শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় - শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয়

আপনার শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় সমূহ আলোচনা করেছি। এবং শিশুর জ্বর ১০২ হলেও করনীয় কি খুব দ্রুত ওষুধ ছাড়ায় শিশুর শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসুন খুব সহজেই।
শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় - শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয়
শিশুর অতিরিক্ত জ্বর হলে অনেক বাবা মা এই ভুলগুলো করে থাকেন। আপনার শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় হচ্ছে ঔষধ খাওয়ানোর পূর্বে কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা করা। আপনার শিশুর শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে হতাশ হবেন না ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পূর্বেই আপনার শিশুর শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ  .

ভূমিকাঃ

শিশুদের এখন বিভিন্ন সমস্যার কারণেই হঠাৎ জ্বর হওয়া দেখা যাচ্ছে। বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ওষুধ খাওয়ানো উচিত এবং শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় কি? শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় হচ্ছে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপনার শিশুর যদি অতিরিক্ত জ্বর হয় এবং যদি জ্বর দ্রুত বৃদ্ধি পায় তাহলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পূর্বেই কিভাবে জ্বর নিয়ন্ত্রণ করবেন এ বিষয়ে জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।

শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয়

শিশুর জ্বর ১০২° বা এর বেশি হলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এখন শীত ও গরমের কমবেশি তাপমাত্রার কারণে অল্প বয়সের বাচ্চাদের ঘন ঘন জ্বর দেখা দিচ্ছে তাছাড়া ডেঙ্গুর মত সমস্যা তো লেগেই আছে। আপনার শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় হল আপনার শিশুর কেন জ্বর হল সে বিষয়টি চিহ্নিত করা এবং চিহ্নিত বিষয়ের চিকিৎসা করা।
শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে খুব দ্রুত চিন্তিত হবেন না জ্বর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্য শিশুর মাথায় ঠান্ডা পানি অথবা বরফ মিশ্রিত পানি ঢালবেন না। দ্রুত জ্বর নিয়ন্ত্রণের জন্য হালকা কুসুম গরম পানিতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে নিংড়ে নিন এরপর এই কাপড় দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পর বাচ্চার শরীর মুছে দিন। 

তাহলে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমে যাবে। জ্বর হওয়ার সাথে সাথে কোন এন্টিবায়োটিক খাওয়ানো যাবে না বাসায় যদি নাপা অথবা প্যারাসিটামল সিরাপ থাকে তাহলে বয়স অনুযায়ী শিশুকে খাওয়াতে পারেন। এতে ওষুধ আপনার শিশুর শরীরের জ্বর কমাতে সাহায্য করবে এবং শরীর মুছে দেওয়ার ফলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

শিশুর জ্বর না কমলে করণীয়

এখন বিভিন্ন সমস্যার কারণে অল্প বয়সের বাচ্চাদের ঘন ঘন জ্বর হওয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই জানেন না যে শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় কি। আপনার শিশুর যদি শরীরের অধিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এখন বিভিন্ন ধরনের জ্বর হয় এর ফলে শরীরের তাপমাত্রা ১০২- ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনার শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় সমূহ নিম্নে দেওয়া হলো:
  • শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় হলো হালকা কুসুম গরম পানিতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে শিশুর পুরো শরীর মুছে দিন এভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পর মুছে দিবেন।
  • চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করার আগ পর্যন্ত নিজে শিশুকে কোন এন্টিবায়োটিক খাওয়াবেন না।
  • শিশুকে অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি তরল খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়াবেন।
  • এখন বিভিন্ন সমস্যার কারণে জ্বর হয় এজন্য দুই এক দিন অতিক্রম হলে দ্রুত জ্বরের নমুনা পরীক্ষা করুন।
  • শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় হল ডেঙ্গুর নমুনা পরীক্ষা করুন।
  • হঠাৎ জ্বর দেখা দিলে নাপা অথবা প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ বয়স অনুযায়ী খাওয়াতে পারেন।
তবে নিজে কোন চিকিৎসার পূর্বে অবশ্যই আপনার শিশুকে সঙ্গে নিয়ে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আশা করি শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করণীয়

বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করণীয় কি? এখন আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে এবং ডেঙ্গুর মতো অন্যান্য সমস্যার কারণে ছোট বাচ্চাদের অতিরিক্ত জ্বর হওয়া দেখা যাচ্ছে। জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে কিন্তু এর পূর্বে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করলে আপনার শিশুর শরীরের তাপমাত্রা এবং জ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
  • হালকা কুসুম গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে শিশুর শরীর মুছে দিন।
  • প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার শিশুকে খেতে দিন
  • নিয়মিত হালকা কুসুম গরম পানিতে শিশুকে গোসল করান
  • শিশুকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন
  • এমন সময় শিশুর প্রতি যত্নশীল হন
  • কি কারনে জ্বর হয়েছে এ বিষয়ে চিহ্নিত করুন
  • শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকলে ২০ মিনিট পরপর পুরো শরীর মুছে দিন
  • শিশুকে শান্ত থাকার এবং বিশ্রাম নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিন
  • দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হওয়ার কারণ

বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হওয়ার কারণ অনেক। বিভিন্ন সমস্যার কারণে একটি শিশুর হঠাৎ জ্বর হতে পারে। তবে সাধারণ সমস্যায় যদি জ্বর হয় তাহলে দুই একদিনের মধ্যে সেরে যায়। কিন্তু কোন রোগের লক্ষণ এর পূর্বে যদি জ্বর হয় তাহলে সেটা স্থায়ী হয়। বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হওয়ার কারণ এবং শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় নিচে দেওয়া হল:
  • আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশুর জ্বর হতে পারে
  • ঠান্ডা লাগার কারণে জ্বর হতে পারে
  • হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়ার জন্য জ্বর হতে পারে
  • শরীরের যেকোনো ব্যথার কারণে জ্বর হতে পারে
  • টিকা দেওয়ার ফলে জ্বর হতে পারে
  • মাথা ব্যথা হলে জ্বর হতে পারে
  • যদি কাশি হয় তাহলে জ্বর হতে পারে
  • কোন রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ার পূর্বে জ্বর হতে পারে
  • ডেঙ্গুর কারণে জ্বর হতে পারে
  • ভাইরাসজনিত সমস্যায় জ্বর হতে পারে
  • পক্স হওয়ার পূর্বে জ্বর হতে পারে
  • তাছাড়া অন্যান্য সমস্যার কারণে জ্বর হতে পারে
বাচ্চাদের বিভিন্ন সমস্যা হলে জ্বর হওয়া দেখা যায়। তবে বাচ্চার হঠাৎ জ্বর হলে চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই। ১- ২ দিন কোন এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা উচিত নয় প্যারাসিটামল অথবা নাপা সেবন করুন এবং অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৮ মাসের শিশুর জ্বর হলে করণীয়

অনেকে জানতে চান শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় এবং ৮ মাসের শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি সদ্য জন্ম নেওয়া শিশু এবং ৮ মাসের শিশুর জ্বর হলে অবশ্যই কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কেননা ৮ মাসের শিশুর জ্বর হলে কোন ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করা উচিত নয়। চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করার পর আপনার শিশুর পরিচর্যা করুন। ৮ মাসের শিশুর জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ অথবা সাপোর্টজিটরি ব্যবহার করবেন না। কেন জ্বর হল এবং জ্বরের কারণগুলো ডাক্তারের কাছে উল্লেখ করুন।

১ বছরের শিশুর জ্বর হলে করণীয়

এক বছরের শিশুর জ্বর হলে করণীয় হচ্ছে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পূর্বে এক থেকে দুই দিন অপেক্ষা করুন। কেননা সাধারণ জ্বরের মতো সমস্যা হলে দুই-এক দিনে সেরে যায় কিন্তু কোন রোগের লক্ষণ যদি প্রকাশের জন্য জ্বর হয় তাহলে সে জ্বর সারতে দীর্ঘ সময় লাগে। 

১ বছরের শিশুর জ্বর হলে এবং শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় হলো শিশুর শরীরে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে মুছে দিন। সাথে নাপা অথবা প্যারাসিটামল সিরাপ খাওয়াতে পারেন। সাথে প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার যেমন পানি, দুধ, জুস, ফলের রস খাওয়ান। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে না আসলে বা অন্যান্য সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

শিশুর জ্বর ১০৪ হলে করণীয়

শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় এবং শিশুর জ্বর ১০৪ হলে করণীয় হলো শিশুর শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য জ্বরের সাপোজিটরি ব্যবহার করা। মাথায় কিছুক্ষণ পানি দেওয়া এবং হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে পুরো শরীর ১০ মিনিট পরপর মুছে দেওয়া। যদি গ্রীষ্মকালীন সময় হয় তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে তাহলে হালকা বাতাস করতে পারেন। এবং দ্রুত কোন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে শিশুকে নিয়ে পরামর্শ করুন।

২ বছরের শিশুর জ্বর হলে করণীয়

দুই বছরের শিশুর জ্বর হলে তেমন কোন চিন্তার বা হতাশ হওয়ার দরকার নেই। হঠাৎ জ্বর হলে নাপা অথবা প্যারাসিটামল সিরাপ বয়স অনুযায়ী খাওয়াতে পারেন। দুই বছরের শিশুর জ্বর হলে পুরো শরীর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দিন। শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে সাপোজিটরি ব্যবহার করতে পারেন। ডেঙ্গু অথবা ভাইরাস জনিত সমস্যার কারণে জ্বর হলে বাচ্চার টেস্ট করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

১০২ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয়

১০২ ডিগ্রী জ্বর হলে করণীয় কি। সাধারণত শিশুদের হালকা-পাতলা সমস্যায় জ্বর হওয়ার লক্ষ্য করা যায়। ১০২ ডিগ্রি জ্বর হলে ঘাপড়াবেন না। এটি সাধারণের চাইতে একটু বেশি তাপমাত্রা। যেকোনো ধরনের জ্বর হলেই আপনার প্রথম করণীয় হচ্ছে আক্রান্ত শিশুর বা আক্রান্ত ব্যক্তির পুরো শরীর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দেওয়া।

বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত

বাচ্চাদের জ্বর হলে ওষুধ খাওয়ানোর পূর্বে কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা করুন। যেমন বাচ্চার মাথায় পানি ঢালুন। বাচ্চার পুরো শরীর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ১৫ মিনিট পরপর মুছে দিন। এতে যদি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে না আসে তবে নাপা অথবা প্যারাসিটামল জাতীয় সিরাপ খাওয়ান। যদি বাচ্চার জ্বরের কারণে বমি হয় ঔষধ খাওয়ালে যদি ঔষধ উঠে যায় সেক্ষেত্রে নাপা অথবা প্যারাসিটামল সাপোজিটারে ব্যবহার করুন। এরপর যদি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে না আসে জ্বর যদি না কমে তাহলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।

শেষ কথা

শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় এবং শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় এই বিষয়ে অনেকেই জানতে চান। শিশুর জ্বর বিষয় যত প্রশ্ন আজকে সবগুলো বিষয়ে উত্তর দিয়েছি। তবে কোন চিকিৎসার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত, আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন এ রকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমাদের সাইটটি ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন