয় সবজি খাওয়া উচিত নয়। 
কিন্তু কিছু কিছু সবজিতে শর্করার পরিমাণ সবচাইতে বেশি যেমন আলু, এবং কিছু কিছু সবজিতে শর্করার পরিমাণ সবচাইতে কম যেমন গাজর। তবে কম পরিমাণ শর্করা যুক্ত সবজি ডায়াবেটিস রোগীরা খেয়ে থাকেন। ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবেনা সে বিষয়ে একটি তালিকা দেওয়া হল:
  • আলু, ওলকপি,
  • কচু, বিট,
  • গাজর, সিম,
  • ওটমিল, মিষ্টি আলু, ছোলা
  • বিটরুট, রাজমা, ক্রাউন,
উল্লেখিত সবজিগুলো ডায়াবেটিস হলে না খাওয়াই উচিত। উল্লেখিত সবজিগুলোতে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকায় ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ক্ষতিকর। উল্লেখিত খাবারগুলো ছাড়া যেকোনো সবুজ জাতীয় শাকসবজি ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেন।

কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে

কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে অনেকে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে থাকেন। ডায়াবেটিস রোগীরা খাবার বিষয় নিয়ে অধিক চিন্তিত। কেননা ডায়াবেটিস হওয়ার পর খাবারের বিষয় মেইনটেইন করে না চললে ডায়াবেটিসের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবেনা। 

কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কন্ট্রোল করা সম্ভব তা হল, যে কোন খাবারে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ কম রেখে মৌসুমী ফল ও সবজি খাওয়া যেতে পারে এতে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে। বিভিন্ন খাবারের মধ্যে আপেল, নাশপাতি, পেয়ারা খাওয়া যায়। সকালে এবং রাতে রুটি খাওয়া উচিত এবং দুপুরে অল্প পরিমাণ ভাত খেতে হবে। প্রতিদিন একবার করে এক গ্লাস লো ফ্যাট মিল্ক খেতে হবে। 
এছাড়া প্রচুর পরিমাণে বাদাম খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব কেননা বাদামে রয়েছে ফাইবার যা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখে। তাছাড়া ডায়াবেটিস দূর করার জন্য নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে এতে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে যাবে। প্রিয় পাঠক কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে আশা করি সে বিষয় বুঝতে পেরেছেন।

কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে

ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা খাবার বিষয়ে সচেতন হলে ডায়াবেটিসের মত সমস্যা কন্ট্রোলে রাখা সম্ভব। কি খেলে ডায়াবেটিস কমে কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে সে বিষয়ে জেনে ফল খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যে ফলগুলোতে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ কম সে ফলগুলো খেলে ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করা সম্ভব কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে তাহল:
  • স্ট্রবেরি, র‍্যাম্পবেরি, ব্ল্যাকবেরি
  • আপেল, নাশপাতি
  • কমলালেবু, লেবু, জাম্বুরা
  • চেরি, বরই, পীচ, কচি ডাব
  • কিউই, তরমুজ, কামরাঙ্গা
  • এপরিকট, পেয়ারা, পেঁপে
  • আনারস, অ্যাভোকাডো
  • জামরুল, আমড়া, আমলকি
  • জাম্বুরা, কালোজাম,
যে ফল গুলোর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিমাণ সবচাইতে বেশি সে ফলগুলো ডায়াবেটিস নিরাময়ের জন্য অথবা ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে রাখার জন্য সবচাইতে বেশি উপকারী। তবে ডায়াবেটিস কমানোর জন্য মিষ্টি যুক্ত ফল এড়িয়ে চলা উচিত।

ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না

কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে এবং ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না সে বিষয়ে সঠিক ধারণা থাকলে ডায়াবেটিসের মত সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব। ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা শরীরে বিভিন্ন রোগের বাসা বাঁধতে সহযোগিতা করে। তাই ডায়াবেটিস যাতে আমাদের শরীরে বৃদ্ধি হতে না পারে সে বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত। আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে খাবার বিষয়ে সবচাইতে বেশি সচেতন হন। 

কেননা খাবারের মাধ্যমে ডায়াবেটিসের মাত্রা কম বেশি হয়। ডায়াবেটিস হলে অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় ফল কোন ভাবে খাওয়া ঠিক নয়। ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না তা হল আম, তরমুজ, কলা, আঙ্গুর, সফেদা, কিসমিস, খেজুর, পাকা কাঁঠাল, লিচু, লক্ষণ ফল, এই ফলগুলো ডায়াবেটিস হলে খাওয়া যাবেনা। তবে কম মিষ্টি যুক্ত ফলগুলো অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা

ডায়াবেটিস রোগটি অনেক ভয়াবহ একটি রোগ। ডায়াবেটিস রোগ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নষ্ট করে। ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা আমাদের দেশে একটি প্রচলিত সমস্যা। অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিসের মত সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে লোক ডায়াবেটিসের মত সমস্যায় ভুগছেন। ডায়াবেটিসের মত সমস্যায় আমাদের খাদ্য অভ্যাস সবচাইতে বেশি দায়ী।

কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে ডায়াবেটিস রোগের নিষিদ্ধ খাবার তালিকা সম্পর্কে অনেকের ওই ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার বিষয়ে একটি সঠিক তালিকা দেওয়া হল: আম, কলা, কাঁঠাল, আলু, বেশি পরিমাণে ভাত, বেশি পরিমাণের রুটি, মিষ্টি, মিষ্টি জাতীয় খাবার, ফ্যাট জাতীয় খাবার, ঘি, মাখন, বাটার, জ্যাম, জেলি, চানাচুর, বিস্কিট, 

তেলে ভাজা খাবার, কচুরি, সিঙ্গারা, নুডুলস, চা, কফি, উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার, খাসির মাংস, গরুর মাংস, ফলের রস, এবং শুকনো ফল, কিসমিস, আঙুর, বিভিন্ন ধরনের এনার্জির ড্রিংক, অ্যালকোহল জাতীয় খাবার, যেকোনো আঁশ জাতীয় সবজি, ইত্যাদি খাবারগুলো খাওয়া উচিত নয়। উল্লেখিত খাবার গুলোতে শর্করা এবং সুগারের মাত্রা অনেক বেশি থাকে যা ডায়াবেটিসের মাত্রাবৃদ্ধি করতে সক্ষম। 

এছাড়া ডায়েট কন্ট্রোল এর নিয়ম মেনে ভাত অথবা রুটি পরিমাণ মতো খাওয়া যেতে পারে। উল্লেখিত তালিকা গুলো নিয়ম মেনে চললে ডায়াবেটিসের মত সমস্যা থেকে আপনার শরীরকে সুস্থ রাখা সম্ভব।

ডায়াবেটিস হলে কি কি খাওয়া যাবে না

ডায়াবেটিস হলে সব ধরনের খাবার খাওয়া যাবেনা খাবার খাওয়ার তালিকা মেনে খাবার খাওয়া উচিত। ডায়াবেটিস অত্যন্ত মারাত্মক একটি ব্যাধি। ডায়াবেটিসের নিয়মানুবর্তিতা মেনে না চললে রোগীরা অনেক বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন। এ রোগের ক্ষেত্রে কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে এবং ডায়াবেটিস হলে কি কি খাওয়া যাবেনা সে বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত। 

ডায়াবেটিস হলে অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। তবে ডায়েট কন্ট্রোলের নিয়ম মেনে শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া যায়। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে মিষ্টি অথবা মিষ্টি জাতীয় খাবার একেবারে খাওয়া ঠিক নয়। ফলমূলের ক্ষেত্রে শুকনো ফলমূল কোনভাবেই খাওয়া যাবেনা। সতেজ ফলমূলের ক্ষেত্রে ফলের রস এবং পাকা মিষ্টি জাতীয় ফল খাওয়া নিষেধ। অ্যালকোহল সফট ড্রিংক গুলো থেকে বিরত থাকুন। চা অথবা কফি চিনি ছাড়া খাওয়ার অভ্যাস করুন। ও উল্লেখিত বিষয়গুলো মেনে চললে আপনার ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে রাখা সম্ভব।

কি কি খাবার খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন এতে আপনার স্বাস্থ্যের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে। ডায়াবেটিস এমন একটি সমস্যা যা নিরাময় করা সম্ভব নয় কিন্তু কন্ট্রোলে রাখা সম্ভব। তাই নিয়ম মেনে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার খেলে ডায়াবেটিস থেকে সুস্থ থাকা যায়। কি কি খাবার খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে, 

কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে সে বিষয়ে একজন ডায়াবেটিস রোগীকে সঠিক ধারণা রাখা উচিত। ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফ্যাট এবং চর্বি জাতীয় খাবার একেবারে নিষিদ্ধ। যে খাবারগুলো ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় তারমধ্যে চিনি যুক্ত খাবার, মিষ্টি জাতীয় খাবার, গরুর মাংস, ছাগলের মাংস, অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার, তেলেভাজা যে কোন খাবার, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। 

তাছাড়া আলু, ভাত, আটা, ইত্যাদিতে অতিরিক্ত পরিমাণে শর্করা রয়েছে যা ডায়বেটিসের সমস্যা বৃদ্ধি করে, তাছাড়া বিভিন্ন এনার্জির ড্রিংক, সফট ড্রিংক, কমল পানীয়, তে প্রচুর পরিমাণে চিনি রয়েছে যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং ডায়াবেটিস কে সক্রিয় করে। তাই উল্লেখিত খাবার গুলো এড়িয়ে চলা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য একান্ত দায়িত্ব।

ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয়

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ডায়াবেটিসের মত সমস্যা নিরাময় করা সম্ভব হয় না। কিন্তু ডায়াবেটিস দীর্ঘদিন কন্ট্রোলে রাখা সম্ভব। কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে এবং ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয় সে বিষয়ে সঠিক ধারণা থাকলে ডায়াবেটিসের মত সমস্যা থেকে সুস্থ থাকা সম্ভব। ডায়াবেটিসের মত সমস্যা শরীরে রোগের বৃদ্ধি ঘটায়। 

তাই ডায়াবেটিস থেকে প্রত্যেকটি ব্যক্তিকে সচেতন থাকা উচিত। ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে রাখার জন্য অধিক চিনি যুক্ত খাবার এবং শর্করা যুক্ত খাবার পরিহার করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হয়। মিষ্টি যুক্ত খাবার এবং মিষ্টি, অ্যালকোহল এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা ডায়াবেটিসের জন্য ভালো।

ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা

ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকায় প্রচুর পরিমাণে সবজি এবং ফল জাতীয় খাবার রাখতে পারেন। ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকায় মিষ্টি জাতীয় খাবার রাখা ঠিক নয়। তবে ফলমূলের ক্ষেত্রে কম মিষ্টি জাতীয় ফল খাওয়া যেতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকায় ডায়েট কন্ট্রোলের নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া উচিত। 

তবে প্রচুর পরিমানে শাকসবজি ফলমূল খেতে পারেন। প্রোটিনের চাহিদা পূরণের জন্য ডিম, মাছ, দুধ, বাদাম, সিম, প্রচুর পরিমাণে খেতে পারেন। টাটকা শাকসবজি এবং ফলমূল খেতে পারেন। মিষ্টি জাতীয় যেকোনো ফল, এবং তৈলাক্ত খাবার পরিহার করুন। ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে রাখার জন্য কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে সে বিষয়ে সঠিক ধারণা রাখুন।

ডায়াবেটিসে মুড়ি খাওয়া যাবে কি

ডায়াবেটিস রোগীর অনেকে জিজ্ঞাসা করে থাকেন ডায়াবেটিসে মুড়ি খাওয়া যাবে কি। কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা ভাত খাওয়া থেকে বিরত থাকেন কিন্তু মুড়ি খেয়ে থাকেন। মুড়িতে প্রচুর পরিমাণে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স, কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। যার শরীরের শর্করার মাত্রা এবং রক্তের সুগারের মাত্রা অধিক বৃদ্ধি করে। যা ডায়াবেটিস রোগের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কাজেই ডায়াবেটিস রোগীকে মুড়ি খাওয়া থেকে একেবারে বিরত থাকতে হবে।

ডায়াবেটিসে কলা খাওয়া যাবে কি

অনেক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা জিজ্ঞাসা করেন ডায়াবেটিসে কলা খাওয়া যাবে কি। সাধারণত ডাক্তারেরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের কলা খেতে নিষেধ করেন। কলাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, এবং ফাইবার রয়েছে যা অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। কলাতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অত্যন্ত কম পরিমাণে থাকে যা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য তেমন ক্ষতিকর নয়। ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত কলা খেতে পারেন কিন্তু অধিক হারে নয়।

ডায়াবেটিসে মেথি খাওয়ার নিয়ম

ডায়াবেটিস রোগকে কন্ট্রোলে রাখার জন্য মেথি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিস রোগে নিয়মিত মেথি খেলে ডায়াবেটিস কে দ্রুত কন্ট্রোল করা সম্ভব। মেথি রক্তের শর্করা হ্রাস করে। কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে, ডায়াবেটিসে মেথি খাওয়ার নিয়ম গুলো হল: নিয়মিত আপনি মেথির বীজ গুড়া করে খেতে পারেন। 

অথবা মেথির শুকনো বীজ নিয়মিত ১০ গ্রাম করে খেতে পারেন। নিয়মিত মেথির বীজ খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। তাছাড়া নিয়মিত মেথি দানা ভিজিয়ে রেখে পানি খেতে পারেন এতে ডায়াবেটিসের জন্য অনেক উপকারী।

লেখকের মন্তব্য
ডায়াবেটিস অত্যন্ত জটিল একটি সমস্যা ডায়াবেটিস নিরাময়ের জন্য প্রত্যেকটি রোগীই চেষ্টা করেন। ডায়াবেটিসের জন্য খাদ্য তালিকা মেনে চললে ডায়াবেটিসের মত সমস্যা থেকে সারা জীবন দূরে থাকা সম্ভব। তবে আপনি যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। 

ডায়াবেটিস বিষয়ে যারা প্রশ্ন করেন আজকে তাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনারা বিষয়গুলো পড়ে উপকৃত হবেন। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন। এ রকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমাদের সাইটটি ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন